হেই গাইস ইমরান হেয়ার, বরাবরের মতো কেমন আছেন সেটা জানতে চাচ্ছি না কারণ আমি অবশ্যই জানি এই ট্রিকবিডিতে যারা ভিজিট করেন তারা সব সময় ভালোর দলেই থাকেন।
আইফোন ইলেভেনের ক্যামেরা প্লেসমেন্ট টা কে খুব ভালো মতোই কপি করতে পেরেছে “আইটেল ভীষণ ওয়ান” এবং তার জন্য অনেকে আবার বলছেন এটা নাকি গরীবের আইফোন ইলেভেন প্রো,
আইটেল এই ফোনটির নাম দিয়েছে “ভীষণ ১” এবং এটা আইটেল এর তরফ থেকে একটি লো বাজেট সেগমেন্ট এর ফোন।
তো আজকের এই পোস্টটি আপনি সম্পূর্ণ দেখলে নিশ্চয়ই জানতে পারবেন এই ফোনের খারাপ এবং ভালো দিক, এবং এটাও জানাবো এই বাজেটে আপনি ফোনটি ক্রয় করলে আপনার জন্য ভালো নাকি খারাপ হবে সব তাহলে চুপ করে ঠান্ডা মাথায় পড়ে ফেলুন পুরো পোস্টটি।
আইটেলের এই ফলটিকে এই প্রাইসের মধ্যে আমার সবথেকে বেস্ট মনে হয়েছে এই স্মার্টফোনটি যারা আমার হাতে দেখেছিল তারা বিশ্বাসই করতে চাইছিলো না যে এই ফোনটির দাম এত কম, যদিও তা হওয়ারই কথা কারণ এই ফোনটি দেখে মনেই হয় না এর দাম এত কম।
পার্সোনালি যদি বলি তাহলে এই ফোনটির ডিজাইন আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে, এবং এছাড়াও এর আইফোন ইলেভেন প্রো এর ক্যামেরা প্লেসমেন্ট এর জন্য ও কিন্তু এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
আর বর্তমানে কিন্তু এই ফোনটি কেনার ক্ষেত্রে বাংলালিংকের সাথে ১২ জিবি ইন্টারনেট প্লাস ২০০% বোনাস অফার থাকস সো এখানে স্পষ্ট আকারে বোঝা যাচ্ছে যে এই ফোনটি ক্রয় করার ক্ষেত্রে আপনি অনেক ভাবেই লাভবান হবেন।
ডিসপ্লে সেকশনে এই ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে 6.09 inche আইপিএস এলসিডি ফুল এইচডি ডিসপ্লে এবং পিপি আই ২৮২ এককথায় ডিসপ্লেটি ছিল পুরাই মাখন এটি ছিল খুবই কালারফুল ফেভারিট এবং আই প্লিজিং।
ব্যাটারি সেগমেন্টে ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৪০০০ মিলি এম্পিয়ার এর ব্যাটারি যা এই রেঞ্জের ফোনের জন্য বেশ অবাক করা, আর এর ব্যাটারি ব্যাকআপ নরমাল ইউজে আপনি এক দিনের মতো ব্যাকআপ পাবেন!
তবে আপনি যদি হেব্বি ইউজ করেন তাহলে ৬ ঘণ্টার মতো ব্যাকআপ অনার্সে পেয়ে যাবেন।
চার্জিং এর জন্য এতে থাকছে একটি মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট এবং এটি চার্জ হতে সময় নেবে দুই ঘণ্টার মত,
আর ফোনটি খুবই হালকা পাতলা এর ওয়েট হলো মাত্র ১৭০ গ্রাম এবং একহাতে খুব স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করা যাবে।
তাই নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এটি কোন গেমিং ডিভাইস নয়, তাই আপনি যদি তাও গেম খেলতে চান তাহলে ছোট্ট ছোট্ট গেমগুলো প্লে করতে পারবেন অনায়াসে, যদি আমি পাবজি মোবাইল এবং ফ্রী ফায়ার খেলার চেষ্টা করেছি।
তবে আমি ব্যর্থ হয়েছি কারণ প্রচুর পরিমাণ ফেম ড্রপ এবং লেগ লক্ষ্য করেছি মাঝেমধ্যে তো ফোন আপনাআপনি বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। তবে এতে ফ্রী ফায়ার এবং পাবজি মোবাইল লাইট ভার্সন রয়েছে এগুলো খেলতে পারবেন অনায়াসে।
আর আপনি যদি ব্রাকগ্রাউন্ড খুব বেশি আপনা রাখেন তাহলে মোটামুটি ভালো একটা এক্সপেরিয়েন্স পাবেন।
আর এই ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ২ জিবি রেম এবং ৩২জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজঃ।
এবার আসি ফোনটির ক্যামেরা সেকশনে,
ক্যামেরা সেকশনে তারা দিয়েছে রিয়ারে ডুয়েল ক্যামেরা সেটআপ যার প্রাইমারি হল ৮ মেগাপিক্সেল এবং আরেকটি হল ০.৮ মেগা পিক্সেলের একটি ডিপ সেন্সর।
ডে টু লাইট এর পিকচার কোয়ালিটির কথা বলতে গেলে এই প্রাইস রেঞ্জ বেশ ভালই পারফর্ম করছে ডায়নামিক রেশিও মোটামুটি থাকলেও এর সার্ফ রেনস ছিল খুবই ভালো,
আর অন্যদিকে এর ৫ মেগা পিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা ছিল মোটামুটি ঠিকঠাক ভালো ব্যাপার হলো ফ্রন্ট এবং রিয়ার দুটো সাইটেই থাকছে পোর্ট্রেট মোড। তো সব মিলিয়ে বলা যায় যে এই রেঞ্জের ফোন গুলোর মধ্যে এই ফোনের ক্যামেরা টিই জোশ।
আশা করেছিলাম হয়তো ফোনটিতে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে থাকবে অ্যান্ড্রয়েড ১০ তবে সেটি থাকছে না তার বদলে থাকছে অ্যান্ড্রয়েড ৯ pie তবে এখানে আলাদা কাস্টম রম ব্যবহার করা হয়েছে কিন্তু এর নাম উল্লেখ নাই।
সিকিউরিটি হিসেবে থাকছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ফেস আনলক ফিচারস আমি ফিঙ্গারপ্রিন্ট টেস্ট করেছিলাম রেজাল্ট পেলাম খুবই ফাস্ট জাস্ট আঙুলটা লাগানো মাত্রই ডিভাইস টি আনলক হয়ে যাচ্ছিল।
তো এই রেঞ্জের মধ্যে যারা স্মার্টফোন কিনবেন তাদের জন্য সাজেস্ট থাকলো এই ফোনটিই কেনার জন্য।
তো প্রায়ই সেদিক বিবেচনা করলে এই ফোনটির অনেক ভালো মন্দ দিক রয়েছে তবে খারাপ দিক সে তুলনায় কিছুই না তবে এই ফোনটি যেদিক দিয়ে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো মনে হয়েছে সেটি হল এর ডিসপ্লে এবং এর ডিজাইন আর এটি হবে কিন্তু এই ফোনটির মূল হাতিয়ার।
ওহে আরেকটি কথা বলতে তো ভুলেই গেছি এই ফন টি কিন্তু ২জি ৩জি এবং সুপার ফাস্ট ৪জি সব সাপোর্ট করে।
তাই আবারো বলছি যারা ৬-৭ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্টফোন ক্রয় করতে চাচ্ছেন তারা এই ফোনটিই কিনতে পারেন কারণ এই প্রাইজে এটাই বাজারের সেরা স্মার্টফোন।
তো আজকের মতো এই এ পর্যন্তই আর হ্যাঁ আপনি নিশ্চয়ই কমেন্টে লিখুন নেক্সট পোস্টে আপনি কোন ফোন কিংবা গ্যাজেট রিভিউ চাচ্ছেন।
পোস্টটি শেয়ার করে আপনার বন্ধুকে দেখার সুযোগ করে দিন, আর লাইক দিয়ে আমাকে একটু উৎসাহিত করুন আর কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মন্তব্য নিশ্চয়ই লিখুন, তো ভাল থাকুন সবাই আল্লাহ হাফেজ।
15 thoughts on "Itel Vision 1 এ যেন গরীবের আইফোন ১১ | মিড রেঞ্জ বাজেটের কিং!!"