আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
নবীজি (সাঃ) যে সহজ ভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।
এইতো কিছুদিন পরেই আমাদের মাঝে প্রবেশ করবে রহমত, নাজাত মাগফিরাতের মাস মাহে রমজান। মাসকে ঘিরে তামাম বিশ্বের মুসলিমদের মনে বিরাজ করে এক মহা আনন্দ। তবে এ মাসকে ঘিরে মুসলিমদের প্রস্তুতি কেমন হবে বা প্রিয় নবীজি কিভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন। সে বিষয়ে আলোচনা করবো এই আর্টিকেলে ইনশাআল্লাহ তাই আর কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
রমজান মাস যথার্থভাবে উদযাপনের জন্য একটু আগে থেকেই এর প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর সময়ে রমজান যতই ঘনিয়ে আসতো রমজান নিয়ে তার আগ্রহ আলোচনা ও আমলের মাত্রা ততই বেড়ে যেত এবং তিনি সাহাবীদের রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দিতেন। শবে বরাত তথা মধ্যে শাবান থেকে সাহাবায়ে কেরামের কাজকর্মে রমজানের পূর্ণ আমেজ পরিলক্ষিত হতো যেমন শাবান মাসের হিসাবে সর্তকতা। রমজান কখন শুরু হবে তা বোঝার জন্য শাবান মাসের হিসাব রাখার বিকল্প নেই।
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও এই মাসে খুব সতর্কতার সঙ্গে চাঁদের হিসাব রাখতেন এবং অন্যদের এ ব্যাপারে উৎসাহিত করতেন। আয়েশা রাজেলা তালা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম শাবান মাসের খুব হিসাব করতেন। এছাড়া অন্য কোন মাসের এত হিসাব করতেন না। এরপর রমজানের চাঁদ দেখে রোজা রাখতেন আকাশ মেঘলা থাকার কারণে চাঁদ দেখা না গেলে শাবান মাস 30 দিনে গণনা করতে অতঃপর রোজা রাখতেন।( আবু দাউদ হাদিস ২৩২৫)
তাই শাবান মাস থেকেই হিসেবে সতর্ক থাকতে হবে। শাবান মাসের রোজার অভ্যাস গড়ে তোলা। রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে মহানবী সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম শাবান মাসে খুব বেশি পরিমাণে রোজা রাখতেন। ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তার সহীহ বুখারীতে শাবান মাসের রোজা শিরোনামে একটি স্বতন্ত্র অধ্যায় স্থাপন করেছেন। আয়েশা রাজেলা তালা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম শাবান মাসের লাগাতার রোজা রাখতেন। আমরা বলতাম তিনি আর রোজা ছাড়বেন না আবার তিনি এভাবে রোজা ছাড়তেন আমরা বলতাম তিনি আর রোজা রাখবেন না। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লামকে রমজান ছাড়া কোন পুরো মাসে রোজা পালন করতে দেখিনি এবং শাবান মাসের চেয়ে কোন মাসে বেশি রোজা পালন করতে দেখিনি।( বোখারী হাদিস ১৮৬৮, মুসলিম হাদিস ২৭৭৭)
রমজানের দু’একদিন আগে রোজা না। রাখা রমজানের প্রস্তুতির মধ্যে এটি একটি বিষয় যে রমজানের মর্যাদা রক্ষার জন্য এর দু’একদিন আগে রোজা না রাখা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম রমজানের দু’একদিন আগে রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। তবে কেউ আগে থেকে মাসের শেষে দু’একদিন রোজা রাখতে অভ্যস্ত হলে তার ব্যাপার আলাদা। আবু হুরাইরা (রা) তালা আনহু থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বলেন →তোমাদের কেউ যেন রমজানের একদিন কিংবা দুইদিন আগে অবশ্যই রোযা না রাখে তবে হ্যাঁ কারো আগে থেকেই এ দিনে রোযা রাখার অভ্যাস থাকলে সে ওই দিনে রোযা রাখতে পারেন। (বুখারি হাদিস ১৮১৫, মুসলিম হাদিস ২৫৭০)
রমজানের ব্যক্তিগত প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা রমজান মুমিনের চাওয়া পাওয়ার উপযুক্ত সময়। জীবন পরিবর্তনের এক বাস্তব বিরল সুযোগ হিসেবে রমজান আগমন করে। রমজানকে গতানুগতিক ধারায় কাটিয়ে দেওয়া সুস্থ বিবেক এর কাজ নয়। কাজেই আল্লাহর আনুগত্যে রমজানের রাত দিন কাটানোর জন্য কার্যকর একটি পরিকল্পনা তৈরি করা উচিত। এ পরিকল্পনায় কয়েকটি জিনিস থাকতে পারে রমজান বেশি সময় ইবাদত কাটানোর জন্য কিছু কাজকর্ম, অনুষ্ঠান, ভ্রমণ ইত্যাদি রমজান পূর্বক সময়ে সেরে নেওয়া বিশেষ কোন রোগ-ব্যাধি থাকলে রমজানের আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রমজানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবস্থাপত্র গ্রহণ করা।
হাট-বাজারে সময় নষ্ট না করার জন্য যথাসম্ভব হাট-বাজার রমজানের আগেই সেরে নেওয়ার চেষ্টা করা। আর এভাবেই যদি আমরা পবিত্র রমজানের প্রস্তুতি নিতে পারি তবে রমজানের পুরোপুরি হক আদায় হবে বলে আশা করা যায় ইনশাল্লাহ। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে রমজানের বরকত দান করুন আমীন। প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা পবিত্র রমজানের প্রস্তুতি কতটুকু হলো আল্লাহ আমাদেরকে প্রতিটা রোজা রাখার তৌফিক দান করুন আমিন সবাই কমেন্ট বক্সে লিখুন আমিন।
আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি
আগেও আপনার ট্রেইনার পদ বাতিল হয়েছে এ কারণে।
https://www.facebook.com/120349266430226/posts/324380966027054/