হ্যালো বন্ধুরা আশা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আজকের পোস্টে আমি আপনাদের সাথে দারুন একটি কম দামি এন্ড্রয়েড ফোনের রিভিউ নিয়ে এসেছি। আজকের আমাদের রিভিউকৃত ফোন টি হলো Tecno Spark 7 . আর আপনারা সকলেই হয়তো জানেন Tecno Spark 7 ফোনটি প্রায় ৩ – ৪ মাস আগেই বাংলাদেশের বাজারে লঞ্চ হয়েছে।

তো আজকে আমি সেই ফোনটির ই সম্পুর্ন বাংলা রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি।

Phone Info Shortly

এই ফোনটি ৪ জিবি র‍্যাম ও ৬৪ জিবি স্টোরেজ নিয়ে বাজারে লঞ্চ হয়েছে। এই ফোনটির দাম ১১,৯৯০ টাকা মানে ১২ হাজার টাকা। এই ফোনটি মূলতে গেমারদের কে টার্গেট করে বানিয়েছে টেকনো কোম্পানি। এটা জয়েন্ট ব্যাটারি ফোন। আর ফোনটির ব্যাটারি 6000mAh এর একটি পাওয়ারফুল বিশাল ব্যাটারি। ফোনটির পেছনে রয়েছে ডাবল ক্যামেরা সেট আপ। সাথে রয়েছে ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সর। তো সব কিছু মিলে ফোনটি কেমন সেই বিষয় এ আমরা জানবো এই পোস্টে। তো চলুন পোস্ট টি শুরু করা যাক।

Designe

ফোনটির ডিজাইনে কিছু টা নতুনত্ব রয়েছে। আবার পুরোপুরি সব নতুন বা খুব সুন্দর তা বলবো না। যেমন আমরা অনেক ব্র‍্যান্ডেই দেখেছি রেয়ারে (পেছনে) বড় করে লেখা থাকে কোম্পানির নাম এটার ক্ষেত্রেও তাই। রেয়ারে বড় করে কোম্পানির নাম লেখা রয়েছে। তবে ফোনটির রেয়ারে ম্যাট ফিনিস রয়েছে যা আমার কাছে ভালো লেগেছে। এর ফলে ফোনটির রেয়ারে কোনো প্রকার স্ক্র‍্যাচ না পড়ার সম্ভবনা অনেক বেশি। তবে রেয়ার টি সম্পুর্ন প্লাস্টিকের তৈরি যেটা স্বাভাবিক।

Sides

ফোনটির ডান সাইডে রয়েছে ভলিউম বাটন এবং পাওয়ার অন – অফ বাটন। বাম সাইডে রয়েছে সিম এবং মেমোরি কার্ড স্লট। উপরের দিকে সম্পুর্ন ক্লিন। এখনে কিছু রাখা হয় নি। নিচের দিক টাতে রয়েছে মাইক্রো প্রাইম পোর্ট, চার্জিং স্লট, এবং ৩.৫ মি.মি. এর একটি ইয়ারফোন জ্যাক স্লট। এবার একটি প্রশ্ন হলো তাহলে স্পিকার কোথায়?

ফোনটির স্পিকার দেওয়া হয়েছে ঠিক সেলফি ক্যামেরার উপরে। মানে কথা বলার / শোনার স্পিকার টাই লাঊড স্পিকারে ব্যাবহার করা যাবে। এই ব্যাপার টা আমার কাছে ভালো লাগে নি। কোম্পানি চাইলে উপরের দিকে চার্জিং স্লট বা ইয়ারফোন জ্যাক স্লট দিয়ে নিচের দিকে স্পিকার দিতে পারতো।

Battery

ফোন টিতে ব্যাবহার করা হয়েছে 6000mAh এর বিশাল একটি ব্যাটারি। এবং ফোনটির বক্সে আপনারা পাবেন ১০ ওয়ার্টের একটি চার্জার। যা দিয়ে এই ফোনটি সম্পুর্ন চার্জ হতে প্রায় ৩ঃ৪৫+ সময় লেগেছে। তবে আমার মতে এখানে ১০ ওয়ার্টের জায়গায় এর বেশি দেওয়া উচিত ছিলো। কিন্তু এই বাজেটে এটাই ভালো। তবে আশা করা যায় ভবিষ্যতে এর থেকে ভালো টা পাবো আমরা। তবে একটি ভালো বিষয় এই ফোন টির ব্যাটারি থেকে খুব ভালো একটা ব্যাকআপ পাওয়া যাবে। ২ দিনের মতো অনায়াসে আপনি ব্যাক আপ পেয়ে যাবেন। তবে হ্যাভি ইউজার হয়ে থাকলে ১ দিনের মতো পাবেন।

Display

ফোনটির ডিসপ্লে হলো ৬.৫ ইঞ্চি HD+ রেজুলেশন এর একটি LCD panel যার ppi 270.

এই ডিসপ্লে এর কালার রিফ্লেকশন ভালোই ছিলো। ফোনটি তে অনেকটা ব্রাইটনেস পাওয়া সম্ভব। তবে আরেকটু ব্রাইটনেস থাকলে ভালো হতো। ফোনটি টাচ এর মোটামুটি ভালোই বলা যায়। তবে এর ডিসপ্লে কি দিয়ে প্রটেকশন করা হয়েছে তার কোনো তথ্য নেই। তাই আমার সাজেস্ট আপনি এই ফোনটি কিনে থাকলে একটি স্কিন প্রটেকশন ইউজ করুন

Gaming

এবারে হলো আসল বিষয়। গেমিং এটা কেমন পারফরম্যান্স দিয়েছে। এই ফোন টি কম দামি গেমিং ফোন ও বলা হচ্ছে। এই ফোনে পাবজি HD হাই কোয়ালিটি তে খেলা সম্ভব। হাই গ্রাফিক্স যেকোনো গেম এই ফোনে রাম করানো যাবে। কোনো ল্যাগ ছাড়াই। তবে খেলার সময় ফোনটা একটু গরম হলে কিছুটা ল্যাগি ল্যাগি ভাব পাওয়া যায়। তবে আপনি যদি গেম একটু লো কোয়ালিটি তে রাখেন তাহলে ভালো রেজাল্ট পাওয়া সম্ভব। ফ্রি ফায়ার গেম তো বিন ঝামেলায় আরামসে খেলা যাবে। তো ফোনটির গেমিং দেখে আমার মনে হয়েছে যারা পাবজি / ফ্রি ফায়ার খেলেন তাদের অনায়াসে এই ফোনটি সন্তুষ্ট করতে পারবে। হ্যাভি ইউজেও ফোন বেশি গরম হয় না। এবং এরই সাথে ব্যাটারি ব্যাক আপ ও খুব ভালো পাবেন। যারা বেশিক্ষন গেম খেলেন তাদের জন্য এই ফোনটি একটি আদর্শ ফোন হতে পারে। এই বাজেটে গেমিং এবং পারফরম্যান্স এ সবাই সন্তুষ্ট হবে।

Camera

কথা বলা যাক এর ক্যামেরা নিয়ে। এর রেয়ারে ২ টি ক্যামেরা রয়েছে । ১ম ক্যামেরা ১৬ মেগা পিক্সেলের এবং ২য় টি Ai Sensor । এবং সামনে রয়েছে ৮ মেগা পিক্সেলের একটি ক্যামেরা। এ এবং ক্যামেরার ঠিক নিচেই রয়েছে ফ্ল্যাস লাইট। যাই হোক, মেইন ক্যামেরা দিয়ে অনেক ভালো ছবি তোলা সম্ভব। বাজেট অনুযায়ী ঠিক ঠাক আছে।

তো বন্ধুরা আশা করছি আজকের পোস্ট টি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আর পোস্ট টি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

Leave a Reply