আপনাদের মধ্যে হয়তো অনেকেই জানেন না যে বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইনেই সংশোধন করা যায়। অনলাইনে সামান্য কিছু ফি দিয়ে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রটি সহজেই সংশোধন করে নিতে পারবেন।
আর যারা সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন, কিন্তু এখনো সংশোধন হয়নি, তাদের জন্য কিছু কথা পোস্ট এর শেষে বলব। এছাড়া পোষ্টের শেষে কিছু সতর্কতা সম্পর্কেও আলোচনা করব। তাহলে চলুন শুরু করা যাক..
• জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের ফি কিভাবে অনলাইনে চেক করবেন:
প্রথম ধাপ: প্রথমে আপনাকে এই লিংকে (https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/fees) যেতে হবে। তাহলে এরকম একটি ইন্টারফেস দেখতে পাবেন…
দ্বিতীয় ধাপ: এই পেজে আসার পরে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বারটা (যেটা সংশোধন করতে চান) দিবেন…
তৃতীয় ধাপ: তারপর আপনি আপনার আবেদন এর ধরন সিলেক্ট করুন। আপনার যদি পরিচয় পত্রের তথ্য সংশোধন করতে হয়, সেক্ষেত্রে “জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন” সিলেক্ট করুন। আর যদি অন্যান্য তথ্য সংশোধন করতে হয়, সেক্ষেত্রে “অন্যান্য তথ্য সংশোধন” সিলেক্ট করুন। আর যদি দুইটাই সংশোধন করতে হয়, সেক্ষেত্রে ৩ নম্বর অপশনটা সিলেক্ট করুন…
চতুর্থ ধাপ: তারপর আপনি আপনার বিতরণের ধরন সিলেক্ট করুন। আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রটি যদি সাধারণ হয়, সেক্ষেত্রে “সাধারণ” সিলেক্ট করুন। আর আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র যদি স্মার্ট আইডি কার্ড হয়, সেক্ষেত্রে “সাধারণ স্মার্ট কার্ড” সিলেক্ট করুন।
তারপর ছবিতে যা লেখা আছে তা নিচের বক্সে লিখে দিন…
এরপর “হিসাব করুন” এ ক্লিক করলেই আপনার কত টাকা সংশোধন আবেদন খরচ লাগবে, সেটা দেখিয়ে দিবে। আবেদন ফি আপনারা মোবাইল ব্যাংকিং বা ব্যাংক চালানের মাধ্যমে দিতে পারবেন।
• যারা সংশোধনের আবেদন করেছেন কিন্তু পেন্ডিং আছে:
যারা সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন, কিন্তু অনেক দিন হয়ে গেছে এখনো আপনাদের আবেদন পেন্ডিং আছে, তারা আবেদনের প্রিন্ট কপি এবং আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং যেসব কাগজপত্রের স্ক্যান কপি আপনি আপলোড করেছেন ওই কাগজপত্র সহকারে আপনার উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে চলে যাযন।
সেখানে গেলে আপনার এই সমস্যার সমাধান সুন্দর ভাবে তারা করে দিবে।
• সাবধানতা:
অনেকেই এই ধরনের সংশোধন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের দালালের সাহায্য নেয়। আমি আমার জাতীয় পরিচয় পত্রের সংশোধন আবেদন করার পরে, উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে সুন্দরভাবে সমাধান পেয়েছি। কোন দালালের সাহায্য নিতে হয়নি। তাই আমি বলবো কোন দালালের ফাঁদে পড়তে যাবেন না।
এছাড়া অনলাইনে উল্টাপাল্টা কোন মানুষের কাছে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দিবেন না। তারা আপনার এই তথ্যগুলো বেআইনি জায়গায় ব্যবহার করতে পারে।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমার এসএসসি সাটিফিকেটে বয়স হচ্ছে ০৩/০৫/২০০২ এবং জন্ম নিবন্ধনে বয়স হচ্ছে ০৩/০৫/২০০০ যেহেতু ১৬-১৭ বছরের মধ্যেই এসএসসি পাস করানো হয় সেহেতু এসএসসি ফর্ম রেজিষ্ট্রেশন করার সময় আমার বয়স জন্ম নিবন্ধন থেকে ২ বছর কমিয়ে দেওয়া হয় তো আমি এসএসসি পাস করার কিছুদিন পরে ভোটার হই সমস্যা হলো ভোটার হবার সময় আমার জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বয়স দেওয়া হয় সেইজন্য আমার আইডি কার্ডে আবার সেই ২ বছর বেশি হয়ে যায় অথাৎ এসএসসি সাটিফিকেটে ২০০২ আর ভোটার কার্ডে ২০০০ এবং জন্ম নিবন্ধনেও ২০০০ এখন আমি কি করতে পারি???
কিভাবে এটা ঠিক করবো মানে বয়স ২ বছর কমিয়ে এসএসসি সাটিফিকেট এর বয়স করবো?????
সরকার ঘোষিত ফি কত? ইউনিয়ন পরিষদ বাদে নিজে নিজে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে গেলে ফি কিভাবে জমা দিতে হবে??
৪৫ দিনের অধিক হলে ২৫ টাকা,
৫ বছরের উপরে হলে ৫০ টাকা
আমার জন্ম নিবন্ধন একটা আছে,
আমি কি নতুন করে আরেকটা জন্ম নিবন্ধন Create করতে পারবো??