হ্যালো বন্ধুরা আমি অনামিকা আছি আপনাদের সাথে এবং ফাইনালি বাংলাদেশের চলে এলো রিয়েলমি না narzo সিরিজের একটি স্মার্টফোন narzo 20 এই সিরিজটি কিন্তু একদম নতুন কিছু নয় এটি মূলত ইন্ডিয়া বেস একটি ভ্যালু ফর মানি সিরিজ ছিল। বাট বাংলাদেশ অফিশিয়ালী narzo চলে আসাই ব্যাপারটা বেশ ভালো লাগলো।
Narzo 20 এর কিছু স্ট্রং পয়েন্ট থাকছে, যেমন এর গেমিং বেস প্রসেসর ৬,০০০ মিলি এম্পিয়ার ব্যাটারী।
এবং অবিয়াসলি এই ফোনের অফিশিয়াল প্রাইস। বাংলাদেশের মার্কেটে এই ফোনটি ১৪ হাজার টাকা প্রাইস এ লঞ্চ করা হয়েছে ।
যেটিতে থাকছে ৪ গিগাবাইট র্যাম এবং ৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ। এবং আমার পার্সোনালি মনে হয় প্রাইস ঠিকঠাক ছিল।
তাই বাজেটের মধ্যে যারা গেমিং ডিভাইস খুঁজছেন তাদের জন্য খুবই ভাল অপশন এটি,
তো অভারঅল ১৪,০০ টাকা প্রাইস যে এই ফোনটি কেমন হবেসেটি নিয়ে ডিটেলসে কথা বলবো আজকের পোস্টে।
Narzo 20 এর বক্সে যা যা পাবেন।
১। কিছু পেপার ওয়ার্কার্স
২। এইটিন ওয়ার্ডের একটি ফাস্ট চার্জার।
৩। ইউএসবি a2 type-c ক্যাবল।
তো এবার মুল আলোচনায় যাওয়া যাক।
ফোনটি নিচের দিকে থাকছে 3.5 মিলিমিটার অডিও জ্যাক, মাইক্রোফোন ইউএসবি টাইপ সি পোর্ট টু বি অনেস্ট এই প্রাইস এর ফোনে ইউএসবি টাইপ সি দেখে খুবই ভালো লাগলো।
এর পাশে থাকছে সিঙ্গেল স্পিকার যার সাউন্ড কোয়ালিটি মোটামুটি ওকে লেভেলের ছিল। তবে লাউড়নেস আমার কাছে অতটাও ভালো মনে হয়নি।
এই ফোনের ডানদিকে থাকছে পাওয়ার বাটন, ভলিউম রকার, অন্যপাশে ট্রিপল স্লট এর সিম ট্রে তাই এতে ২টি সিম এবং একটি মাইক্রো এইচডি কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।
রেয়ার এ থাকছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার যে তার অবস্থান খানিকটা উপরে আমার মনে হয় আরেকটু নিচে দিলে সব চাইতে বেটার হতো আনলক করার ক্ষেত্রে। তবে এর অ্যাকুরেসি এবং আনলক স্পিড ছিল যথেষ্ট ফাস্ট।
এই ফোনে যেটা পাচ্ছেন না সেটি হচ্ছে নোটিফিকেশন লাইট, যদিও রিয়েলমির কাছে এটা আশা না করাই ভালো।
থাকছে না সেকেন্ডারি নয়েজ ক্যালকুলেশন মাইক্রোফোন।
তবে ভালো বিষয় হচ্ছে এতে প্রয়োজনীয় সব সেন্সর ই থাকছে,
ডিসপ্লে হিসেবে Narzo 20 তে থাকছে ৬.৫ ইঞ্চির এইচডি প্লাস ডিসপ্লে, যার পিপিআই ডেনসিটি ২৭০ পিক্সেল।
তবে ফুল এইচডি প্লাস ডিসপ্লে ব্যবহার করা হলে এই ফোনে প্রসেসিং পাওয়ার ও কিছুটা কমে যেত সেটাও তো মাথায় রাখতে হবে।
তো এই ডিসপ্লেতে বেটার surface ছাড়া অন্যান্য দিক যেমন কালার ভিউ এঞ্জেল টাচ রেসপন্স অন্যান্য সবদিক থেকেই ঠিকঠাক ছিল।
আর ডেলাইট এ ও বাজেট অনুযায়ী আমার কাছে ভালোই লেগেছে এর ডিসপ্লে।
তবে একটা বিষয় নিয়ে আমি একটু কনফিউজ সেটি হচ্ছে ডিসপ্লে তে কি প্রটেকশন ব্যবহার করা হয়েছে সেটা জানতে পারিনি।
তাই অবশ্যই আমার রিকমেন্ট থাকবে এতে একটি গ্লাস প্রোটেক্টর ইউজ করার জন্য।
Narzo 20 এর যে সেগমেন্ট টি আগামী বেশ কয়েকদিন আলোচনায় থাকবে সেটি হচ্ছে এর পারফর্মেন্স।
আমি শুরুতে যেমনটি বলেছিলাম এটিতে MediaTek helio G85 প্রসেসর থাকবে, যেটা মোটামুটি লেভেলের গেমিং প্রসেসর লো বাজেট সেগমেন্ট এ।
এটি ২গিগাহার্জ ক্লক স্পিড এর একটি অক্টা কোর প্রসেসর। কিন্তু এর স্ট্রং পয়েন্ট হচ্ছে এর জিপিইউ এটিতে ব্যবহার করা হয়েছে Ma-li G52 MC2 জিপিইউ।
এই সিপিইউ এর প্রসেসিং কে কম্পেয়ার করা যায় স্নাপড্রাগণ ৬৬২ এর সঙ্গে। তবে এর জিপিইউ বেঞ্চমারক স্কোরে দেখা যায় এটি স্নাপড্রাগণ ৭২০জি কেউ বিট করতে পারে।
ওভারঅল এই প্রসেসরটি স্নাপড্রাগণ ৬৬২ এর চাইতে কিছুটা বেটার পারফর্ম করবে।
তবে গেমিং এর ক্ষেত্রে এতে কিছুটা বেটার পারফরম্যান্স পাবেন অবশ্যই।
Narzo 20 তে পাবজি প্লে করতে পারবেন হাইয়েস্ট আল্ট্রা ফ্রেম রেট এ, তবে হাই ফ্রেম রেট এ এতে বেটার এক্সপেরিয়েন্স পাইনি।
তবে গ্রাফিক্স এবং ফ্রেম রেট কমিয়ে খেললে যে এক্সপেরিয়েন্স পাওয়া যায়, সেটা এই ফোনের বাজেট অনুযায়ী অবশ্যই অনেক ভালো।
তাই বাজেট বিবেচনায় আমি বলব এতে মোটামুটি স্মুথ গেম প্লে করতে পারবেন, একটানা দুই তিনটা ম্যাচ প্লে করলেও এতে তেমন একটা ফ্রেম ড্রপ পাবেন না।
আর এই ফোনে যেহেতু ৪ গিগাবাইট র্যাম থাকছে আর স্টরেস থাকছে ৬৪ গিগাবাইট, তাই day-to-day ইউজ এ এতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। মোটামুটি একটি স্মুথ এক্সপেরিয়েন্স পাবেন।
অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে Narzo 20 তে থাকছে অ্যান্ড্রয়েড ১০ যার টপে থাকছে রিয়েল মি ইউ আই ১.০
এতে থাকছে ডার্ক মোড এফএম রেডিও এবং ব্যাটারি সেভিং এর জন্য দারুন কিছু অপশন থাকছে।
আর ব্যাটারি হিসাবে এটি তে থাকছে দুর্দান্ত ৬,০০০ মিলি এম্পিয়ারের ব্যাটারি, যেটি আসলেই এটলিস্ট দুইদিনের ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে পারবে মোটামুটি বেশিরভাগ ইউজারকে।
তাই এটি নিয়ে বেশি কথা বলে পোস্ট বড় করব না,
আমার ক্ষেত্রে এটিতে আমি ৯-১০ ঘন্টা স্ক্রীন অন টাইম পেয়েছি।
আর এই ফোনের সঙ্গে থাকছে একটি ১৮ ওয়াট এর ফাস্ট চার্জার, যেটি দিয়ে এই ফোনটি ফুল চার্জ হতে সময় নেয় অলমোস্ট প্রায় ৩ ঘন্টা।
সেকেন্ড ক্যামেরাটি ৮ মেগাপিক্সেল এর আল্ট্রা ওয়াইড এবং থার্ড লেন্সটি অলমোস্ট ইউজলেস ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো।
আর এই সেটআপে কোন ডেপ সেন্সর থাকছে না।
অন্যদিকে এর সেলফি ক্যামেরা হিসেবে থাকছে ৮ মেগা পিক্সেলের একটি ক্যামেরা জেটিতে টু পয়েন্ট ও অ্যাপাচার এর লেন্স ব্যবহার করা হয়েছে।
তো এই ফোনটির বাজেট অনুযায়ী এর ক্যামেরা নিয়ে আমার খুব একটি মাতামাতি ছিল না।
কিন্তু ওভারঅল এই ফোনের লাইট ক্যামেরা ছিল ইম্প্রেসিভ।
আর একটি বিষয় মনে রাখবেন এই ক্যামেরাতে আপনি যত বেশি লাইট দিতে পারবেন তত বেশি ভালো ফটো পাবেন।
আর এতে ভিডিওর খেত্রে সর্বোচ্চ 1080p – 30 Fps এ শুট করতে পারবেন।
তো রিয়েল মি Narzo 20 এ নিয়ে আমি একটি কথাই বলবো, রিয়েলমি বাংলাদেশে বেশ অনেকদিন পর একটি স্মার্টফোন আনলো। যেটি ট্রুলি ভ্যালু ফর মানি ডিভাইস।
এবং আমার পক্ষ থেকে এটা রিকমেন্ড করাও একদম ইজি।
এর ডিজাইন পারফরম্যান্স ব্যাটারি ব্যাকআপ এবং ক্যামেরা এইসব নিয়ে আমি স্যাটিস্ফাইড। তাই যারা বাজেটের মধ্যে গেমিং ডিভাইস খুঁজছেন। তাদের জন্য বলে রাখি এটা ১৪,০০০ টাকা বাজেটের মধ্যে সেরা গেমিং স্মার্টফোন এখন পর্যন্ত।
তো যাই হোক এই Narzo 20 নিয়ে আপনার কি ওপেনিয়ন সেটা কমেন্ট বক্সে নিশ্চয় জানাবেন, আর পোস্টটি ভাল লাগলে লাইক বাটনটি প্রেস করতে পারেন।
এবং শেয়ার করতে পারেন আপনার বন্ধুবান্ধবের কাছেও, আর আজকের মতো আমি অনামিকা এখানেই বিদায় নিচ্ছি সবাই ভালো থাকবেন অনেক ভালো।
14 thoughts on "Realme Narzo 20 বাংলা রিভিউ- ১৪ হাজার টাকার গেমিং ফোন?"