মুভির নামঃমিশন এক্সট্রিম
জনরাঃ ক্রাইম,একশন, থ্রিলার
পরিচালকঃফয়সাল আহমেদ ও সানি সারোয়ার
Screenshot
প্লটঃ শুরুতেই দেখানো হয় জঙ্গীবাদীরা দেশে বড় কোনো অ্যাটাকের প্ল্যান করছে।এ কাজের জন্য তারা কিছু শহুরে যুবকদের বেছে নিয়েছে।ধর্মের জন্য “জিহাদের” নাম করে যুবকদের জঙ্গীবাদে উস্কিয়ে দিচ্ছে।
এই অ্যাটাক আটকানোর দায়িত্ব পড়ে অ্যান্টি ট্যারোরিজম স্কোয়ার্টের কিছু সদস্যদের উপর।জঙ্গিবাদীরা কিসের অ্যাটাক করতে যাচ্ছে? আদৌ অফিসার রা এই অ্যাটাক আটকাতে পারবে কিনা? নাকি জঙ্গীবাদীরা তাদের প্ল্যানে সফল হবে? নাকি এর মধ্যে আরো কিছু ঘটবে?এ নিয়েই মিশন এক্সট্রিম।
টেকনিক্যাল সাইডঃ
টেকনিক্যাল দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিলো মিশন এক্সট্রিম।বলতে হয় ক্যামেরার কাজ ভালো ছিলো বিশেষ করে ড্রোন শটগুলো।তাছাড়াও বোম ব্লাস্ট বা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে চরিত্রের টেক নেওয়া এরকম ক্যামেরার কাজ বাংলাদেশী সিনেমাতে দেখা যায়না।
সাউন্ড ইফেক্ট(বোম ব্লাস্টের মূহুর্তে),সিনেমাটোগ্রাফি ভালো ছিলো। বাংলাদেশ অনুযায়ী VFX মোটামুটি।”জানি তুমি ছিলে”গানটা শুনতে বেশ শ্রুতিমধুর লেগেছিলো।তবে গানের ভিউজুয়ালিটি অগোছালো লাগছে।মুভিটাতে যে ভালো বাজেট ব্যবহার করা হয়েছে তা অনেক সিনেই লক্ষনীয়।
অভিনয়ঃ
মুভিতে তাসকিনের অভিনয় সবচেয়ে ভালো লেগেছে।সেই একমাত্র লোক যে তার চরিত্র থেকে এক চুলও সরেনি।তার ভয়েস আর লুক তাকে সিরিয়াস ভাবে নিতে বাধ্য করবে, মাথা-ঠান্ডায় প্ল্যান-একদম পার্ফেক্ট একটা ভিলেন।
অারেফিন শুভ (নাবিদ আল শাহরিয়ার)চরিত্রে ভালো করেছে তবে কিছু কিছু সিনে আবার অভিনয় অ্যাভারেজ (ফ্যামিলি সিনগুলোতে)লেগেছে।শুভকে তার ফিটনেসের জন্য পুরো মুভির প্রত্যেকটা সিনে দেখতে অনেক ভালো লাগছিলো।
একশন সিনগুলোতে শুভর মুভমেন্ট লক্ষ করার মতো,কিছু সিনে তার এক্সপ্রেশন ও দূর্দান্ত লেগেছে।সাদিয়া নাবিলা(ইরা) ও সুদীপ তাদের চরিত্রে যথেষ্ট ভালো করেছে। কিন্তু বাকি সবার পার্ফরমেন্স ছিলো অ্যাভারেজ।অভিষেক হিসেবে ঐশী বলতে গেলে ভালোই তবে(একটা ইমোশনাল সিন ছাড়া)।গল্পে তার চরিত্রের গুরুত্ব তেমন ছিলো না।
মিশন এক্সট্রিমের চিত্রনাট্য কিছুটা দূর্বল ছিলো, চিত্রনাট্য অারেকটু স্ট্রং রাখা যেত।গল্পে আরো থ্রিল,অাতঙ্ক তৈরি করা যেত। স্ক্রিনটাইম কম হওয়ায় শুভ-ঐশীর কেমিট্রি ঠিক একটা জমে উঠেনি।কিন্তু এই কম সময়েই তাদের কেমিস্ট্রি অন্য এঙ্গেলে বিল্ড-আপ করা যেত।
কিছু জিনিস খারাপ লেগেছে,যেমন অারেফিন শুভ এখানে ফজলুর রহমান বাবুকে “তুই” করে সম্মোধন করেছেন।মানলাম শুভ বড় অফিসার আর ফজলুর বাবু একজন ইনফর্মার চরিত্রে ছিলো কিন্তু এখানে তো “আপনি”ও ব্যাবহার করা যেত।
বোম ব্লাস্টে মানুষ মারা গেলো কিন্তু তার হাতের স্যামস্যাং ফোন অক্ষত।এক্সাইটিং সিনগুলার পরে হঠাৎ করে প্রেমের কিছু সিন বা-দিক দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া এগুলা সত্যি বাজে লাগছে।শেষে, The war is not over শুভর মুখ দিয়ে না বলিয়ে তাসকিনের মুখ দিয়ে বলানো যেতো।
আমি বলবো মিশন এক্সট্রিম একটি ভালো প্রচেষ্টা ছিলো। আমাদের উচিত ভালো ভালো দেশীয় সিনেমার পাশে থাকা।প্রযোজক,পরিচালককে তাদের কাজের জন্য উৎসাহিত করা।তাহলে পরে আমাদের আরো ভালো কিছু উপহার দিবেন।
আমাদের দেশে সচারাচর যে ধরনের সিনেমা বানানো হয় মিশন এক্সট্রিমকে সেই হিসেবে ভিন্নধারার বলা চলে।তবে এটাকে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডের সাথে তুলনা করলে ভুল হবে।আশা করবো মিশন এক্সট্রিমের পার্ট ২ ভালো হবে।
Personal Rating: 8/10
Link: Mission Extreme Movie
ফুল প্রিন্ট এর লিংক আগেই দিছে ।