1 ▣ প্রায় প্রতিনিয়তই বাজারে নতুন নতুন স্মার্টফোন আসছে আর পুরনো ফোনটির ওপর থেকে আমাদের মন উঠে যাচ্ছে। হয়তো ইতিমধ্যে অনেকেই প্ল্যান করে
রেখেছেন যে, কালকে বা আগামী সপ্তাহে নতুন মডেলের ঐ ফোনটি কিনবেন। তবে বাজাটের অভাবে ইচ্ছা
থাকা সত্ত্বেও নতুন মডেলের ফোনটি মার্কেট থেকে কেনা হয়ে ওঠে না। তখন আমার সেই একই মডেলের ফোন পুরনো বা কিছুদিন ব্যবহার করা এমন একটি কিনতে
চাই। আর তাই আজেক আপনাদের সাথে আলোচনা করবো যখন পুরনো কোন স্মার্টফোন কিনবেন তখন কোন কোন বিষয় গুলো খেয়াল করতে হবে।
২| প্রাইভেসি-
যখন আমার পুরনো কোন স্মার্টফোন কেনার কথা চিন্তা করি তখন সবার আগে পুরনো জিনিসপত্র বিক্রি হয় এমন ওয়েবসাইট গুলতে খোঁজাখুঁজি শুরু করি।
আমি এমনও দেখেছি, চেনা নেই জানা নেই শুধু মাত্র একটি ফোন কলের ওপরে ভিত্তি করে এক জেলা থেকে অন্য জেলাতে কুরিয়ারের মাধ্যমে ফোনে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। পড়ে সে ফোনটি হাতে পেয়ে তারপর তার মূল্য পরিশোধ করছে। সাহস দেখানো ভালো তবে সেটা
দেখাতে যেয়ে অহেতুক ভুগান্তিতে না পড়ায় উত্তম। যদি সে ফোনটি পড়ে না কেনে তখন? তখন তো আপাকেই আবার বাড়তি খরচ বহন করে সেটি ফিরিয়ে আনতে হবে। আবার ঠিক একই ভাবে আপনার বাসা মিরপুর আর চলে গেলেন গুলিস্থানে। পড়ে সেখানে যেয়ে ফোন তো দুরের কথা সব টাকা পয়সা খুইয়ে আবার বাড়িতে ফেরত আশা লাগলো। এমনটি হর হামেশাই হচ্ছে, তাই একটু সচেতন হন। কম দামে ভালো কিছু পাওয়া আসলে এতো সহজ না।
৩। নকল ফোন-
বর্তমানে বাজারে নকল ফোনের অভাব নেই। প্রায় সব মডেলের ফোনই এখন নকল বা ক্লোন ভার্শন পাওয়া যাচ্ছে। আপনি যখন টাকা খরচ করে সেকেন্ড হ্যান্ড
কোন ফোন কিনবেন তখন সেটি ভালো করে পরিক্ষা করে নিবেন যেটি আসলেই নকল কিনা। ফোনে ডিসপ্লে
এবং ক্যামেরা দেখে প্রাথমিক ভাবে সনাক্ত করা যায় যে সেটি নকল না আসল ফোন।
৪। নিরাপত্তা-
সবথেকে জরুরী বিষয় হল নিরাপত্তা। বর্তমানে যে হারে স্মার্টফোন চুরি হচ্ছে আবার ঠিক সেই হারে সেগুলো
সেটির ক্রয় রসিধ সহ সকল প্রকারের কাজ পত্র দেখে কিনবেন। তবে অনেক সময় এমন হয়, কোন কারনে ফোনের ডকুমেন্ট গুলা হারিয়ে যায়। তখন সেটি
কেনার সময় সেলারের জাতিও পরিচয় পত্র বা আস্থা রাখার মতো একটি আইডি কার্ডের কপি নিয়ে রাখবেন সাথে করে তার এক কপি ছবি তুলে নিবেন। যাতে
করে পরবর্তীতে ফোনটি যদি চোরায় ও হয়ে থাকে তাতে আপনার যেন কোন সমস্যা না হয়।
৪।পারফমেন্স-
আপনার ফোন কেনার আসল উদ্দেশ্য হল
সেটির পারফমেন্স। আর তাই যখন কোন
পুরনো ফোন কিনবেন তখন সেটির
পারফমেন্স অবশ্যই দেখে নিবেন। যেমন,
ক্যামেরা, ব্যাটারি ব্যাকআপ, ভয়েস কল
কোয়ালিটি, অডিও ভিডিও পাফমেন্স
ইত্যাদি। সব কিছু ঠাক মনে হলে এর পরই
সিধান্ত নিন।
৫। ওয়ারেন্টি-
নতুন অবস্থায় প্রায় সব ফোনেই ১ বছরের
ওয়ারেন্টি থাকে। হয়তো আপনি যে
ফোনটি কিনবেন সেটির বয়স এখনো ১
বছর হয়নি। তাই কেনার আগে সেলারের
ওয়ারেন্টি পেপারস্ গুলো দিবে কিনা।
শেষ কথা- সর্বপরি চেষ্টা করুন পুরনো
ফোন কেনা থেকে দূরে থাকতে আর যদি
কিনতেই হয় তবে পরিচিতি মানুষদের
কাছ থেকে কেনা বেটার। যেমন বন্ধুর
বন্ধু বা আত্মীয়র পরিচিত ইত্যাদি।