আসসালামুয়ালাইকুম ! TrickBD তে সবাইকে স্বাগতম। কোনো ভুল হলে দয়া করে ক্ষমা করবেন। বেশি কথা না বলে শুরু করছি।
যে ৭টি কারণে ভুলের কারণে আপনার ঘুমের মধ্যেও চর্বি বৃদ্ধি পাচ্ছে !
সাধারণত ওজন বাড়ার কারণ আমরা অনেকেই বুঝতে পারি। বেশি বেশি ফ্যাট জাতীয় খাবার খেলে, বা এক্সারসাইজ ছেড়ে দিলে, বা অলস জীবন যাপন করলে।কিন্তু যদি এর কোনোটিই না করে আপনার ওজন বাড়তে থাকে তবে সেটি অবশ্যই দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি অনেকের ক্ষেত্রে এক্সারসাইজ করে বা ডায়েট করেও ওজন বাড়ে।
এই পোষ্টে এমন ৭টি কারণ বলবো, যার কারণে ঘুমের মধ্যেও আপনার ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নাম্বার ১ – অতিরিক্ত লবণ খাওয়াঃ
আপনার শরীর অনেক কারণেই পানি ধরে রাখতে পারে। তবে এর ভেতর প্রধান কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া। আপনি খুব ভালো ডায়েট প্ল্যান ফলো করছেন, নিয়মিত এক্সারসাইজ করছেন, কিন্তু খাবারে অতিরিক্ত লবণ খাচ্ছেন। এতে করে উল্টো আপনার ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। সুতরাং ডায়েট বা এক্সারসাইজ এ দ্রুত ফলাফল পেতে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া কমান।
নাম্বার ২ – কোষ্ঠকাঠিন্যঃ
হ্যাঁ, অনেকেই এটা কমন সমস্যা। ঠিকমতো টয়লেট ক্লিয়ার না হওয়া। এর জন্য দায়ী আপনার খাদ্যাভ্যাস। আপনি খাবার খাচ্ছেন কিন্তু সেটি পরিপূর্ণ ভাবে হজম হচ্ছে না। ফলে আপনার টয়লেটও ক্লিয়ার হচ্ছে না, এমন অবস্থায় আপনি আপনার ওজনও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।
খাবারে পর্যাপ্ত ফাইবার রাখার চেষ্টা করুন। বেশি করে পানি পান করুন, ফাস্ট ফুড অ্যাভয়েড করুন।
নাম্বার ৩ – অতিরিক্ত পানি পানঃ
পর্যাপ্ত পানি পান এবং অতিরিক্ত পানি পান এর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে। অনেকেই দিনে ৮ থেকে ১০ লিটার পানি পান করে আর ভাবে যত পানি পান করবে ততই উপকার।
কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা ! সবকিছুরই একটি লিমিট আছে। আর তা অতিক্রম করলে উল্টো ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়।
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দিনে ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পান করলেই যথেষ্ট। এর বেশী খেলে আপনি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। এছাড়াও আপনার কিডনীর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।
নাম্বার ৪ – কার্বোহাইড্রেটঃ
যদিও কার্বোহাইড্রেট ওজন কমানোর শত্রু না, তারপরেও প্রতিদিন খাবারের তালিকায় অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। এটি আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
এজন্য যারা দ্রুত ওজন কমাতে চায়, তারা ডায়েটে Low Carbohydrate মেইনটেইন করে থাকে।
নাম্বার ৫ – একই সময়ে না খাওয়াঃ
আমরা অনেকেই খাওয়ার সময়ের ব্যাপারে অনেক উদাসীন থাকি। আজ দুপুর ১টায় খেলাম, তো আগামীকাল দুপুর ২টায়। আবার কখনো কখনো সময়ের অভাবে দুপুরের খাবার একেবারে বিকেলে খান।
এটি আমাদের শরীরে ক্ষতিকর ফ্যাটের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই চেষ্টা করবেন প্রতিদিন খাওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় মেইনটেইন করতে।
নাম্বার ৬ – রাতে দেরি করে খাওয়াঃ
রাতের খাবার দেরি করে খাওয়া অথবা মাঝ রাতে স্ন্যাকস গ্ৰহণ করা দুটোই আপনার ওজন বাড়ানোর জন্য দায়ী।
রাতে ঘুমানোর কমপক্ষে ১ থেকে ২ ঘন্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিবেন। রাতের খাবার খেয়েই ঘুমাতে যাওয়া আমাদের শরীরে অনেক ক্ষেত্রেই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এটি আমাদের শরীরের ইন্সুলিন লেভেল বাড়িয়ে দেয়, কলেস্ট্রল বাড়িয়ে দেয় এবং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে।
নাম্বার ৭ – কম ঘুমানোঃ
রাতে কম ঘুমানো বা ঘুম না হওয়া ওজন বেড়ে যাওয়ায় জন্য দায়ী। ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানোর জন্য আদর্শ সময়। এর থেকে কম ঘুমানো অনেক স্বাস্থ্য ঝুঁকি বয়ে আনে।
গবেষণায় এসেছে ঘুম কম হওয়া মানে হজম শক্তি কমে যাওয়া, কম ঘুম আমাদের দেহ ও মনকে বিষাদে পরিপূর্ণ করে দেয়, ফলে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এই পোষ্ট এতটুকুই ! এতক্ষণ সময় নিয়ে পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ। ?
আবার ঘুম থেকে উঠলে ওজন কমে যায় ?
আচ্ছা ভাই, আমি তো উপরের প্রায় সবগুলো আইন’ই লঙ্ঘন করেছি ।
কিন্তু আমার ওজন তো বাড়ছে না ।