হ্যালো ভাই ব্রাদার্স ?

কেমন আছেন সবাই?
আশা করি ভালো আছেন!

আমাদের দেশের জাতীয় ঔষধের যদি কোন খেতাব দেওয়া যাতো তাহলে মনে হয় প্যারাসিটামলই পাইত।?
অথচ আমরা এই প্যারাসিটামল সম্পর্কে আরো অনেক কিছু জানি না।আজকের পোস্টে চেস্টা করবো মুটামুটি তুলে ধরার। ত চলোন মূল টপিক এ আসা যাক।
আমাদের শরীরে যদি জ্বর বা ব্যাথা অনুভব হয় তখন সাধারণত আমরা ২বেলা প্যারাসিটামল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকি। এমন কি যারা সারাদিন কাজ করে শরীরের বিভিন্ন অংশ ব্যাথা অনুভব না হওয়ার জন্য ও প্যারাসিটামল খায়। যাতে পরবর্তী দিন কাজ করতে কোন সমস্যা না হয়।আমাদের শরীরে হালকা তাপমাত্রা বা সর্দি হলে ও আমরা প্যারাসিটামল খায়৷ কারণ প্যারসিটামল একটি নিরাপদ ঔষধ।
কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে যখন আমাদের শরীরে জ্বরের মাত্রা ১০১° ফারেনহাইটে না পৌছায় ততক্ষণ কোন ধরনের ঔষধ না খাওয়ায় ভালো।
এই রকম জ্বর গুলা কে ভাইরাল ফিভার বলে।ভাইরাল ফিভাল আপনা আপনি টিক হয়ে যায়। এর জন্য যথেষ্ট পরিমাণ বিশ্রাম আর তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। শরীরের তাপমাত্রা হালকা বাড়লে প্যারাসিটামল খাওয়ার অভ্যাসটা খুবই বিপজ্জনক।

শরীরের যে কোন ব্যাথা উপশমের জন্য সাধারণত প্যারাসিটামল ব্যাবহৃত হয়।মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, মাংসপেশীতে ব্যথা, দাঁতের ব্যথা, পিরিয়ড ক্র্যাম্প ইত্যাদিতে প্যারাসিটামল খুবই কার্যকর। এটি একটি ওটিসি(Over-the-counter drug) ড্রাগ।তাই এটি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া যে কেউ বিক্রি করতে পারে বা কিনতে পারে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৫০০ মিলিগ্রামের একটি ট্যাবলেট, কখনো প্রয়োজনে দুটিও খেতে হতে পারে।তাই বলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া প্যারাসিটামল খাওয়া একবারেই উচিৎ নয়।

২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসকরা তিন থেকে চারবার প্যারাসিটামল খাওয়ার পরামর্শই দেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ২৪ ঘণ্টায় ৪ গ্রাম বা ৪০০০ মিলিগ্রামের বেশি প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে না।এর বেশি খায়লে কিডনি ও লিভার মারাত্মক ক্ষতির ঝুকিতে থাকে।

শরীর ব্যথা বা জ্বরের জন্য তিন দিন পর্যন্ত প্যারাসিটামল খাওয়া যায় কিন্তু শরীর ব্যথা বা জ্বর তিনি দিনের বেশি থেকে যায় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরি।

প্যারাসিটামলের সাইড ইফেক্ট তেমন গুরুতর নয়। মাঝে মাঝে যাদের এলার্জি আছে তাদের সমস্যা করে।
তবে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্যারাসিটামল দিলে রক্তপাচ কমে যেতে পারে।শিশুদের বয়স অনুযায়ী প্যারাসিটামল খাওয়াতে হয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শিশুদের প্যারাসিটামল খাওয়ানো উচিত নয়।



গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মাত্রাতিরিক্ত প্যারাসিটামল খেলে অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিসর্ডার (ADHD) বা অ্যটিস্টিক স্পেকট্রাম ডিসর্ডার (ASD)-এর মতো মারাত্মক স্নায়ুরোগ দেখা দিতে পারে বলে মনে করেন সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।

দীর্ঘদিন প্যারাসিটামল খেলে লিভার ড্যামেজ, কিডনীর সমস্যা, হার্টের সমস্যা ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে তাই দরকার ছাড়া নিজে নিজে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধ না খাওয়াই উচিত।

কোন ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

JABER

আমি চাই পোস্টটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে জানাবেন l ভাল লাগলে
একটা লাইক দিয়ে কমেন্ট
করবেন।



5 thoughts on "প্যারাসিটামল কত টুকু ক্ষতিকর? কখন খাওয়া উচিত।"

    1. JABER Author Post Creator says:
      ?
  1. Hridoy Islam Contributor says:
    Bro ami jokhoni dekhi amar halka jor asbe ba thanda lagbe tokhoni ami paracetamol khai. ata all time amar barite thake r jokhon amar jor ba thanda poropuri lege jay tokhon aksathe 2 ta kore paracetamol khai 🙂
    1. JABER Author Post Creator says:
      101° F er nice takle kawa ucit noi!
  2. Uzzal Mahamud Pro Author says:
    সুন্দর

Leave a Reply