তালেবানের উত্থান। আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ এবং বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে এর প্রতিক্রিয়া।
তালেবান কি? তালেবান কারা? তালেবানের লক্ষ্য কি? তালেবানের ইতিহাস এসব তো এযাবৎ কালে অনেক শুনে এসেছি। এখন একটু দেখি তালেবানের এই উত্থানে সারাবিশ্বে কি রকম প্রভাব পড়বে।
১৫ তারিখ, তালেবান সৈন্যদের কাবুল দখল করা দিয়ে তারা এখন পুরো আফগানিস্তান নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়। খুবই গরম খবর। গরম তো হওয়ারই কথা ভাই। ইউএস পুরা বিশ বছর সময় দিয়ে, ৮৮ বিলিয়ন ডলার খরচ করে, আফগান মিলিটারীকে ট্রেনিং এবং ইকুইপমেন্ট দিয়েও তালেবান কে রুখাতে পারলো না। আফগানিস্তানের সরকারের পতন ঠেকাতে পারলো না। তাদের লিডার আশ্রাফ গনি দেশ ছেড়ে উধাও। কিন্তু কীভাবে সম্ভব হলো? কীভাবে? এমনকি আফগান সৈন্যরা নতুন বউয়ের মতন চুপ করে ছিল। কোথাও কোনো রেজিসটেন্সই দেখা গেল না। বাইডেন তো খুব জোর কন্ঠে বললো আফগান সেনারা অনেক শক্তিশালী, তারা নিজেদের সুরক্ষা করতে পারবে, তাদের এয়ারফোর্স এই সেই, তালেবানের মাত্র পঁচাশি হাজার সৈন্য আফগানের তিন লাখ সৈন্য। কিন্তু শেষমেষ এক সপ্তাহের মাথায় তালেবানরা কাবুল দখল করে পার্কে গিয়ে খেলতেছে, বিভিন্ন রাইডে চড়তেছে, জিমে গিয়ে কসরত করছে।মানে এটা ইউএস এর অনেক বড় ব্যর্থতা অথবা তারা এটাই চেয়েছিল। এসব ব্যাপার অনেক কম্পলেক্স।তবে একটা বিষয় এখানে দেখার মতো , সেটা হলো একটা সময় ছিল যখন যেই রাজার সৈন্য বেশি, যাদের কাছে পয়সা বেশি তারাই শক্তিশালী। কিন্তু এখন আর সেই যুগ নেই । তালেবান সেনারা নিজেদের একটা সু-নির্দিষ্ট ট্র্যাজিটি তৈরি করলো,আর এখানে কিছুটা সাহায্য করেছে ট্রাম্পের আমলে তালেবান আর ইউএসের হওয়া সমঝোতা। তারা প্রপাগান্ডা ছড়ায়,তারা বিভিন্ন গোষ্ঠীর এল্ডারদের সাথে কথা বলে আর ধর্ম ব্যাবহার তো আছেই। এরা এটা দেখে নি যে আমাদের মাত্র এক লাখ অন্যদিকে তিন লাখ। মানে এদিকে আফগান-ইউএস সেনারা নিজেদের আইসোলেটেড সিটিজেন নিয়ে গ্রীন জোনে বসে ছিলো অন্যদিকে তালেবান কান্ট্রিসাইড নিজেদের কবজায় নিতে শুরু করে। আর যখন আফগান সেনাদের নাকে গন্ধ আসলো তখনই তালেবান তাদের দরজায় মারলো লাথি। বোধহয় বুঝতে পারে নি এই নম্বর নম্বর খেলা দিয়ে যুদ্ধ জয় করা যায় না। আর আফগানিস্তানের বেলায় তো এটা সর্বদাই সত্য।আপনারা রাশিয়াকে জিজ্ঞেস করুন, আপনারা ব্রিটিশদেরকে জিজ্ঞেস করুন। তবে এসব নিয়ে কথা বলব না৷ তালেবানদের ইতিহাস তালেবানের উত্থান কীভাবে হলো এসব লিখলে বই হয়ে যাবে। মাত্র ১ সপ্তাহে কীভাবে তালেবানরা কাবুল দখল করে ফেলল এটা নিয়েও অনেকেই অনেক কথা বলছেন। এসব বাদ দেই। অনেকেই বলছে সরকারের করাপশন, দুর্বল লিডারশীপ,অনেক রিপোর্টে উঠে আসছে আফগান সেনাদের হুমকি দিয়েছে তালেবান ইত্যাদি ইত্যাদি।এসব ফেলে দেওয়ার পয়েন্ট নয়। তবে লিখতে গেলে অনেক বড় হয়ে যাবে।
কথা হচ্ছে এই যে তালেবানের আবার উত্থান হলো, তারা ক্ষমতায় আসলো, ইউএস চলে গেল, দেশের লিডার দেশ ছেড়ে পালালো, আফগান সেনা নিজেদের মাথা ঝুকালো এসবের পর দেশটিতে কী হবে? দেশের ইকোনমিতে কেমন প্রভাব ফেলবে?সাধারণ জনতার কী হবে, স্পেশালি মহিলাদের। বিশ্বরাজনীতিতে এবং বাংলাদেশে এর কি প্রভাব পড়বে? আজকে এসব নিয়ে একটু সংক্ষিপ্ত আলোচনা করব।
প্রথমত সাধারণ জনতার কি হবে?
আমরা ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নিউজ রিপোর্ট, ভিডিও, সোস্যাল মিডিয়ায় দেখছি কীভাবে দেশের মধ্যে, দেশের মানুষের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মানুষ এয়ারপোর্টে বিমানের পিছনে ছুটছে যেমন আমরা লোকাল বাসের পিছনে দৌড়াই। একজন মহিলাকে তো দেখলাম বর্ডারের উপর দিয়ে নিজের ছেলেকে ছুড়ে মারছেন।একটা ধর্মীয় কট্টরপন্থী গোষ্ঠী যদি দেশের দখল পায় এবং যেখানে তাদের অতীতের হিস্টোরি থাকে, তখন দেশের মানুষতো আতঙ্কগ্রস্থ হবেই। তাছাড়া বেশ কিছু জায়গায় এমন দেখা যাচ্ছে যে, তালেবানরা যুবকদের জোর করছে তালেবানে যোগ দিতে, মহিলাদেরকে ফোর্স করছে তালেবান কর্মীদের ব্রাইড হওয়ার,ঘরে ঘরে ঢুকে তল্লাশি নিচ্ছে, মানুষের ফোন চেক করছে এমনকি সরকারি অফিসিয়ালদের অনেককে মারছে, পদ থেকে সড়িয়ে দিচ্ছে। যদিও তালেবান নেতারা ইদানীং “প্রেস ব্রিফিং”-এ বলতেছে তারা এখন আর আগের তালেবান নেই। তারা মেয়েদেরকে স্কুলে যেতে দিবে,তাদেরকেও সমান অধিকার দিবে তারা আগে যেসব নিয়ম কানুন দিয়েছিলো তেমন থাকবে না।তালেবানের স্পক পার্সন বিসিবিকে দেওয়া এক ইন্টার্ভ্যুতে বলে তারা এখন মেয়েদের বোরখা কম্বলসারি করবে না, হিজাব পড়লেই চলবে। যদিও এসব কথা তালেবান বলছে ইন্টারন্যাশনালি স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য এটা সবার কাছেই স্পষ্ট। সর্বপরি আফিগানিস্তানের সাধারণ জনতাদের জীবন যে অন্ধকার হতে যাচ্ছে তা স্পষ্ট। এসবের পরে দেশের ইকোনমি আরো ডুববে। Ak47 চালানো আর দেশ চালানো তো এক কথা না।
জিওপলিটিক্স এবং ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটিতে এর প্রভাব কি হবে?
আফগানরা দেশ দখল করার পর জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক সহ অনেকগুলো দেশ তাদের এম্বাসি শাট ডাউন করে দিয়েছে। তবে একদিকে যেমন ইউরোপীয় দেশগুলো তালেবানকে স্বীকৃতি দিবে না বলে জানিয়েছে অন্যদিকে এশিয়ার দুই সুপারপাওয়ার চীন আর রাশিয়া আফগানিস্তানের সম্পর্কে নরম সুরে কথা বলতেছে। চীন অবশ্য তাদের নিজদের ইকোনমিকর কথায় ভাবছে। ওয়ান বেক্ট প্রজেক্টের কথা। ইউএস তাদের এম্বাসি ইভেকুয়েট করে দিয়েছে। এখন এগুলাই চোখে পড়ছে পত্রপত্রিকা,নিউজ চ্যানেলের মধ্যে।পাকিস্তান তো তালেবানকে সাপোর্ট করেই আসছে আর সবচেয়ে বিপাকে রয়েছে ইন্ডিয়া। বেচারারা কি করবে বুঝতে পারছে না।তালেবান ক্ষমতায় আসায় পাকিস্তান ইন্ডিয়ার উপর চড়াও হবে এটা সাফ কথা।তবে একটা না একটা সময় জিওলজিকাল প্লেয়াররা শেষমেশ নিজেদের স্বার্থে তালেবানকে ডিরেক্টলি হোক বা ইন্ডিরেক্টলি সাপোর্ট দিবেই।
একটা সময় ছিল যখন ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটি বলতে একটা কিছু ছিল। ইন্টারন্যাশনাল ফোর্স ছিল। যদি কোনো দেশ উলটা পালটা কিছু করত তবে তারা আপনার উপর প্রেশার তৈরি করত। কিন্তু ইদানীং যেসব দেখা যাচ্ছে, তাতে মনে হয় না এখন আর কোনো দেশ বিশেষ করে কোনো পশ্চিমা শক্তি অন্য দেশে এসে নাক গলাবে না। কোনো পশ্চিমা শক্তিশালী ডেমোক্রেটিক দেশ অন্যদেশের ডেমোক্রেসিকে বাচাতে আসবে না।এখানে একটা বিষয় পরিষ্কার যে প্রতিবারই যখন এমন হয়েছে হয়ত বিশ্ব ইয়াকে কি হয়েছে তা দেখেছে, আর কাবুলে তো গত বিশ বছরে দেখা গেল। শুধু এই নাক গলানোর জন্যই আইএস, তালেবানের মতো গোষ্ঠীর উত্থান হয়েছে। তালেবানের মতো গোষ্ঠী এত শক্তিশালী হয়েছে। এখন এটা ধরে নেন এখনকার দিনে যেসব “ডেমোক্রেসি” রয়েছে এরা নিজেদেরকেই নিজেরা বাচাতে হবে৷ কোনো মেগা ফোর্স এখন হয়ত এখন আর সুপারম্যানের মতো আসবে না কোনো টেররিজম কে ঠেকাতে, কোনো ডিক্টেটরশিপকে ঠেকাতে। নিজদের লড়াই নিজেদেরই লড়তে হবে। তাছাড়া ইউএস এর নিজেদের ডেমোক্রেসির অবস্থায় তো খারাপ, ইউকে ব্রেকসিটের পরে তাদের অবস্থাও পাতলা। নিজেদের আন্দোলন নিজেরাই করতে হবে৷ অবশ্য এটাই কাম্য।
বাংলাদেশে এর প্রভাব এবং বাংলাদেশের করনীয় কি?
যেহেতু আমাদের দেশ এই অঞ্চলের একটি অংশ।ইরাকের রক্তারক্তি ছিটা মধ্যপ্রাচ্যের থেকে আমাদের দেশেও এসেছে। আফগান সমস্যাও আমাদের দেশের উপরও এর প্রভাব পড়বে। ইতিমধ্যেই দেখলাম আফগানিস্তানের নিরাপত্তাহীন মানুষজনের কিছু অংশ সাময়িক ভাবে আমাদের দেশে ঠুসানোর প্রস্তাব দিয়েছিল ইউএস। তবে সেই প্রস্তাবকে নাকোচ করে দেয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পশ্চিমা দেশগুলো চাইল *মানে ভাই রোহিঙ্গাদের ঢুকালাম এখন বলতেছো আফগানদেরকেও?*
তালেবানের প্রভাব আমাদের দেশের জঙ্গি গোষ্ঠীরদের উপর পড়বে এটা পানির মতো স্বচ্ছ । অতীতের বিভিন্ন টেরোরিস্ট কন্ডাক্ট গুলো ঘাটলে দেখবেন সেখানে তালেবানেরও কিছু সেনা রয়েছে। যদিও আমাদের সরকার বাংলাদেশকে টেরোরিস্ট মুক্ত হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে তবুও তালেবানদের উত্থান এই অঞ্চলের টেরোরিস্ট গ্রুপকে আবার শক্তিশালী হতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব ভারি মাত্রায় পড়বে। তাই পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আগেই এই বিষয়ে সরকারের নজরদারি বাড়াতে হবে। বাংলাদেশের সাথে আফগানিস্তানের তেমন কোনো বানিজ্যিক সম্পর্ক নেই। তবে বাংলাদেশের যেসব পন্য আফগানিস্তানে রপ্তানি হয় বিশেষ করে ঔষধ, সেই সব কিছু দিক বিবেচনা করে ফরেন পলিসি নির্ধারণ করা যেতে পারে। ঐ দেশে বাংলাদেশের যেসব কর্মী, রিফিউজি রয়েছে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আফগানিস্তান সমস্যায় অন্যান্য দেশ কোন দিকে মোর নেয় তা নজরে এনে সঠিক সিন্ধান্ত গ্রহন করতে হবে৷ যেহেতু তালেবান ক্ষমতায় আসছে সেহেতু তাদের সাথে একদিন না একদিন কথা বলতে হবেই। তাই সব কিছু বিবেচনা করে এমন সিন্ধান্ত গ্রহন করতে হবে যাতে এই ভূ রাজনৈতিক সমস্যা থেকে উলটো বাংলাদেশ কিছু সুবিধা পায়।
সর্বশেষ কিছু কথা:
এই সমস্যা থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।কেননা শিখতে হলে এক হয়ত নিজেরা ভুল করতে হবে, নয়ত অন্যর ভুল দেখে নিজেরা শিখতে হবে। আফগানিস্তানের অবস্থার জন্য কিছুটা হলেও সেই দেশের সরকারও দায়ী। অনেক তথ্য মতে ইউএস দুই ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করেছে যার ৮৮ বিলিয়ন না হয় সাময়িক বাহিনীতে গেল। বাকি মোটা অংকের টাকা, সাথে ইন্টারন্যাশনাল এইড সব কোথায় গিয়েছে?আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষ তো পায় নি। এসবই গিয়েছে দুর্নীতির কালো হাতে। যার ফলে মানুষ জন কিছুটা হলেও দেশের সরকারের উপর ক্ষুব্ধ ছিল। আরে ভাই করাপ্ট গভার্মেন্টের থেকে রাইফেল ওয়ালা গভারমেন্টই ভালো। এই ধরনের ধারনা নিয়েই অনেক আফগান জনতা তালেবানকে সাপোর্ট করেছে। তাই দুর্নীতি মুক্ত দেশ গঠন মানুষকে সঠিক সিন্ধান্ত প্রহণে কিছুটা সহায়তা করে। আরেকটা বিষয় শিক্ষনীয় সেটি হচ্ছে ধর্ম পালন করার বিষয়।ধর্ম পবিত্র শব্দ। তবে ধর্মীয় আইডিওলজি যখন এক্সট্রিম পর্যায়ে পৌঁছে যায় তখন শুরু হয় দাংগা। আমাদের বুঝতে ধর্মতো কেবল নেতাদের জন্য একটা মুখোশ। এই মুখোশ পরে ধর্মীয় মানুষের আস্থা অর্জন করতে চায়। মূলত দিন শেষে সবাই ক্ষমতার লোভেই থাকে। ঐ গদিটাকেই চোখে দেখে। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এখন জগাখিচুরি। ধর্ম, রাজনীতি,ন্যাশনালিজম সব একসাথে মিলে জগাখিচুড়ি হয়ে গিয়েছে। এই জগাখিচুরি ভবিষ্যতে কিসে পরিনত হয় তা-ই দেখার বিষয়।
একরাম আহমেদ শিশির
২৩/০৮/২০২১
যদি খারাপ কিছু হয় অবশ্যই সেটাকে খারাপ বলতে হবে, ভালো-খারাপ ইসলামিক মানদন্ডে বিচার করতে হবে, গণতন্ত্র কিংবা নারীবাদীদের বিচারব্যবস্থা দিয়ে না!
মিডিয়া এতোদিন তালেবানদের ‘জঙ্গি’ বলে আমাদের চিনাইছে। এখন বুঝলাম ‘ মিডিয়া আসলে কী!’
বাঙ্গালীরা যেমন আলেমদের হাজার হাজার ভালো কথাগুলো থেকে ছোট্ট একটা ভুলকে সামনে নিয়ে সেটাকে নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ শুরু করে দেয়, আজকালকার মিডিয়ারও সেই একই অবস্থা।
তাই আগে বিবেক খাটান, কথাবলার আগে ভেবে দেখবেন, ‘কার পক্ষে বলতেছেন আর কার বিপক্ষে’।
এসব কথা বলতে গিয়ে আপনার অজান্তেই ইসলামের কোনো একটা বিধানের বিরুদ্ধে কথা বলে ফেলবেন যা আপনার ইমান হারানোর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।, সো একটু সাবধান থাইকেন।
আবার বলছি, আমি তালেবানদের পক্ষ নিয়ে কথা বলছি না। তবে তারা যদি ইসলামিক খিলাফত সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে তাহলে অবশ্যই মুসলিম ভাই হিসেবে আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের পক্ষ নিবো।
কে বলতে পারে, হয়তো তাঁরাই ইমাম মাহদির সাথে যোগ দেয়া সেই বাহিনী, যেটা আমরা হাদিস থেকে জানতে পারি।।।(আল্লাহই ভালো জানেন)
আফগান ফেরত ভারতীয় শিক্ষক তমালের চাইতেও দেশে থেকে খুব বেশি ভালো জানেন বলে মনে হচ্ছে,,,?
প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে ভালোই তো ? কামাচ্ছেন দেখছি,,, এটা নিয়ে একটা আর্নিং পোস্ট করলে আমাদেরও? কামাতে সুবিধা হতো…