ডিজিটাল জীবনের অংশ হয়ে গেছে
স্মার্টফোন। মানুষের সঙ্গে এখন সব সময়
স্মার্টফোন থাকছে। ফোন দিয়ে
যোগাযোগ ছাড়াও ছবি, ভিডিও, ই-মেইল
ও নম্বর সংরক্ষণ করে রাখার মতো নানা
কাজ চলছে। কেউ যদি তাঁর ব৵ক্তিগত
ফোনটি বিক্রি বা কাউকে দিয়ে দিতে
চান, তাঁর উচিত হবে ফোনের সব তথ্য
পুরোপুরি মুছে দেওয়া।
অনেকেই ভাবেন, অ্যান্ড্রয়েড
অপারেটিং সিস্টেমচালিত ফোনে
ফ্যাক্টরি রিসেট দিলেই সব তথ্য মুছে
যায়। স্মার্টফোনের তথ্য মুছতে এটিই
নিরাপদ পদ্ধতি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা
বলছেন, ফ্যাক্টরি রিসেট দিলেই ফোনের
সব তথ্য সম্পূর্ণ মোছে না। স্টোরেজের
মুক্ত অবস্থায় কিছু ফাইল থেকে যেতে
পারে।
অবস্থায় ফেরত নিয়ে যায়। তবে
মাল্টিমিডিয়া ও ই-মেইলের কিছু তথ্য
ইন্টারনাল মেমোরিতে থেকে যেতে
পারে। খুব সহজপদ্ধতিতে এই তথ্য সম্পূর্ণ
মুছে ফেলা যায়। যাঁরা পুরোনো
স্মার্টফোন বিক্রি করছেন তাঁদের জন্য
এই পদ্ধতি জেনে রাখা জরুরি।
ডিভাইস স্টোরেজ এনক্রিপ্ট করুন
ফ্যাক্টরি রিসেট দেওয়ার আগে ডিভাইস
স্টোরেজ এনক্রিপ্ট করুন। এতে ফ্যাক্টরি
রিসেট দেওয়ার পর যদি কোনো ফাইল
থেকে যায় তা অব্যবহারযোগ্য তথ্য
আকারে দেখাবে। ডিভাইস এনক্রিপ্ট
করতে সেটিংস থেকে সিকিউরিটিতে
(বা সংশ্লিষ্ট সেটিংস) যান। সেখানে
এনক্রিপ্ট ফোন অপশন নির্বাচন করুন। তথ্য
বেশি থাকলে একটু সময় নিতে পারে।
এনক্রিপ্ট হয়ে গেলে তারপর ফ্যাক্টরি
রিসেট দিন।
ডেটা ওভাররাইট করুন
এনক্রিপ্ট ও ফ্যাক্টরি রিসেট করলেও
সাধারণত নিরাপদে সব তথ্য মুছে ফেলা
চেষ্টা করতে পারে। ফোনটি আবার চালু
করুন। কোনো ই-মেইল ডিটেইল দেবেন না।
সেটআপ করার পর আজেবাজে ভিডিও
করে ইন্টারনাল স্টোরেজ ভর্তি করে
ফেলুন। এতে স্টোরেজের মুক্ত জায়গা
ওভাররাইট হয়ে যাবে। ফলে ওই
স্টোরেজে থাকা আগের ব্যক্তিগত
কোনো তথ্য সহজে উদ্ধার করতে পারবে
না কেউ।
3 thoughts on "অ্যান্ড্রয়েড ফোন নিরাপদ রাখবেন যেভাবে !"