আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
নিরাশ হয়ো না সাহায্য আসবেই এটা আল্লাহর ওয়াদা।
মানুষের দেওয়া শত সহস্র ব্যথায় যখন আপনার অন্তর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় আপনি ভেঙে পড়েন এবং
তলিয়ে যান হতাশার অথর সমুদ্রে। তখন আপনি সুসংবাদ গ্রহণ করুন আপনার রব তার প্রতিটি কাজে অত্যন্ত শুনেপুন। তিনি জানেন আপনার জন্য কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ। বিপদের দিনগুলো হোক আপনার জীবনের শ্রেষ্ঠ শুকরিয়া আদায়ের দিন।
যে এত বিপদেও আপনি তার কাছে কান্নাকাটি করার সুযোগ পাচ্ছেন তার পরিকল্পনার প্রতি আস্থা রাখুন। শুধু বিশ্বাস রাখুন এই পাহাড় সমান ওজনের ঘূর্ণিঝড় ঠিকই তিনি পার করে আপনার অন্তরকে হালকা করবেন। অন্তর্ভুক্ত করবেন সন্তুষ্ট আত্তাদের ভিড়ে। হয়ত আপনার সামনে এখন বিন্দু মাত্র আলোকচ্ছটাও অবশিষ্ট নেই।
একটা আনন্দের কথা কি জানেন আল্লাহ হযরত ইয়াহইয়া আলাইহি সালাম সম্বন্ধে বলেন, হে জাকারিয়া আলাইহিস সালাম অবশ্যই আমি তোমাকে একজন পুত্রের সুসংবাদ দিচ্ছি তার নাম হবে ইয়াহইয়া, এই নামে আমি ইতিপূর্বে কারো নামকরণ করিনি। ( সূরা মারইয়াম আয়াত ৭)
এখানে আপনি একটি বিষয় খেয়াল করেছেন। তিনি তার বান্দার নাম কবে রেখেছেন বা রাখেননি সেটাও খেয়াল রেখেছেন। প্রতিটি বান্দা কখন কোথায় কিভাবে থাকে তারও খবর তিনি রাখেন। এমনকি আমাদের অন্তরে থাকা প্রতিটি শব্দ বা অনুভূতি ও তিনি জানেন।
তিনি বলছেন, তিনি তাদেরকে পরিবেষ্টন করে রেখেছেন এবং তিনি তাদেরকে বিশেষভাবে গণনা করেছেন। (সূরা মারইয়াম আয়াত ৯৪)
এই আয়াতটা সাদামাটা মনে হলেও যদি এটা নিয়ে আমরা ভাবতে বসি তাহলে আল্লার প্রেমে পড়তে আমরা বাধ্য হব। পৃথিবীর ইতিহাসে কত মিলিয়ন দিবস পার হয়েছে তার হিসাব কি আছে অথচ আরশের অধিপতি জমিনে থাকা প্রতিটা মানুষের নাম সম্বন্ধেও এতটা সতর্ক যে তিনি কোরআনের মত একটা মহিমান্বিত গ্রন্থে এই কথাটাকে উল্লেখ করে দিলেন। আপনি কি অনুধাবন করতে পারেন কতটা গুরুত্বপূর্ণ না হলে আল্লাহ এমন একটা আয়াত নাযিল করলেন।
আল্লাহ সুবাহানাহুওয়া তা’য়ালা তার দাসের খবর রাখেন তার কাছে দোয়া না করাতে তিনি অসন্তুষ্ট হন। আর আপনি বারবার পাপ করে ফিরে এলেই তিনি খুশি হয়ে হাসেন। কতই না মহান আমাদের রব। যিনি আমাদের রিজিক দেন এবং আমাদের অন্তরকে তার দ্বীনের প্রতি যোকে দেন। অতঃপর তার বান্দা হিসেবে কোন গ্রহকে আমরা অস্বীকার করতে পারি।
এই আয়াতের অসীম জ্ঞান নিয়ে যদি আমরা ভাবতে বসি তাহলে দেখব তিনি এখানে আমাদেরকে বলতে চেয়েছেন। এ আমার আবদ। তুমি কি জানো তোমার নামটা অবধি আমি জেনে রাখি। যখন তুমি আমাকে ডাকো, তখন তোমার নাম ধরে আমার পবিত্র ফেরেশতারা তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। যখন তুমি মানুষের ভালো কর তখন আমি এত খুশি হই যে তোমার নাম ধরে আমার আরশের পাশে থাকা ফেরেস্তাদের তোমাকে ভালোবাসতে বলি। আর তাড়াও তোমাকে ভালোবাসে। এভাবে তারা পর্যায়ক্রমে আসমান ও জমিনের ফেরেশতাদের নিকট তোমার নাম উল্লেখ করে তোমাকে ভালবাসতে বলে আর তারাও তোমাকে ভালোবাসে। এরপরেও তুমি কিভাবে মনে কর আমি তোমাকে ভালবাসি না..? কিভাবে তুমি ভাবো আমি তোমার কথা শুনি না।
তিনিই তো আমাদের জানিয়ে দিচ্ছেন, নিশ্চই যারা ইমান আনে ও সৎকাজ করে। দয়াময় অবশই তাদের জন্য সৃষ্টি করবেন ভালোবাসা। তাই আমাদের হতাশ হওয়ার কোন সুযোগ নেই। আমরা দুঃখে কাঁদতে পারি আমাদের অশ্রু যুগল ইয়াকুব আলাইহিস সালাম এর মত জ্যোতিহীন হয়ে যেতে পারে, তবুও আমরা হতাশ হতে পারি না।
আমরা না পারি আল্লাহর দিকে অভিযোগের তীর ছুড়ঁতে। আমরা কি এমন মর্যাদার অধিকার হয়ে গেছি যে সবর না করে তার ফল আস্বাদন করতে চাই। কাঁধুন কিন্তু হতাশ হবেন না। অভিযোগ জানান, কিস্তু অভিযুক্ত করবেন না। ধৈর্য অবলম্বন করুন, আপনার জীবনের যা-ই ঘটুক তা নিয়ে সন্তষ্ট থাকুন। নিশ্চই আল্লাহ উত্তম পরিকল্পনাকারী। আজকে এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবে আল্লাহ হাফেজ।
আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি
প্রকৃত পক্ষে আমরা চিন্তা করতেই বুঝিনা, কারণ আমরা বেশিরভাগ মানুষই দুনিয়ার বস্তু কুড়ানোর কাজে আর ভোগে মগ্ন। নাউজুবিল্লাহ। এর ভেতর আপনি অনেক সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন। একটা নতুন চিন্তা শিখতে পারছি।জাঝাকল্লাহ খায়রান।