হেই হোয়াটসআপ দিসিজ রাতুল ফ্রম ট্রিকবিডি! এবং আজ আমরা দেখতে যাচ্ছি Redmi k30 pro 5G Or poco f2 pro কি মনে হয় আজ আমার ওপেনিয়ন এটিকে নিয়ে কোন দিকে যেতে পারে?
পজেটিভ নাকি নেগেটিভ ? let’s find out!
তো উপরে যেই ফোনটিকে দেখছেন এটি হচ্ছে রেডমি k30 প্র ফাইভ জি! আকার এবং ডিজাইন ল্যাঙ্গুয়েজে অনেকটাই মিল আছে রেডমি k৩০ ওরফে পোকো x2 এর সাথে যেগুলোর রিভিউ আমি অলরেডি করে রেখেছি চাইলে আমার প্রোফাইল চেক করে দেখে আসতে পারেন!
বিল্ট মেটেরিয়াল অনেক ইন প্রুফ হয়েছে মেটাল ফ্রেম এবং গরিলা গ্লাস ফাইভ এর ব্যাক প্যানেল! রেডমি k৩০ প্র এর উচ্চতা ১৬৩ দশমিক ৩ মিলিমিটার। চোওড়ায় ৭৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার এবং ওজন ২১৯ গ্রাম।
রেডমি k30 প্র হাতে নিয়ে বুঝলাম বেশ grif দিচ্ছিল যদিও এত বড় স্মার্টফোন একহাতে ব্যবহার করা স্টিল চ্যালেঞ্জিং। তবে এই কিছুদিনের ব্যবহারে আমার আমার কাছে ওজনের ব্যাপারটা শয়ে গেছে।
সামনে পাবেন এর ৬.৬৭ ইঞ্চ অ্যামোলেড ডিসপ্লে 1080×2400 রেজুলেশন এবং তাঁর ডিসপ্লেতেই আপনি পাচ্ছেন in-display ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার! এবং স্নাপড্রাগণ ৮৬৫ ফ্লাগশিপ এস ও সি! যা একে করে তুলেছে একটি ফ্লাগশিপ কিলার ডিভাইস! একই সাথে আছে ফাইভ জি সাপোর্ট।
রেম ইন্টারনাল স্টোরেজঃ পাচ্ছেন ৬-১২৮ – এবং ৮-১২৮ এবং ৮-২৫৬ এডিএস বি টাইপ সি পোর্ট এর স্পিড হচ্ছে ইউএসবি ২.০ যা একটি ফ্লাগশিপ স্মার্টফোনে মোটেও কম্ব নাই। তারা অন্য কোথাও কস কাটিং করে নিতে পারত এটির বিনিময়।
৪৭০০ মিলি এম্পিয়ার এর ব্যাটারী থাকছে ৩০ ওয়ার্ড এর ফাস্ট চার্জিং সহ ফুল চার্জ হতে সময় লাগে ১ ঘন্টা ৪০ মিনিটের মত! ৫০ পার্সেন্ট চার্জ হয়ে যায় ৪০ মিনিটে এবং ৮০ পার্সেন্ট চার্জ হয়ে যায় মাত্র ১ ঘণ্টা ১০ মিনিটের মধ্যেই।
উপরে আছে একটি 20 megapixel এর পপ-আপ সেলফি ক্যামেরা ক্যামেরা টি বের হওয়ার সময় দেখতে পারবেন এর চমৎকার লাইটিং এনিমেশন যেটি একই সাথে নোটিফিকেশন লাইট এর ও কাজ করে যেটা আমার কাছে ইউজলেস মনে হয়েছে।
উপরে আরো আছে IR sensor যেটি দিয়ে কন্ট্রোল করতে পারবেন টি ভি এস সি ইত্যাদি তবে আমার বাসার টিভি কাজ করে না! কোন ব্র্যান্ডের টিভি জানতে চেয়ে লজ্জা দেবেন না।
ফোনটির মধ্যে আরো আছে সেকেন্ড মাইক্রোফোন অডিও জ্যাক পোর্ট নিচে আছে ডুয়েল সিম কার্ড স্লট ইউএসবি type-c মাইক্রোফোন ইত্যাদি ইত্যাদি! রেডমির স্পিকার এবং হেডফোন জ্যাক এর পজিশন আমার খুবই পছন্দ হয়েছে গেম খেলার সময় সাউন্ড ব্লক হওয়ার কোনো চান্স নাই এবং ইয়ারফোন জ্যাক আর বাম হাত ঢুকাতে পারবে না আপনার গেমিং সেকশন এ।
ডান পাশে থাকতে বাটনগুলো লাল রঙের বাটনটি পাওয়ার বাটন। যেগুলি সত্যি আমেজিং পিছনে রয়েছে মেন ক্যামেরা হাউসিং ২ মেগাপিক্সেলের প্রটেক্ট লেন্স ১৩ মেগাপিক্সেলের F2.4 ওয়ান হান্ড্রেড এন্ড টুয়েন্টি থ্রি ডিগ্রী আল্ট্রা ওয়াইড লেন্স ৬৪ মেগাপিক্সেল F1.89 IMAX ক্যামেরা এবং ৫ মেগাপিক্সেল f.2.2 ফিফটি মিলিমিটার টেলি ফটো ম্যাক্রো লেন্স!
তো চলুন ফোনটির ক্যামেরা সম্পর্কে কিছু বলি!
ফ্ল্যাগশিপ প্রসেসর এর ক্যামেরা প্রসেসিং সব থেকে ভালো হয়ে থাকে আমার খুব ভালো লেগেছে শার্পনেস এবং কাছের ও দূরের অবজেক্ট এর ডিটেলস এর পরিমান।
আর ভালো লাগেনি এর হোয়াইট ব্যালেন্স colour adjustment এবং সফটওয়্যার এর কিছু সমস্যা গুলো।
ওয়াইট ব্যালেন্স সব সময় সিমিলার টু আইফোন এর মত ছবি দিচ্ছে। কেউ পছন্দ করবে তো কেউ করবে না এটা কালার অ্যাকুরেসি একুরেট ছিলনাতবে যে কালার প্রডিউস করছিল তা ১০ জনের মধ্যে ৮ জনি পছন্দ করবেই।
এই আই মুডে কালার কালার রিপ্রোডাকশন এই প্রথম আমার অনেক ভালো লেগেছে। কোন কালার অযথা বাড়িয়ে দিয়ে নষ্ট করে দিচ্ছিল না স্পেসিফিক ভাবে যদি সবুজ কালারের কথা বলি।
এইচডিআর মুড লো লাইট এ ঝামেলা কোরছিলো তবে দিনের লাইটে ভালই কাজ করছিল, আল্ট্রা হোয়াইট অ্যাংগেল ক্যামেরা সত্যিই অ্যামেজিং কালার গুলো দেখে মনে হচ্ছিল কেউ যেন এতে সিনেমা ট্রিক কালার গ্রেট করে দিয়েছে।
নট রিয়েলিস্টিক আবার অরজিনাল ও নয় শ্যাডো এরিয়াতে ডিটেলস হারাবেন ক্লোজ রেনস ডিটেলস ওকে শারপনেস ও ওকে ডায়নামিক মোটামুটি ঠিকঠাক।
আমার এখনো পর্যন্ত দেখাও সেরা মাইক্রো ক্যামেরা টি হল এই ফোনে ফিফটি মিলিমিটার ফোকাল লেন্থ এর টেলি ফটোর মাইক্রো ক্যামেরা ডিটেলস ছিল অসাধারণ। for the best রেজাল্ট আপনার সব সময় ফ্ল্যাশ লাইট অন করে ছবি উঠাতে হবে।
আর ফিফটি মিলিমিটার ফোকাল লেন্থ হাওয়াই এটাতে আপনি দেখতে পেতে যাচ্ছেন বিউটিফুল বকের।
প্রটেক্ট মুডে তোলা ছবিগুলো ছিল খুবই ভালো তবে এটা লো লাইট এ ছবি প্রচুর পরিমাণ ইসমুত করে ফেলছিলো!
পুরো ক্যামেরা প্যাকেজ যে কোন ফোনের থেকে অনেকগুণ ভালো এটা ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস এর সাথে কোন অংশেই কম নয়। অভারআল ফোনের প্রাইজের কথাও মাথায় রাখতে হবে!
ফোনটি থেকে ভিডিও করা যাবে 8k 30fps – 4k 60fps -মেন ক্যামেরা দিয়ে এবং ফ্রন্ট ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করা যাচ্ছে 1080p- 60fps এ!
ফোরকে ভিডিওতে ডায়নামিক রেনস শারপনেস ডিটেলস কালার ইত্যাদি ইত্যাদি আসলে দেখার মত ছিল।
8k কে তেও সমান অবস্থা staff nurse আরেকটু বেটার কেউ কেউ বলছে এটা নাকি সিক্সকে থেকে aap scale করে 8k তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তবে কোয়ালিটিটা ভালোর দলেই রয়েছে।
আল্ট্রা ওয়াইড এর সুপার স্টেবল ভিডিও কোয়ালিটি তে যুক্ত হলো 4k 30fps ওয়র্কস গ্রেট মানে এক কথায় আপনার ট্রাভেল ব্লগ হবে সত্যিই অসাধারণ।
স্লোমোশন আছে 960fps -1080p রেজুলেশন।
ক্যামেরাতে পিকচার থেকে ভিডিওতে সুইচ করার সময় আটকে থাকার একটা সমস্যা চোখে পড়েছে!
আর প্র মুডে আপনি ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন অনেকটাই ডিএসএলআর ক্যামেরা গুলোর মত একটা একটা করে শেভিং চেঞ্জ করে আর পিকচার কোয়ালিটি সেম রেখে সাইজ কমিয়ে আনার জন্য থাকছে heif image extraction support লাইক আপেল মোবাইল।
পারফর্মেন্সের কথা বলতে গেলে অবশ্যই বেস্ট ছিল কোন ডাউট নেই এটা এন টুটু রেংকিং এ নাম্বার ৩
ইনফ্যাক্ট এই ফোনটির 8gb কিংবা ১২ জিবি র্যামের ফোনে antutu score ৬ লক্ষ্য পাস করে ২ অথবা ১ নম্বর পজিশনে চলে আসার একটা সম্ভাবনা দেখছি।
থ্রিডি মার্কস লিংক শর্ট ওপেন করার সময় এটি বলছিল the xiaomi redmi k30 pro can out perform 99% of phone in the test স্কোর দেখে আশা করছি বলার কোন প্রয়োজন নাই।
গেমিং এর ক্ষেত্রে ঠিক কেমন হতে চলেছে, এতে ফাইভ-জি মডেম পাচ্ছেন একটু কম পাওয়ারফুল।
কল কোয়ালিটি এক কথায় অসাধারণ ইয়ারপিচ সাউন্ড একটু বেশি লাউড পাশের মানুষ বেশি কাছে থাকলে কথাগুলো শুনে ফেলতে পারে। ওয়াইফাই ৬ এর সাপোর্ট রয়েছে এর ওয়াইফাই স্পিড আমার এখন পর্যন্ত দেখা সেরা স্পিড মনে হয়েছে।
ডুয়েল ব্র্যান্ড জিপিএস আছে এই ফোনটির মধ্যে লোকেশন পেয়ে যায় সুপারফাস্ট।
gaming on this smartphone is excellent ম্যাক্স গ্রাফিক্সের দেয়ার পরেও গেমে LaG দেখতে পারলাম না আফসোস।
হেবি ইউজ এ ফোনটা গরম হবে ভালো ব্যাপার যে এতে ব্যবহার করা হয়েছে চেম্বারটি ৮% এরিয়া জুড়ে রয়েছে ইনসিওর করবে প্রপার হিটস স্প্রাইট এতে করে লম্বা সময় হেব্বি ইউজ এও পারফরম্যান্স ড্রপ করেনি আমার ব্যবহারে।
আমি redmi k30 Pro কে এর লিমিট পর্যন্ত পুশ করে পেয়েছি সর্বনিম্ন ৫ ঘন্টা স্ক্রীন অন টাইম এবং একদম সাধারন ব্যবহারে পেরেছি পুরা ১০ ঘন্টা স্ক্রীন অন টাইম যা সত্যিই অসাধারণ।
এমন একটি সিক্সটি হার্স ডিসপ্লে আমি সানন্দে গ্রহণ করতে রাজি আছি এনিটাইম এনি মোমেন্ট।
তবে ডিসপ্লেটির পিক্সেল রেসপন্স টাইম আমার মনে হয় আরেকটু বেটার হলে ভালো হতো। আপনি হয়তো ভাবছেন K30 এর মত মিড রেঞ্জ ডিভাইস এ 120Hz ডিসপ্লে দিতে পারলে এই ফ্লাগশিপ এ কেন দিতে পারল না,
আসলে প্রাইসটা একটু কমানোর জন্য এই ডিসপ্লে টাই দিতে হয়েছে শাওমি কে। তবে এটা অবশ্যই একটি ফ্লাগশিপ ডিসপ্লে।
ইন ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার খুবই ফাস্ট, মেবি কিছু রিয়েলমি ডিভাইজের মত ক্রেজি ফাস্ট না আর এর অ্যাকুরেসি নিয়ে বেশ কঠিন সময় পার করতে হয়েছে আমার মাঝে মাঝে অঙ্গুল ডিটেক্ট করতে পারছিল না।
এটা মূলত আমার রিয়েল মি ব্যবহার করে হালকাভাবে প্রেস করার অভ্যাসের কারণে হচ্ছে।
তাই আপনি এতে আরেকটু জোরে প্রেস করুন এতে করে এক থেকে একশ বার ই আনলক হবে। আর প্লেসমেন্টের কথা বলতে গেলে আমার কাছে পারফেক্ট মনে হয়েছে!
রেডমি k৩০ প্র এর ইউ আই আমার ভালোলাগার মধ্যে আরেকটি ছিল এই ইউ আই সম্পর্কে আমার অনেক কিছু বলার আছে তবে আজকে আমরা সংক্ষিপ্ত করব।
এই ইউ আই এর বেস্ট ফিচার হচ্ছে এর অটো রোটেশন আপেলের মত প্রায় নাইন্টি পার্সেন্ট এর কাছাকাছি দিতে পেরেছি এই ইউ আই তার মানে বুঝতেই পারছেন আর ভেঙেচুরে কিছু বলার নাই।
এতে পাবেন না গুগল প্লে স্টোর কিন্তু আপনি চাইলে আপনি গুগল প্লে স্টোর এপিকে ফাইল টা গুগলে সার্চ করে ডাউনলোড করে নিলেই ব্যবহার করতে পারবেন।
আপনি যদি দামের কথা এবং ওভারঅল পারফরম্যান্সের কথা চিন্তা করেন তাহলে আমি বলব এটাই সেরা স্মার্টফোন মার্কেট এ মূলত এই কারণেই ডিভাইসটিকে বলা হচ্ছে ফ্লাগশিপ কিলার।
এতে ফিচার ই ব্যবহার করা হয়েছে ফ্লাগশিপ গ্রেট এর কিন্তু দাম প্রায় অর্ধেকের মতো মাত্র ৪৪ থেকে ৪৭ হাজারের মধ্যেই।
গল্পে গল্পে চলে আসলাম আমাদের আজকের পোষ্টের একেবারে শেষ প্রান্তে আমাদের আজকের আয়োজন যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে লাইক দিবেন শেয়ার করে বন্ধুদের মাঝে ছড়িয়ে দিন।
তো ভাল থাকুন সবাই আল্লাহ হাফেজ।
17 thoughts on "Xiaomi redmi k30 Pro | বাংলা রিভিউ | একেই বলে ফ্লাগশিপ আত্মহত্যাকারী!"