সবাই কেমন আছেন?
আশা করি সকলেই ভালো আছেন।
সম্প্রীতি প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মার্চেই চলে এসেছে স্যামসাংয়ের নতুন ফোন গ্যালাক্সি এস৯ প্লাস।
তবে নতুন এই ফোনে তেমন নতুন কোন ফিচার বা ডিজাইনের বদল আনেনি কর্তৃপক্ষ। তবে ফোনটিকে কাজের জন্য চমৎকার ভাবে তৈরি করেছে।
নতুন এই ফোনকে প্রথম দেখাতে হয়তো অনেকেই গ্যালাক্সি এস৮ প্লাস ভেবে ভূল করতে পারেন। কারন ফোনের ডিজাইনে পরিবর্তন হয়েছে খুব সল্পপরিমানে।
গ্যালাক্সি এস৯ এর ডিসপ্লে রয়েছে আগের মতোই, এবং দু’পাশের বাটনগুলোও এবং ইউএসবি-সি পোর্ট ও হেডফোন জ্যাক রয়েছে অপরিবর্তিত।
তবে পরির্বতন হয়েছে পেছনের গ্লাস প্যানেলে, সেখানে যুক্ত হয়েছে একস্থানে দুটি ক্যামেরা। এবং ফিংগারপ্রিন্ট সেন্সর ক্যামেরার নিচে রাখা হয়েছে।
নতুন এই ফোনের সামনে ও পেছনের দিকে ব্যবহার করা হয়েছে গরিলা গ্লাস। এবং ফোনের বডি ফ্রেমে ব্যবহার করা হয়েছে হালকা ধাতু অ্যালুমিনিয়াম। তাই ফোনটি ব্যবহারকারীকে ব্যবহার করার সময় সুন্দর একটা গ্রিপ প্রদান করবে।
ক্যামেরা চমৎকার একটা অংশ ফোনের। এই ফোনে রয়েছে শক্তিশালী দুইটি ক্যামেরা। সেই ক্যামেরার অ্যাপার্চার রাখা হয়েছে এফ/১.৫-এ ফলে স্বল্প আলোতে খুবই ভালো ছবি আসবে। এছাড়া এটি বিশ্বের প্রথম দ্বৈত অ্যাপার্চার ক্যামেরা সমৃদ্ধ ফোন।
ফোনের মূল ক্যামেরা এবং অন্যটি ও ১২ মেগাপিক্সেল সমৃদ্ধ। দুটি ক্যামেরাতেই রয়েছে স্ট্যাবিলাইজেশন। এবং সেলফির জন্য আছে ৮ মেগাপিক্সেল অটোফোকাস ক্যামেরা। এটির অ্যাপার্চার এফ/১.৭।
এই ফোন থেকে ৭২০পি রেজুলেশনে ৯৬০ ফ্রেম-পার-সেকেন্ড সুপার স্লো মোশনে ভিডিও করা যাবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক নতুন এই বিলাসবহুল ফোনের বিস্তারিত :-
>এতে রয়েছে ডুয়াল সিম, দ্রুতগতির ফোরজি সমর্থন করে,
>>সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে, ১৪৪০ x ২৯৬০ পিক্সেল রেজুলেশন, এইচডিআর সমর্থন কর,
>>স্যামসাং এক্সিনস ৯৮১০ অক্টাকোর প্রসেসর, ২.৮ গিগাহার্জ গতির ৪টি মঙ্গুস কোর ও ৪টি ১.৭ গিগাহার্জ গতির কর্টেক্স এ৫৫ কোর,
>>মালি জি৭২-এমপি১৮ জিপিউ,
>>৬ গিগাবাইট এলপিডিডিআর৪এক্স র্যাম রয়েছে এতে,
>>৬৪ গিগাবাইট স্টোরেজ, ৪০০ গিগাবাইট পর্যন্ত মাইক্রোএসডি কার্ড ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে,
>>ডুয়াল ১২ মেগাপিক্সেল ব্যাক ক্যামেরা। মূল ক্যামেরার অ্যাপার্চার দুটি, যথাক্রমে এফ/১.৫ ও এফ/২.৪। টেলিফটো ক্যামেরার জুম ২x, অ্যাপার্চার এফ/২.৪,
>>৮ মেগাপিক্সেল অটোফোকাস সেলফি ক্যামেরা, যার অ্যাপার্চার এফ/১.৭,
>>ফোরকে ও ৯৬০ ফ্রেম-প্রতি-সেকেন্ড সুপার-স্লো মোশন ভিডিও করার সুবিধা,
>>ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট, হেডফোন জ্যাক,
>>ডুয়াল ব্যান্ড ওয়াইফাই, ব্লুটুথ ৫, এফএম রেডিও,
>>এনএফসি, জিপিএস, হার্টরেট ও রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ মাপার সেন্সর,
>>ফিংগারপ্রিন্ট সেন্সর ও আইরিশ স্ক্যানার,
>>তারহীন চার্জিং, স্যামসাং অ্যাডাপ্টিভ চার্জিং ৩৫০০ এমএএইচ ব্যাটারি,
>>৩২বিট, ৩৮৪ কিলোহার্জ হাই-ফাই অডিও সমর্থন,
>>আইপি ৬৮ পানি ও ধূলাে নিরোধী বডি।
ফোনটির মূল্য : প্রি-অর্ডারের মূল্য ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৯০০ টাকা।
এক নজরে ফোনটির ভালো দিক:
চমৎকার ক্যামেরা, সুন্দর ডিসপ্লে, সাউন্ড ও পারফরমেন্স এর দিক দিয়েও বাজারের প্রতিদ্বন্দ্বী ব্র্যান্ডগুলোর চেয়ে এগিয়ে অথবা সমকক্ষ।
ফোনটির এক নজরে খারাপ দিক:
ফোনটি দেখতে প্রায় আগের মতোই, এবং এর দাম বেশি হওয়াতে এই ফোন অনেকেরই নাগালে বাহিরে।
সবশেষ আপনার যদি থাকে বাজেট এবং ইচ্ছে করে এই বিলাসবহুল ফোনটিকে নিজের করে নিতে তাহতে করে ফেলতে পারেন প্রি-অর্ডার।
কোন ভুলহলে ক্ষমাদৃষ্টিতে দেখবেন,
ধন্যবাদ সকলে পোষ্টটি পড়ার জন্য।
tobe amder nagaler baire ai phone……
ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
কি ব্রো?
কিন্তু আজ গরীব বলে?
ভাই সাথে wifi কানেক্ট ও করা থাকে 😉