ফোনে কথা বলতে বলতে হঠাৎই কানের কাছে অনুভব হয় গরম। প্রায় ছ্যাঁকা লাগার মতো। এই সমস্যা কিমি. বেশি প্রায় সব স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদেরই হয়। নানা লোকের এই ফোন গরম হয়ে যাওয়ার নানা রকম ব্যাখ্যা আছে। কেউ বলেন একটানা বেশিক্ষণ ফন ব্যভার করার জন্য,
১. প্রসেসর : প্রসেসর হল ফোনের ‘হার্ট’।
মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যেমন সবসময় হৃতপিণ্ড সচল থাকা দরকার ঠিক তেমনি স্মার্টফোন চালু রাখতে সবসময় চলতে থাকে প্রসেসর। প্রসেসর চলাকালীন তাঁর ভেতরের ইলেক্ট্রনগুলোয় তাপ উৎপন্ন হয়। ফোন ব্যবহার না করলে সেই তাপ কম হয়। কিন্তু ফোন ব্যবহার করলে সেই তাপ বেশি উৎপন্ন হয় আর তখন গরম ফোন বডিতে অনুভূত হয়। আর তাপ বেশি তৈরি হয় একটানা ডাউনলোড করলে।
২. খারাপ নেটওয়ার্ক : স্মার্টফোন মানেই প্রচুর পরিমাণে ইন্টারনেটের ব্যবহার। কিন্তু এই ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় সব জায়গায় সমান সিগন্যাল পাওয়া না। যেখানে সিগন্যাল দুর্বল হয়
সেখানে ফোনকে নেটওয়ার্ক পেতে বেশি কসরত করতে হয়। ফলে সহজেই ফোন গরম হয়ে যায়।
৩. ব্যাটারি : যত দিন যাচ্ছে স্লিম হচ্ছে স্মার্টফোন। কিন্তু সেই তুলনায় উন্নত হচ্ছে না ব্যাটারি। ফলে ফোন চার্জ দেওয়ার সময় বা একটানা ব্যবহার হলে বেশি গরম হয়ে যাচ্ছে ব্যাটারি। সেই উষ্ণতা অনভূত হচ্ছে ফোন বডিতেও। কখন বুঝবেন ফোন বেশি গরম হচ্ছে : কম বেশি সব স্মার্টফোনই গরম হয়। আর গরম
হওয়া মানেই বিপদ নয়। সবাভাবিকভাবে সব ফোনই কাজ করার সময় ৩৫-৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস গরম হয়। কিন্তু যদি স্ট্যান্ড বাই মোডেও ফোন এইরকম গরম হতে থাকে তবে বুঝতে হবে ফোনে কিছু সমস্যা হচ্ছে।
উত্তাপ বাড়ায়। দ্বিতীয়ত, বেশির ভাগ সময়ই আমরা খেয়াল করি না ব্যাগগ্রাউণ্ডে কোনও অ্যাপলিকেশন চলছে কিনা। সবসময় ব্যাগগ্রাউণ্ডের অ্যাপলিকেশন বন্ধ রাখতে হবে।
তৃতীয়ত, খেয়াল রাখতে হবে ডাউনলোডের সময় যেন ফোনে পর্যাপ্ত চার্জ থাকে। কম চার্জে ডাউনলোড করলে ব্যাটারির ওপর চাপ পড়ে এবং
ফোন গরম হয়ে যায়। র্যাম ও ক্যাশে পরিস্কার রাখতে হবে। এছাড়াও গরম শুষে নিতে পারে এমন কভার লাগালে অনেকটা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। প্রয়োজন ছাড়া ওয়াই-ফাই ব্যবহার না করা।
My Site mTopTuneBD.Tk