২০১৫ এর শেষের দিকে এসে
আমরা প্রযুক্তির উৎকর্ষতা অনুভব করছি।
সামনের বছরগুলোতে প্রযুক্তি আরও
উন্নত হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু
আমরা কি কখনো ভেবেছি, এই
উৎকর্ষতায় আসতে আমাদের কত
কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে?

সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে যে
ট্যাব আমরা পরিচালনা করছি খুব
সহজে, এই ট্যাব একটা সময় ছিলো খুবই
দুর্বল এবং স্বল্প ক্ষমতার। এমনকি
রিচার্জেবল ডাবল এ ব্যাটারি
দিয়ে চলতো পৃথিবীর এই বাজে
ট্যাবটি। সর্বপ্রথম আবিস্কৃত হওয়া এই
ট্যাবটির মডেল ছিলো ‘এসিনমড
ইনফোভিউ মেডিকেল ট্যাবলেট
কম্পিউটার’।
এই ট্যাবটি ব্যবহার হতো

হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স এবং
রোগীদের ডাটা দেখার জন্য।

বাইরে থেকে দেখতে ট্যাবটি
যথেষ্ট ফিটফাটই ছিলো কিন্তু এর
ভেতরটা পুরোটাই সদরঘাট।
এভাবে অ্যাপল কোম্পানি তাদের
প্রথম ট্যাবটি বানিয়ে ছিলো। যদি
কোন কারণে হাত থেকে ট্যাবটি
পরে যেতো তবে ওটি আর ব্যবহারের
উপযোগী থাকতো না। ট্যাবটির
৮০০ মেগাহার্জ এএমডি কেলাস
প্রসেসর এবং ন্যানো আইটি এক্স
মাদারবোর্ড ছিলো। ট্যাবটি
উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের
এক্সপি দিয়ে চলতো।

ভেতরে তারের সংযোগগুলো
ছিলো বেশ এলোমেলো। ইইভি
ব্লগে ডেভিড জোনস এটার কেসটি
প্লাইওডের তৈরি বলে চিহ্নিত
করেছেন এবং এটার ইউএসবি সংযোগ
গুলো একটি বোর্ড দ্বারা যুক্ত
ছিলো। এই ট্যাবটার বডির সঙ্গে
যন্ত্রাংশ গুলো শুধুমাত্র একটি

অ্যাডহেসিভ টেপ দ্বারা আটকানো
ছিলো।

এই ট্যাবটির পাওয়ার সরাসরি
মাদারবোর্ডে আসতো। তাহলে
শক্তি সরবরাহ করে কে? মজার
ব্যাপার হলো এই ট্যাবের ভেতরে
রিচার্জেবল ডাবল এ সাইজের
ব্যাটারিগুলোকে অ্যাডহেসিভ
ট্যাব এবং তার দিয়ে সংযুক্ত করা
হয়েছিলো।

এই ব্যাটারি গুলো মাদারবোর্ডে
সংযুক্ত হওয়ার জন্য কোন সকেট ছিলো
না।

Leave a Reply