বর্তমানে আমাদের দেশে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে আমাদের কাছে অনেকেরই ক্রেডিট কার্ড আছে এবং আমরা সেগুলো ব্যবহার করি। কিন্তু এই ব্যবহারের মধ্যে আমাদের কিছু ভুল থেকেই যায়। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানবো কোথায় কোথায় ক্রেডিট কার্ড না ব্যবহার করা উত্তম। তাহলে চলুন জেনে আসি…
১. এটিএম থেকে ক্যাশ তোলা: ক্রেডিট কার্ড দিয়ে এটিএম থেকে টাকা না তোলা ভালো। কারণ আপনি যখন ক্রেডিট কার্ড দিয়ে এটিএম থেকে টাকা তুলবেন তখন অনেক বেশি চার্জ প্রযোজ্য হবে। যেখানে অনলাইন থেকে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে বা পজ মেশিনের মাধ্যমে বা ডিজিটাল উপায়ে অত বেশি চার্জ প্রযোজ্য হয় না। তবে সময় মত কার্ডের বিল পরিশোধ না করলে জরিমানা ও চরা সুদ প্রযোজ্য হবে।
২. অপরিচিত সাইটে কার্ডের ব্যবহার: আমরা অনেকেই বিভিন্ন লোভে বিভিন্ন অপরিচিত সাইটে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার করি। অপরিচের সাইটগুলো আপনার ক্রেডিট কার্ডের ইনফরমেশন গুলো সংগ্রহ করে রাখতে পারে যার ফলে আপনার ওই কার্ডের সম্পূর্ণ ইনফরমেশন ওই সাইটের এডমিন এর কাছে থাকবে। সে চাইলে আপনার কার্ড ব্যবহার করে টাকা হাতিয়ে নিতে পারবে। তাই ভেরিফাইড সাইট ব্যতীত অনলাইনে কোন উল্টাপাল্টা সাইডে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করবেন না।
৩. ফ্রি ট্রায়াল সার্ভিসে কার্ড ব্যবহার: ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি অনলাইনের বিভিন্ন ফ্রী টায়াল সার্ভিসের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। ধরুন কোন একটি কোম্পানি তাদের প্রডাক্ট আপনাকে আপনার ক্রেডিট কার্ডের ইনফরমেশনের বিনিময়ে ব্যবহার করতে দিবে, তাও আবার ফ্রিতে। তার জন্য আপনার ক্রেডিট কার্ডের নাম্বার, পিন দিয়ে লগইন করতে হয়। যার ফলে আপনার গার্ডেন ইনফরমেশন ওই সাইটের এডমিনের কাছে চলে যায় এবং সেই এডমিন আপনার কার্ড এর অপব্যবহার করতে পারে। তাই এগুলো থেকে বিরত থাকুন।
৪. কার্ডের মধ্যে টাকা জমা রাখা: কার্ডের মধ্যে টাকা জমা রাখা হলো সবচেয়ে ভুল কাজের মধ্যে একটি। অনেকেই মনে করে কার্ডের মধ্যে টাকা জমিয়ে রাখলে কার্ডের ক্রেডিট বেড়ে যায়। কিন্তু আসলে তা না, আপনি কাঠ থেকে যত বেশি লেনদেন করবেন আপনার কার্ডের ক্রেডিট তত বেশি বাড়বে। মানে আপনার কাঠ থেকে যেকোন লেনদেন করতে হবে। কার্ডের মধ্যে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী টাকা রাখবেন, এর থেকে বেশি টাকা না রাখাই উত্তম।
৫. ক্রেডিট মিস করা: ক্রেডিট কার্ডের বিল পেমেন্ট করতে দেরি হলে আপনার ক্রেডিট কার্ডের স্কোর অনেকটাই কমে যাবে। তাই ক্রেডিট কার্ডের বিল অবশ্যই ৩০ দিনের মধ্যে পেমেন্ট করার চেষ্টা করবেন।
৬. বিলিং স্টেটমেন্ট চেক না করা: আমরা অনেকেই কার্ড ব্যবহারে কোন স্টেটমেন্ট চেক করিনা। কয়েকদিন পর পর অবশ্যই আপনার ক্রেডিট কার্ডের স্টেটমেন্ট চেক করবেন। এতে করে আপনি কোথায় কিভাবে পেমেন্ট করেছেন সেটা সম্পূর্ণ ডিটেইলস জানতে পারবেন। আপনার কার্ড থেকে যদি অতিরিক্ত লেনদেন হয় তাহলে আপনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাও নিতে পারবেন।
৭. সার্ভিস চার্জ সম্পর্কে না জানা: আপনি কোন ব্যাংকের বা কোম্পানির ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার আগে অবশ্যই সেই কার্ডের সার্ভিস চার্জ এবং অন্যান্য সার্চগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেবেন। তা না হলে পরবর্তীতে আপনার একাউন্ট থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ তারা কেটে নিতে পারে।
৮. কার্ডের ক্রেডিট শেষ করা: কখনো ক্রেডিট কার্ডের সম্পূর্ণ লিমিট শেষ করবেন না। প্রয়োজনীয় সময়ে ক্রেডিট কার্ড আপনার অনেক উপকারে আসবে। আপনার যদি লিমিট শেষ হয়ে যায় তাহলে আপনি আর লেনদেন করতে পারবেন না।
৯. অন্যকে কার্ড ব্যবহার করতে দেওয়া: ক্রেডিট কার্ড কাউকে দেওয়ার আগে অবশ্যই ক্রেডিট কার্ডের ব্যালেন্স চেক করে দেবেন। আপনার ঘনিষ্ঠ এবং পরিচিত ছাড়া কাউকে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে দেবেন না। আর পারলে অবশ্যই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সময় আপনি সাথে থাকবেন এবং পিন নম্বরটি নিজে বসাবেন।
বন্ধুরা আশা করি ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে উপরে তথ্যগুলো আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজে আসবে। এছাড়া যেকোনো প্রয়োজনে আপনি আমার সাথে ফেসবুক এর মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
R ki ki condition lage credit card nite ekta post koren