→Root কি?
→কেন Root করবেন?
→Root করার সুবিধা-অসুবিধা কি?
=======

=======
বর্তমান সময়ে Android Smart Phone ব্যবহার করে, কিন্তু
Root কথাটি একবারও শুনেনি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া
যাবে কিনা সন্দেহ!! কিন্তু নতুন অনেক Android
ব্যবহারকারীই জানে না যে, Root প্রকৃতপক্ষে কি?
Android ডিভাইসটিতে বাড়তি পারফরম্যান্স পাবার জন্য
Root করা হয় বলে অনেকেরই ধারনা। তাই অনেকে বাড়তি
পারফরমেন্স পাবার জন্য Android Deviceটি Root করে
থাকেন । কিন্তু Android ডিভাইসটি Root করার পর দেখা
যায় তাদের ডিভাইসের পারফরম্যান্স আগের মতোই আছে
বা আগের চেয়ে কমে গেছে। তখন তারা হতাশ হয়ে যায় এই
ভেবে, তাহলে Android ডিভাইসটি Root করার সুবিধাগুলো
আসলে কী??
===============
[[রুট (Root) কী? :-]]
===============
Root শব্দটির আভিধানিক অর্থ গাছের শিকড়। কিন্তু Androidএ
Root বলতে বুঝায়, একটি Permission বা অনুমতি। Root হচ্ছে
সেই Permission অথবা অনুমতি, যা Android
ব্যবহারকারীকে সর্বাধিক ক্ষমতার অধিকারী করে তোলে।
রুট হচ্ছে এই অনুমতি থাকলে ব্যবহারকারী সেই ডিভাইসে
যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে
ব্যবহারকারী অ্যাডমিনিস্ট্রেটর প্রিভিলেজ ছাড়া সিস্টেম
ফাইলগুলো নিয়ে কাজ করতে পারেন না (যেগুলো সাধারণত
সি ড্রাইভে থাকে)। লিনাক্সেও তেমনি রুট পারমিশন প্রাপ্ত
ইউজার ছাড়া সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাজগুলো করা
যায় না।
→→
আপনি ডিভাইসটি কিনেছেন ঠিকই, কিন্তু আপনি কিন্তু
Operating System ইন্সটল করেননি, তাই না? ডিভাইস
প্রস্তুতকারক ডিভাইসটি প্যাকেটজাত করার আগে তাদের
কম্পিউটার থেকে লিনাক্স কার্নেলের উপর তৈরি Android
Operating System ইন্সটল করে দিয়েছে। এখানে বলা প্রয়োজন
যে, Android Operating Systemএর মূল ভিত্তিটা এক হলেও এক
এক কোম্পানি এক একভাবে এটিকে সাজাতে বা
কাস্টোমাইজ করতে পারেন। এই জন্যই Sonyএর একটি
Android ডিভাইসের User Interfaceএর সঙ্গে Samsung এর
একটি Android ডিভাইসের Interfaceএর মধ্যে খুবই কম মিল
পাওয়া যায়। আপনার ডিভাইস প্রস্তুতকারক কোম্পানি
ইচ্ছে করেই তাদের ডিভাইসে রুট অ্যাক্সেস দেয়নি। এ কথা
শুনে কোম্পানির উপর কিছুটা রাগ হতেই পারে। তবে কোম্পানি
তাদের ডিভাইসের সুরক্ষার জন্যই এই কাজটি করে।
====================
[[রুট করা থাকে না কেন? ]]
====================
ফোন প্রস্তুতকারকরা ইচ্ছে করেই তাদের ফোনগুলো Lock করে
দিয়ে থাকে। Root ফোল্ডারে থাকা ফাইলগুলো অত্যন্ত
প্রয়োজনীয়। ভুলবশত এর কোন একটি মুছে গেলে আপনার
ডিভাইস কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। তাছাড়া
ভাইরাস বা ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম অনেক সময় রুট করা
ডিভাইসের ক্ষতি করতে পারে। তবে Lock থাকায়
ব্যবহারকারী Root Access পান না, তাই অন্য
প্রোগ্রামগুলোর রুট অ্যাক্সেস পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে
না। ফোন Lock করে বাজারে ছাড়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে
সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশন ও ফাইল। অনেকেই ইন্টারনাল মেমোরি
খালি করার জন্য বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন এসডি কার্ডে

ট্রান্সফার করে থাকেন। রুট করা থাকলে সিস্টেম
অ্যাপ্লিকেশনগুলোও ট্রান্সফার করে ফেলা যায়। কিন্তু
অপারেটিং সিস্টেমের কিছু ফাইল রয়েছে যেগুলো ইন্টারনাল
মেমোরির ঠিক যেখানে আছে সেখানেই থাকা আবশ্যক।
ব্যবহারকারী যখন ডিভাইস রুট করেন, তখন স্বভাবতই
অনেক কিছু জেনে তারপর রুট করেন। তখন বলে দেয়াই থাকে
যে, কিছু কিছু সিস্টেম অ্যাপস এসডি কার্ডে ট্রান্সফার
করলে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু যদি স্বাভাবিক অবস্থায়ই
সেট রুট করা থাকে, তাহলে ব্যবহারকারী না জেনেই
সেটের ক্ষতি করতে পারেন।

মনে করুন যার প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারনা কম আছে, সে যদি মনে
করে যে, তার ফোনের ইন্টারনাল মেমোরির জায়গা ফাঁকা
করবেন এবং সেই জন্য সে তার ফোনের রুট ফোল্ডারে গিয়ে
সবগুলো ফাইল SDcard এ Move করে দিলেন। আগে থেকেই Root
Access থাকার কারণে, ফাইলগুলো Move করার সময়
ডিভাইসটি কোন বাধা দেবে না। তবে Move হবার মাঝেই
ফোনটি বন্ধ হয়ে যাবে এবং আর ঠিকমতো কাজ করবে না।
তখন তিনি কোম্পানির কাঁধে সব দোষ চাপাবেন। আর যদি রুট
লক করা থাকে, ব্যবহারকারী রুট ফোল্ডার খুঁজেই পাবে
না।
আশা করি এখন সবাই বুঝতে পেরেছেন, কেন Android
ডিভাইসটিতে ফোন কোম্পানি Default Root Access করে দেয়
না। তবে প্রায় ৯৫% ডিভাইসই রুট করা যায়।
কোন ফোন কোম্পানিই রুট করা ডিভাইস বাজারে ছাড়ে না,
কারণ বেশিরভাগ ক্রেতাই সাধারণ ক্রেতা হয়ে থাকেন
যাদের ডিভাইস রুট করার কোনো প্রয়োজনই নেই।
======================
[[কেন ডিভাইস রুট করবেন?]]
======================
→ফোনের পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য বা ইন্টারনাল
মেমোরি ফাঁকা করার জন্য।
→ওভারক্লকিং করার মাধ্যমে ডিভাইসের গতি বাড়ানোর
জন্য।
→স্বাধীনভাবে কাজ করা ডেভেলপারদের তৈরি বিভিন্ন
Custom Rom ব্যবহার করার জন্য।
→ পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন সিস্টেম
অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহার, যেগুলো রুট করা ডিভাইস ছাড়া
কাজ করে না।
==================
[[রুট করার সুবিধাসমূহ]]
==================
=====================
★★Performance বাড়ানোঃ
=====================
বিভিন্ন Apps ব্যবহার করে ডিভাইসের অব্যবহৃত ফাইল,
টেমপোরারি ফাইল ইত্যাদি নিয়মিত মুছে ফোনের গতি ঠিক
রাখা।
===================
★★Over Clocking করাঃ
===================
CPU স্পিড স্বাভাবিক অবস্থায় যতটা থাকে তারচেয়ে
বেশি দ্রুত কাজ করানো। এর মাধ্যমে কোনো বিশেষ কাজে
প্রসেসরের গতি বাড়ানোর প্রয়োজন পড়লে তা করা যায়।
===================
★★Under Clocking করাঃ
===================
যখন ডিভাইস এমনিতেই পড়ে থাকে, তখন CPU যেন অযথা
কাজ না করে যে জন্য এর কাজের ক্ষমতা কমিয়ে আনা।
এতে করে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানো সম্ভব।
=============
★★Custom UI:-
=============
আপনার ডিভাইসের হোমস্ক্রিন, লক স্ক্রিন, মেনু ইত্যাদি
বিভিন্ন ইউজার ইন্টারফেসের ডিজাইন একটা সময় পর আর
ভালো নাও লাগতে পারে। তখন আপনি ডিভাইসে নতুনত্ব
আনতে পারবেন নতুন সব কাস্টম ইউজার ইন্টারফেসের
মাধ্যমে। এগুলোকে অন্যভাবে রমও বলা হয়।
===============
★★Custom Rom:-
===============
রুট করা থাকলে Custom Rom Install এর সুবিধা পাবেন।
অনেক Developer বিভিন্ন জনপ্রিয় ডিভাইসের জন্য কাস্টম
Custom Rom তৈরি করে থাকেন। এসব Rom ইন্সটল করে আপনি
আপনার সেটকে সম্পূর্ণ নতুন একটি সেটের রূপ দিতে পারবেন।
বাইরে থেকে অবশ্যই এর ডানা-পাখনা গজাবে না বা
ক্যামেরা ৫ মেগাপিক্সেল থেকে ৮ মেগাপিক্সেল হবে না,
কিন্তু ভেতরের ডিজাইন ও ক্ষেত্রবিশেষে পারফরম্যান্সেও
আসবে আমূল পরিবর্তন।
===================
[[রুট করার অসুবিধাসমূহ]]
===================
=================
★★ওয়ারেন্টি হারানোঃ
=================
ডিভাইস রুট করার মাধ্যমে আপনার ওয়ারেন্টি বাতিল হয়ে
যাবে। তাই রুট করার আগে সাবধান। অবশ্য অনেক সেট
আবার আনরুট করা যায়। আর সেট আনরুট করা হলে তা
সার্ভিস সেন্টারে থাকা টেকনিশিয়ানরা অনেক সময়ই ধরতে
পারেন না যে সেটটি রুট করা হয়েছিল। তবে কাস্টম রম
থাকলে ধরা খাওয়া এড়ানোর উপায় নেই।
===============
★★ফোন ব্রিক করাঃ
===============
ব্রিক অর্থ ইট। আর ফোন ব্রিক
মানে আপনার ডিভাইসকে ইটে রূপান্তরিত করা। অর্থাৎ,
এর কাজ করার ক্ষমতা হারানো। রুট
করা ও এর পরবর্তী বিভিন্ন কাজের সময় একটু এদিক-সেদিক
হলেই ফোনে স্থায়ী বা অস্থায়ী সমস্যা হতে পারে।
ফোনের প্রস্তুতকারক কোম্পানি ফোনটি আনরুট অবস্থায়
বাজারজাত করে, যেন এর ক্ষতি না হয়। রুট করার মাধ্যমে
আপনি সেই নিশ্চয়তা ভেঙ্গে ফেলছেন।
==========
[[শেষ কথাঃ]]
==========
এটা পড়ে আশা করি কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছেন যে, কেন
রুট করা হয়, এর সুবিধা-অসুবিধা ইত্যাদি।
এবার আপনার ইচ্ছা, Android ডিভাইসটিকে Root করবেন,
নাকি Root করবেন না??
===========
[[বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ]]
===========
→ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
→→ ধন্যবাদ ←←

সৌজন্য :- Android Tips

ফেসবুকে আমি

3 thoughts on "Root কী? রুট (root) নিয়ে আলোচনা :-"

  1. doridro Author says:
    যদি পোস্ট টা নিজের মাথা থেকে করেন, তাহলে অনেক ধন্যবাদ।
    আর যদি copy করে থাকেন, তাহলে শুনে রাখুন এমন পোস্ট Trickbd তে আরো হয়েছে। এক বিষয় আর কতো ভালো লাগে।
  2. Sultan Author says:
    হ্যা….এটা ঠিক ছিল।
  3. Md Mamun Contributor says:
    অনেক সুন্দর একটি পোস্ট

Leave a Reply