আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
ছোট্ট একটি দোয়া আপনার সন্তানকে পড়ান
প্রিয় পাঠক অনেকে অভিযোগ করেন যে আমার ছেলে বা মেয়ে পড়ালেখা দুর্বল পড়ালেখা করতে চায় না, পড়ালেখায় মন বসে না এবং পড়ালেখা মনে থাকেনা।তো আজকে আপনাদের সাথে যে অজিফাটি আলোচনা করবো, এই অজিফাটি যদি আপনি নিয়মিত করেন ইনশাআল্লাহ আপনার সন্তান পড়াশোনা মন বসবে।
পড়াশোনা মনে থাকবে এবং ব্রেইন খুব ভালো হবে ইনশাআল্লাহ। তাহলে চালুন দেরি না করে আজকের মূল আলোচনায় চলে যাই। সম্মানিত পাঠক একটি কথা মনে রাখবেন এটি কোনো শরীয়তের আমল নয় বা শরিয়তের কোনো মাসআলাও নয় এটি সরাসরি কুরআনি চিকিৎসা।
কেননা পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন → আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত।( সূরা বনি ইসরাঈল আয়াত ৮২)
এছাড়া বর্ণিত আছে (ইমাম সুবকী রাদ্বিয়াআল্লাহ তা’আলা আনহূ থেকে বর্ণিত) যে ব্যক্তি কোরআনের মাধ্যমে আরোগ্য তালাশ করে না তার কোন শেফা নাই। ( তাফসীরে কুরতুবী, খন্ড ১০ম পৃষ্ঠা ২৩৫)
হযরত আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলে পাক (সাঃ) বলেছেন → মহান আল্লাহ তায়ালা এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেননি যার প্রতিষেধক তিনি সৃষ্টি করেননি। ( বুখারী, খন্ড ২য়,পৃষ্ঠা ৮৪৮,হাদিস নং ৫২৭৬; তাফসীরে কুরতুবি, খন্ড ১০ম পৃষ্ঠা ২৩৫)
এছাড়া রাসূল (সাঃ) বলেছেন → সবচেয়ে উত্তম ওষুধ হচ্ছে কোরআন পাক। রাসূল (সাঃ) আরো সাধারণ ঘোষণা করেছেন→ যে বাক্যের মধ্যে শির্ক হওয়ার মতো কোনো শব্দ নেই, ঐ ধরনের বাক্য ব্যবহার করে,দম করতে কোনো সমস্যা নাই, রাসূলে পাক (সাঃ) আরো বলেছেন → তোমরা কোরআন ও মধু দিয়ে ব্যাধি নিয়াময়ের ব্যবস্হা করবে। ( ইবন মাজাহ, আস সুনান, খন্ড ২,পৃষ্ঠা ১১৪২,হাদিস নং ৩৪৫২)
তবে মনে রাখতে হবে, কোনো প্রকার কুফরি বা শির্ক করা যাবেনা,কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেছেন → তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো।আর তাঁর সাথে কাউকে শিরক করো না।( নিসা আয়াত ৩৬)
প্রিয় পাঠক আসুন আমরা জেনে নেই কিভাবে আমলটি করবেন। প্রথমে এক গ্লাস পরিস্কার বিশুদ্ধ পানিতে হাফ চা চামচ মধু দিয়ে পানিতে ভালো করে মিশিয়ে নিবেন। তারপর বেশ কয়েকবার ( ৩/৫/৬/১১) দুরুদে ইব্রাহীম বা যেকোনো দুরুদ পড়ে নিবেন। অতঃপর ( সূরায়ে আলাম নাশরাহ অর্থাৎ সূরা ৯৪/আল ইনশিরাহ) ৭ বার পড়ুন এবং সূরা ত্বহা এর ১১৪ নাম্বার আয়াতের শেষাংশ ” রাব্বি জিদনি ইলমা “ এটি ৭ বার পড়ুন এবং শেষে আবার কমপক্ষে ৩ বার দুরুদে ইব্রাহীম অথবা যেকোনো দুরুদ পড়ে নিন।
এরপর মধু মিশ্রিত পানিতে ৩ বার ফুঁক দিন। আর সেই গ্লাস থেকে আপনার সন্তানকে যতটুকু ৩ ডোকে পান করতে পারে ততটুকু খাওয়ান। বাকী অংশ আপনি খেয়ে ফেলুন।
ইনশাআল্লাহ এই আমলের বরকতে আপনার সন্তানের ব্রেইন যথাযথ পরিস্কার হবে অর্থাৎ সন্তান পড়ায় মন বসবে, মায়ের অবাধ্য হবেনা, দুষ্টমি কম করবে। এবং পাশাপাশি মা বা বাবা হিসেবে আপনারও ধৈর্যশক্তি বাড়বে ইনশাআল্লাহ। এই আমলটি আপনি প্রথমত ৭ দিন করুন, যদি তাতে ফল না আসে, তাহলে আরো ৭ দিন -৭ দিন করে মোট ২১ দিন করুন।
আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি
মাশা আল্লাহ,
অতি সুন্দর পোস্ট।