আসসালামুয়ালাইকুম ! TrickBD তে সবাইকে স্বাগতম। কোনো ভুল হলে দয়া করে ক্ষমা করবেন। বেশি কথা না বলে শুরু করছি।
Developer Options এটা যেকোনো এন্ড্রয়েড ফোনের এমন একটি লুকিয়ে থাকা ফিচার যা অনেকেই এখনো জানে না। কেননা এই ডেভেলপার অপশন এন্ড্রয়েড ফোনে লুকানো অবস্থায় থাকে, এটাকে ব্যবহারকারীকেই চালু করতে হয়, ফোন কোম্পানি নিজে থেকেই এই অপশনকে বাইরে বের করে রাখে না।
এটাকে বের করার জন্য ফোনের Settings এ গিয়ে About Phone এ গিয়ে Build Number এ ৭ বার ট্যাপ বা ক্লিক করার পরেই এই ডেভেলপার অপশন বের হয়।
এখন যদি আপনি ঐ ডেভেলপার অপশনের ভেতরে প্রবেশ করেন, তাহলে অনেক অপশন, ফিচার দেখতে পাবেন। এখন এই অপশনগুলোর মধ্যে কোনগুলো ব্যবহার উপযোগী, কোন অপশনের কি কাজ, এসব অবশ্যই আপনার জেনে রাখা প্রয়োজন যদি আপনি একজন এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন।
তো আজকেই পোস্টে আমি আপনাকে ডেভেলপার অপশনের এমন কিছু সেটিং কথা বলবো যা আপনার কাজে লাগবে, এমনিতেই ডেভেলপার অপশনের অনেক ফিচার আছে কিন্তু আজকে মাত্র ৫ টা ফিচারের কথাই বলবো।
নাম্বার -১Force 4X MSAA
এই ফিচার/ফাংশন/সেটিংস তাদের জন্য খুব কাজের যারা গেমার, গেম খেলতে ভালোবাসেন। যদি আপনি আপনার স্মার্টফোনে বেশি গেমিং করেন, গেম খেলতে ভালোবাসেন, আর যদি আপনি চান আপনার ফোনের গেমের যে গ্ৰাফিক্স রয়েছে সেটা আরো উজ্জ্বল হোক, যদি আপনার গেম টুকটাক খেলার মাঝে আটকে যায় তাহলেও এই সেটিং আপনার কাজে আসবে। সহজভাবে বলতে গেলে আপনি এই সেটিং চালু করলে আপনি যখনই কোনো গেম খেলেন, যদি ভালো গ্রাফিক্সের প্রয়োজন হয় তখন এই সেটিং আপনাকে হাই গ্ৰাফিক্স দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে করে আপনি কোনো গেম খেলবেন তখন গেমের গ্ৰাফিক্স আরো বেশি উজ্জ্বল হবে।কিন্তু এর একটা লস আছে সেটা হলো এটার ফলে ফোনের ব্যাটারির চার্জ একটু তাড়াতাড়ি শেষ হবে, নরমালি যেখানে ৩% চার্জ শেষ হতো, এটার ফলে তার বদলে ৫% চার্জ শেষ হবে।
নাম্বার – ২OEM Unlocking
বুট লোডার আনলক করার সুবিধা হলো আপনি আপনার স্মার্টফোনে কোনো কাস্টম রম ইন্সটল করতে পারবেন, ফোন ফ্ল্যাশ করতে পারবেন, রুট করতে পারবেন।
নাম্বার – ৩USB Debugging
এই অপশন খুব কাজের। USB Debugging এর মাধ্যমে আপনি সিম্পলি আপনি একটি কমিউনিকেশন স্ট্যাবিলিশ করতে পারবেন।আপনি একটি কম্পিউটার এবং আপনার স্মার্টফোনের মধ্যে ডেটা কেবলের মাধ্যমে। এই অপশন চালু করলে, আপনি চাইলে আপনার স্মার্টফোনকে পিসি/কম্পিউটার/ল্যাপটপের সাথে কানেক্ট করতে পারবেন। এছাড়াও যদি আপনি Android SDK এর সাথে আপনার ফোন কানেক্ট করতে চান তাহলে আপনাকে আপনার পিসি/কম্পিউটার/ল্যাপটপে Android SDK ইন্সটল করতে হবে।
তারপর এই দুটোর মধ্যে কানেকশন স্ট্যাবিলিশ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে এই USB Debugging চালু করতে হবে। তাহলেই আপনার কম্পিউটার/ল্যাপটপ আপনার স্মার্টফোনকে আইডেন্টিফাই করতে পারবে।
এছাড়াও দেখা যায় যে, অনেক সময় এই অপশন 3rd Party Software, 3rd Party Application আপনি যদি আপনার স্মার্টফোনের সাথে কানেক্ট করতে চান তাহলেই এই অপশন চালু করতেই হবে।
নাম্বার – ৪Simulate Secondary Display
যখনই আপনি এই অপশনকে অন করবেন, আপনার ফোনে আরেকটা স্ক্রীন শো হবে ওপরে।এবং আপনি চাইলে 4K, 1080p, 720p, 480p ইত্যাদি রেজ্যুলেশনে কাস্টমাইজ করতে পারবেন। যেভাবে কাস্টমাইজ করবেন সেভাবেই স্ক্রীন শো হবে।
এটার মাধ্যমে আপনি ডিসপ্লে চেক করতে পারবেন, 4K, 1080p, 720p, 480p ইত্যাদি রেজ্যুলেশনে কেমন কোয়ালিটি হবে, কেমন দেখাবে, কিভাবে ডিসপ্লে কাজ করবে, স্ক্রীন সাইজ কেমন হবে এসব আপনি জানতে পারবেন।
নাম্বার – ৫Background Process Limit
এটাও প্রয়োজনীয় অপশন। এই অপশনের নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে সে ব্যাকগ্ৰাউন্ডে যেসব প্রসেস হচ্ছে, যতগুলো অ্যাপ ব্যাকগ্ৰাউন্ডে চলছে, সেসবের লিমিট সেট করতে পারবেন।যদি আপনি আপনি চান যে ব্যাকগ্ৰাউন্ডে কিছু লিমিটেড অপশন থাকুক, অথবা ফোনের ডিফল্ট অ্যাপগুলোই ব্যাকগ্ৰাউন্ডে রান হোক।
এটা আপনার জন্য তখন হেল্পফুল হবে যখন আপনার ফোনের RAM কম। উদাহরণ হিসেবে আপনার ফোনের RAM 1GB, 2GB, 3GB আর আপনার ফোন হ্যাং হয়, স্লো কাজ করে, অ্যাপ ঠিকভাবে কাজ করে না, অনেক অযথা অ্যাপ প্রয়োজন ছাড়াই ব্যাকগ্ৰাউন্ডে চলে আর ফোনের ব্যাটারির চার্জ তাড়াতাড়ি শেষ করে পাশাপাশি ফোনকে স্লো করে দেয়।তাহলে এই অপশনের মাধ্যমে আপনি ব্যাকগ্ৰাউন্ডে কয়টা অ্যাপস রান করাতে চান সেটার লিমিট করতে পারবেন। যার ফলে আপনার ফোনের চার্জ কম খরচ হবে, ফোনের RAM কম ব্যবহার হবে, ফোন ফাস্ট কাজ করবে।
তো এই ছিলো ডেভেলপার অপশনের প্রয়োজনীয় ৫ টি সেটিংস
এই পোষ্ট এতটুকুই ! এতক্ষণ সময় নিয়ে পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ। ?
কোনো সমস্যা অথবা কোনো প্রয়োজন হলে আমার ফেসবুক আইডি
2 thoughts on "Developer Options এর প্রয়োজনীয়তা কিছু সেটিং, যা আপনার ফোনকে উন্নত করবে।"