সুপ্রিয় ভিউয়ার, আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন।
পোস্ট এর টাইটেল দেখেই হয়ত বুঝেই গেছেন এটা এন্ড্রয়েড নিয়ে চেইন বা সিরিজ টিউন।
Android.
বর্তমানের জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। আর ওপেন সোর্স হওয়ায় এর মোড / চেঞ্জ সবাই করতে পারে। আমার এই সিরিজের মাধ্যমে নতুনদের কে সঠিক ভাবে কাজ করার প্রক্রিয়া, ধাপ ও বিভিন্ন ট্রিক সম্পর্কে জানানো হবে। তাই আশা করি সাথেই থাকবেন।
তার আগে একটা ধাপ জেনে নিন যেটা সবার জানা উচিৎ । এই ধাপেধাপে কাজ করলে ফোন নিয়ে কাস্টোমার কেয়ারে দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না (আমার মনে হয়)
রুট > Xposed > কাস্টম রিকভারী > স্টক রমের ব্যাকাপ > ফার্মওয়ার ব্যাকাপ (Optional) > নতুন রম পোর্ট > নতুন রম দেওয়া.
আমার এই সিরিজে এই ধাপ গুলো বেশ ভালোভাবেই বলা হবে। অনেকে হয়ত এই ধাপ গুলো নিয়ে বিভিন্ন মত প্রকাশ করবে তাদের উদ্দ্যেশেঃ আমি আরো অনেক জিনিস স্কিপ / বাদ দিয়ে ছোট করে নিয়েছি।
আজ সিরিজ এর দ্বিতীয় পর্ব। আর এই পর্ব হচ্ছে রুট করার বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে। যদি কোন প্রশ্ন থাকে তো কমেন্ট ও ফেসবুকে যোগাযোগ করতে পারেন
তো চলুন শুরু করা যাক।
রুট কিঃ
এই প্রশ্নের উত্তর গুগলের উপর ছেড়ে দিলাম। তাই আপনাদের যদি এখনো মনে হয় যে “রুট কি” তাহলে গুগলে যান, সার্চ দিন “রুট কি” লিখে। আর পেয়ে যান আপনার উত্তর।
রুট করার পদ্ধতিঃ
আজজে রুট করার জনপ্রিয় ৩ টি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব। তো চলুন শুরু করে দেই।
১. Android App দিয়েঃ
এন্ড্রয়েড 2-5 পর্যন্ত রুট করতে পারবেন এই সিস্টেমে। মাঝে মাঝে 6.0 ও নাকি রুট হয় এই ভাবে।
এই পদ্ধতিতে রুট করার জন্য পিসির দরকার হবে না। হবে শুধু কিছু ডাটা/এমবি। শুরুতে এন্ড্রয়েড অ্যাপ টি ডাউনলোড করে নিন। চালু করে রুট করে নিন। এতে কিছু ডাটা খরচ হবে। বিভিন্ন জনপ্রিয় অ্যাপ আছে রুট করার জন্য। কিন্তু আমি সাজেস্ট করব অন্য কিছু। যেমনঃ
কোনমতে ফোন রুট করুন, তারপর কাস্টম রিকভারী দিন। এরপর আনরুট করুন। এবার SuperSu এর ফ্লাশাবল zip নিয়ে কাস্টম রিকভারী থেকে ফ্লাশ দিন।
ব্যস এখন আপনার ফোন Super Su দিয়ে রুট করা।
কেন এই অন্যকিছুঃ
কারন এই সকল অ্যাপ ফোনের র্যাম বেশি খায়, বিশেষ করে Kingroot, তাছাড়া বিভিন্ন এ্যাড, তাদের পন্যের প্রচার ইত্যাদির ঝামেলা। আবার এডভান্স লেভেলের কাজে এসব অ্যাপ সাপোর্ট করে না। যেমন Mount Namespace Separation অপশন নেই। Su বাইনারি মেনুয়াল ভাবে আপডেট করার উপায় নেই। তাই আমি এই অন্য কিছু সাজেস্ট করি।
বিভিন্ন অ্যাপ এর মধ্যে জনপ্রিয়ঃ Kingroot, kingoroot, framaroot, towelroot, iroot, আরো নাম বা জানা অনেক অ্যাপ। এত গুলোর নাম মনে নেই কারন, আমি তো রুট একবারই করেছি।
২. পিসি দিয়েঃ
এই পদ্ধতিতে রুট করতে পিসি, ডাটা কেবল, আর USB Debugging Mode অন থাকতে হয়। পিসির জন্য অ্যাপ নিয়ে ইন্সটল করে ফোন ক্যাবল দিয়ে কানেক্ট করে রুট করতে হয়। বিভিন্ন অ্যাপ এ বিভিন্ন পদ্ধতি হতে পারে। অ্যাপ এর সাথেই ম্যানুয়াল থাকে।
এই পদ্ধতি সম্পর্কে আমার এক পরিচিত এর মন্তব্য এই পদ্ধতিতে নাকি ফোনের সমস্যা হতে পারে। তাই নিজের রিস্কে কাজ করবেন।
৩. কাস্টম রিকভারী দিয়েঃ
এই পদ্ধতিতে এন্ড্রয়েড ৫-৭ পর্যন্ত নাকি রুট করা যায়। এতেও পিসি লাগে কিন্তু রিস্ক ফ্রি। তাই এটা দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। প্রথমে পিসি দিয়ে ফোনে কাস্টম রিকভারী ইন্সটল করতে হয় (রুট ছাড়াই)। এর পর Super Su ফ্লাশ করে রুট করতে হয়। এজন্য আগে আপনার ফোনের জন্য কাস্টম রিকভারী খুজতে হয়। ভাগ্য ভালো হলে পেয়ে যাবেন গুগলে। অথবা বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে।
শেষ কথাঃ আমার ক্ষেত্রে প্রথম পদ্ধতিই কাজে লেগেছে। তাই পরের গুলো ট্রাই করার দরকার হয় নি। কিন্তু যদি আপনার কোন পদ্ধতিই কাজ না করে তাহলে বলব আপনার ভাগ্যই খারাপ। অপেক্ষা করে থাকুন নতুন কোন অ্যাপ অথবা আপডেট ভার্সনের আশায়। অথবা নতুন ট্রিকের আশায়।
Bhaki porvo gulor opekhay ace.