আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি ।
অন্যদিনের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি টপিক নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি । আজকে একটি পিডিএফ বুক শেয়ার করতে যাচ্ছি । আর বইটির নাম হলো “পদ্মা নদীর মাঝি” । আশা করছি সকলে আজকের আর্টিকেলটি পড়বেন ।
‘পদ্মা নদীর মাঝি’ বাংলা সাহিত্যের একটি শ্রেষ্ট উপন্যাস । এই উপন্যাসের লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় । মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় দুটি উপন্যাস লিখে বাংলা সাহিত্যের একটি সিংহাসন দখল করেছেন । উপন্যাস দুটির মধ্যে একটি হলো ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ এবং অন্যটি হলো ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ । তিনি ৫০টিরও বেশি উপন্যাস লিখেছেন । তার মধ্যে ‘পদ্মা নদীর মাঝি’– এই উপন্যাসটি শ্রেষ্ঠ । তো চলুন একনজরে লেখকের পরিচয় জেনে নিই ।
লেখক পরিচিতি:
এই উপন্যাসের লেখকের নাম মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু তাঁর প্রকৃত নাম প্রবোধ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁর পিতার নাম হিরহর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাতার নাম নীরাদাসুন্দরী দেবি । তিনি ১৯০৮ সালে বিহারের সাঁওতাল পরগনায় জন্মগ্রহণ করেন । গণিত বিভাগের ছাত্র হলেও বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে অতসীমামী নামক গল্প রচনা করেন এবং বিচিত্রা পত্রিকায় সেটি প্রকাশিত হয় । সেখান থেকেই তাঁর সাহিত্য চর্চা শুরু হয় । ৫০টিরও বেশি নোভেল লিখেছেন তিনি । ১৯৫৬ সালের ৩রা ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন ।
Book review::
বইয়ের নাম :: পদ্মা নদীর মাঝি
লেখক :: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
ফাইলের ধরন :: পিডিএফ
ফাইল সাইয :: ৮ এমবি
পেজ সংখ্যা :: ১১০
বই ডাউনলোড ::
বইটি সম্পর্কে আরও কিছু ::
পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসটি লেখকের চতুর্থ উপন্যাস । পূর্বাশা পত্রিকায় ১৯৩৪ সাল থেকে প্রকাশিত হতে থাকে এবং ১৯৩৬ সালে তা শেষ হয় । লেখকের পৈতৃক বাড়ির স্মৃতিকে কেন্দ্র করে লেখক নিজ ভাষায় কয়েকটি সুন্দর চরিত্রের সাহায্যে উপস্থাপন করেছেন ।
পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসে কুবের নামক মাঝিই হচ্ছে প্রধান চরিত্র । কুবের উপন্যাসের নায়ক এবং নায়িকা হচ্ছে কাপিলা । এছাড়া আরও চরিত্র রয়েছে সেগুলো হলো, হোসেন মিয়া, পিতম, ধনঞ্জয়, রসুল, ফাতেমা ইত্যাদি । মূলত জেলেদের অবস্থাকে তুলে ধরা হয়েছে এই উপন্যাসে ।
এই উপন্যাসটি ইংরেজি সহ সুইডিশ, জার্মানি, কোরিয়ান প্রভৃতি ভাষায় অনুবাদ করেছে অনেকে । এটি একটি শ্রেষ্ঠ উপন্যাস । এই উপন্যাসকে অবলম্বন করে ১৯৯৩ সালে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছিল ।