আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
আপনার জীবনকে সঠিক পথে পরিচালনা করতে এই হাদীসটিই যথেষ্ট।
সময় অনেক মূল্যবান একটি জিনিস যেটা আমরা অহেতুক নষ্ট করে থাকি। এই হাদিসটা আপনার জীবনের কত অ্যাঙ্গেলে গিয়ে ফিট হবে দেখেন। আপনার ২৪ ঘন্টা সময়ের মধ্যে আপনি যে ৮ ঘন্টা নষ্ট করতেন এই একটা হাদিসের উপর আমল করলে আপনার ৮ঘন্টা বেঁচে যাবে। যারা এই যে ভ্রমণের নামে একটু আমোদ প্রমোদ এর জন্য আপনারা যারা ভিজিট করতে যান বিভিন্ন সৈকতে আর বন জঙ্গলে গিয়ে সেলফি উঠান। এটা সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই নয়।
আপনার প্রয়োজনে আপনি সৈকতে বা জঙ্গলে যেতে পারেন কিন্তু কোন কারণ ছাড়া আপনি যেতে পারবেন না। রাসূল (সাঃ) কোন কারণ ছাড়া ঘরের বাহিরে যেতে নিষেধ করেছেন।আপনার মধ্যে দ্বীনদারিতা ত্রুটি আছে। এটা আমি সাকিব বলে দিলাম আপনাকে। বড় আলেমদের ফতোয়া লাগবে না, এক্ষেত্রে আপনি যতো বড় ইমামদেরকে জিজ্ঞেস করেন, ইনশাআল্লাহ তার কথার বিপরীত আমার কথা হবে না।
নিঃসন্দেহে এটা কোনদিন ইসলামিক থিওরি হতে পারেনা। পদ্মা সেতু আপনার যদি কোনদিন প্রয়োজন হয় আপনি সেখানে প্রয়োজনের তাগিদে যেতে পারেন। কিন্তু আপনি ফ্যামিলিকে গাড়ি ভাড়া করে পদ্মা সেতু দেখতে যাইবেন আর আপনি বলতেছেন যে, একটু মনোরঞ্জনেরও প্রয়োজন। আপনি ধর্মই বোঝেননি।
এমন একটা নেতা বানিয়ে ফেলেছেন যে স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখবে, তার মানে এই জাতি অধঃপতনে যাবে এতে কোন সন্দেহ নেই। এবং রাসূল (সাঃ) বলেছেন → যে কাজে তোমার জান্নাত তুমি পাবেনা! নেকি নাই পরকালে! একটা নেকি নাই! এমন কোন কাজে তুমি লিপ্ত হয়ো না। ছেড়ে দেও সেই কাজকে, ছেড়ে দাও সেই কথাকে! ছেড়ে দাও!
আপনার জীবনের এই হাদিসটা অনেক কাজে আসবে সময়ের সঠিক ব্যবহার শিখাবে অহেতুক কাজে কাজে বাধা দিবে। আপনার ২৪ ঘন্টা সময়ের মধ্যে আপনি যে ৮ ঘন্টা নষ্ট করতেন। এই একটা হাদিসের উপর আমল করলে আপনারা ৮ ঘন্টা বেঁচে যাবে। আপনি দেখেন আপনি কত ঘন্টা নষ্ট করেন। কোথায় বসে আপনি কত ঘন্টা নষ্ট করেন। আরে আমাদের সালাফরা! খাদ্যের ক্ষেত্রে আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা বসে বসে খাই।
তারা এত সময় খাদ্যের মধ্যে ব্যবহার করতো না। আর আজকে আমরা চায়ের হোটেলে বসে সময় পাস করি। আপনাদের নাকি সময় পাস হয় না সুবহানাল্লাহ। সময় নাকি পাস হয় না। আমি একজন শিক্ষকের, জাবেদ ক্বাসেমী সম্ভবত উনার এক বক্তব্যে শুনেছিলাম, কোনো এক মাঠের মধ্যে তিনি দেখছেন, পোলাপান ক্রিকেট খেলছে তিনি সকালে যাচ্ছেন বিকেলবেলা কোন একটা সেমিনার শেষ করে এসে দেখে ওই লোক গুলো তখনও মাঠে খেলাধুলা করতেছে।
তিনি গাড়িটা থামিয়ে দিয়ে বলতেছে যে ওরা কি করে, বলতেছে ওরা টাইম পাস করে, তো তিনি বলেতেছেন, সুবহানাল্লাহ! ওদের কাছে এত টাইম। যে এরা টাইম খরচ করবে কোথায় জায়গা পায় না। আল্লাহ যদি আমাদের টাইমটা একটু বাড়িয়ে দিতো।আমাদের টাইম হয় না। আর আপনাদের টাইম শেষ হয় না। এর জন্য আপনারা গেমস খেলেন, আপনারা টিভি দেখেন, চায়ের হোটেলে বসে থাকেন।
আমাদের অনেক ভাইয়ের আছে পদ্মা সেতু দেখতে যায়। আপনার দ্বারা দ্বীন সেইফ নয়। পদ্মা সেতু আপনার যদি কোনদিন প্রয়োজন হয় আপনি যায়েন। কিন্তু আপনি ফ্যামিলিকে গাড়ি ভাড়া করে পদ্মা সেতু দেখতে যাইবেন। আর আপনি বলতেছেন যে একটু মনোরঞ্জনের প্রয়োজন। আপনি ধর্মই বোঝেননি। বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া এটা রাসূল (সাঃ) পছন্দ করেনি কখনো।
যারা এই যে ভ্রমণের নামে একটু আমোদ-প্রমোদের নামে আপনারা যারা ভিজিট করতে যান বিভিন্ন সৈকতে আর বন জঙ্গলে গিয়ে সেলফি উঠান। আপনার মধ্যে দ্বীনদারিত্ব ত্রুটি আছে। এটা আমি সাকিব বলে দিলাম আপনাকে। বড় আলেমদের ফতোয়া লাগবে না এক্ষেত্রে, আপনি যতো বড় ইমামদের জিজ্ঞেস করেন, ইনশাআল্লাহ তার কথার বিপরীত আমার কথা হবে না।
নিঃসন্দেহে এটা কখনো ইসলামী থিওরি হতে পারে না। আপনি আপনার ঘরে থাকেন। আপনি সেইফ থাকবেন। রাসূল (সাঃ) বলছেন ফিতনার সময় যেই ব্যক্তি বসে থাকবে সে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি থেকে উত্তম, যে ব্যক্তি শুয়ে আছে সে সেইফ, ফুটবল খেলার সময় যে ব্যক্তি শুয়ে ঘুমিয়ে ছিল সে সেইফ ছিল তার দ্বারা কোন পাপ হয়নি আর যে জেগে ছিল সে খেলা দেখেছে, বাজি ধরেছে, গান বাজনা করছেন গুনাহের মধ্যে ছিল।
যেকোন ক্ষেত্রে আপনি এটা ফিট করতে পারবেন সুবহানাল্লাহ। আপনি ছেড়ে দেন যেটার সাথে আপনার সম্পর্ক নাই, আরে বাচ্চারা কি গেমস খেলে, আমি দেখেছি বড় বড় ছেলে মেয়েও বর্তমানে গেমসে ডুবে আছে। আর সবচেয়ে বড় দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, যে রাষ্ট্রের নায়ক স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখে সেই জাতি
কোনদিন কল্যাণ পেতে পারে না। একটা রাষ্ট্রের নায়ক বুঝে না তার দায়িত্ব কি..? এমন একটা নেতা বানিয়ে ফেলেছেন যে স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখবে, তার মানে এই জাতি অধঃপতনে যাবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
আপনাকে ছাড়তে হবে যেটার সাথে আপনার কোনো সম্পর্ক নাই। আরে উমর রাদিআল্লাহু আনহু তার নেতৃত্বে পেয়ে তার অবস্থা খারাপ হয়ে গেছিল। টেনশনে তার অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে গেছিল। আর সেই নেতৃত্বে আপনি বসে খেলা দেখবেন সুবানাল্লাহ। জিনিস তো একটাই! দায়িত্ব তো এটাই ওই একই দায়িত্ব। তার মানে যে রক্ষা পেল সে বেঁচে গেল। যে রক্ষা না করলে সে ডুুবে গেলো।
তাকে ছুড়ি ছাড়াই জবাই করে দেওয়া হয়েছে। এই মর্মেও উক্তি রয়েছে উত্তম ( রাদিআল্লাহু আনহু)। যাকে নেতৃত্ব দেওয়া হলো তাকে চাক্কু ছাড়াই জবাই দেওয়া হয়েছে। সে তার পরকাল ধ্বংস করেছে করেছেই। আর যদি সে পরকালকে ঠিক রেখে চলতে চায় তাহলে সেই ব্যক্তি কোনদিন স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার মত ক্ষমতা তার নাই। পারে না সে এটা, এটা একমাত্র নির্বোধরাই পারে।
তো রাসূল (সাঃ) বলছেন→ তুমি সেটা ছাড়ো যেটার তোমার সাথে কোন সম্পর্ক নাই। তোমার দ্বীনের কোন উন্নতি হবে না তোমার চরিত্রের কোন উন্নত হবে না এমন কোনো কাজের যদি তুমি বান্দা লিপ্ত হও। তাহলে তুমি প্রকৃত অর্থে মুসলিম হতে পারো নাই। এই কথাগুলো ছিল তাদের কাছে দুনিয়া মূল। আজকে এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবে আল্লাহ হাফেজ।
আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি
9 thoughts on "আপনার জীবনকে সঠিক পথে পরিচালনা করতে এই হাদীসটিই যথেষ্ট।"