আপনারা কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছেন। আমি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আমাদের মধ্যে 4G, LTE আর 4G+ নিয়ে একটা কনফিউশন থেকেই যায়। যে এগুলোর মধ্যে কোনটা সবচেয়ে ভাল? আজকে আমি আপনাদের এই কনফিউশন গুলো দূর করতে হাজির হয়েছি। তাহলে আর দেরি কেন? আজকের পোস্ট শুরু করা যাক :-
4G কী? এটা জানতে হলে আগে এটা কোনখানে থেকে এসেছে সেটা জানতে হবে। বলতে পারেন যে মূল থেকে জানা লাগবে। কিন্তু এখনই একদম মূলে না গিয়ে আমরা 3G থেকে শুরু করব। আপনি বলতে পারেন আমি এখনই বললাম মূল থেকে শুরু করব, কিন্তু মাঝে ধরতেছি কেন?
আরে আম গাছে তো মই দিয়েও জরা যায়, ? একদম মাটি থেকে চরার কি প্রয়োজন?
যাই হোক, 2000-এর দশকের শেষের দিকে 3G কে উন্নত করার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল। 3g নেটওয়ার্ক অনেক স্লো। সেজন্য উন্নত করার জন্য কঠোরভাবে জোর দেওয়া হয়েছিল। এবং তখন থেকে 4G তৈরি করা শুরু হয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্য করা হলো থ্রিজি থেকে ফোরজি একবারে লাফ দেওয়া হয়ে যাচ্ছে। তাই 3g এবং 4g এর মাঝ বরাবর LTE দেওয়া হয়।
এক কথায়, LTE হচ্ছে এমন একটি নেটওয়ার্ক, যেটা 3G এর চেয়ে দ্রুত এবং 4G এর চেয়ে স্লো।
যেটা বোঝানোর জন্য আমি মই দিয়ে আম গাছে চড়েছিলাম, সেটা হয়তো বুঝতে পেরেছেন। আমাদের প্রায় সকলেরই ভ্রান্ত ধারণা যে LTE ফোরজির চেয়ে দ্রুত। যদি বুঝতে পারেন আমরা পরের স্টেপে যাই।
তো বন্ধুরা গতবার তো আমরা মই ব্যবহার করেছি। কিন্তু এবার প্রথম থেকেই জানবো।
International Telecommunications Union-Radio (ITU-R) ২০০৮ সালে 4G চালু করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন করতে অনেক সময় লেগে গিয়েছিল। কারণ, চাইলেই এত দ্রুত আপগ্রেড করা সম্ভব হয় না। তাই এক লাফের পরিবর্তে নেটওয়ার্ক আপগ্রেডের করার জন্য একটি সিরিজ লাগবে৷ মূলত এখান থেকেই LTE এর উৎপত্তি।
যদিও সমস্ত নেটওয়ার্ক এখন অনেক অবিশ্বাস্য এবং ব্যাপকভাবে উন্নত হয়েছে, তবুও অনেক দেশ বা এলাকা আছে যেগুলোকে নেটওয়ার্ক উন্নতি নাই বললেই চলে। কিন্তু সেই সমস্ত এলাকায়ও 4G আছে। কিন্তু সেটা রিয়াল ফোরজি নয়। আবার অনেকগুলো ফোন আছে, যেগুলো সম্পূর্ণ ফোরজি নয়। কিন্তু সেগুলো ফোরজি বলে ছাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কারণ সে ফোনগুলো পুরোপুরি ফোরজি না হলেও ফোরজির কাছাকাছি। কথাটা একটু অন্যরকম হলেও সত্য।
এটি ২০১০ সালে জটিল হয়ে পড়ে। তখন (ITU-R ) ফোর জি কে সম্পূর্ণ উপলব্ধ করার জন্য আরো ছয়টি এরকম ক্যান্ডিটেড যুক্ত করা হয়।
অনেক আলোচনার পরে এটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করা হয়। এবং তখন একটি বাস্তব 4g experience চালু হয়।আর সেটা “true 4G” বলে ডাকা হয়।
HSPA+, WiMAX, IMT, LTE এগুলো ফোরজির মতো শক্তিশালী না হলেও ফোরজি হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হতো। যদিও এগুলোর মধ্যে অফিসিয়ালি কোন চুক্তিবদ্ধতা ছিল না। কারণ পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করার জন্য প্রায় আড়াই বছর রেখে গিয়েছিল। আর এদিকে ইঞ্জিনিয়াররা তাদের হার্ডওয়ার তৈরি করতেই ছিল। তাই এরকমটা হয়েছিল।
দিন যত এগিয়ে যায় প্রযুক্তিও তত বাড়ে। সত্যিকারের ফোরজি চালু হওয়ার পরে নিচে যেগুলো আছে সেগুলো কি এভাবেই পড়ে থাকবে? না, এগুলো কেউ অনেক উন্নত করা হয়েছে।
WiMax এবং LTE কে উন্নতির চরম শিখায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যেগুলো বর্তমানে WiMax Rel 2 এবং LTE-Advanced নামে পরিচিত। যেগুলো ফোরজি সঙ্গে সমান সমানে পাল্লা দিতে পেরেছে। তাহলে আসুন এদের স্পিড কিরকম সেটা দেখে আসি,
আর নিচের তথ্যগুলো অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি এর অফিসিয়াল। তাই কোন ভুল হওয়ার চান্স নেই।
——————— >
আরো কিছু লেখার ছিল, কিন্তু ইতিমধ্যে এই পোস্টটা অনেক বড় হয়েছে সেটা লক্ষ্যই করিনি। আশা করি পোস্টটা আপনাদের উপকারে আসবে। তাহলে সে পর্যন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ট্রিকবিডি এর সাথে থাকবেন।
You must be logged in to post a comment.
দারুন সব তথ্য ভাই ?
Vo LTED এর কাহিনী টাও শেয়ার করতেন।
Ater Kotha mone silo na?
Okkk, next post a dibo… Kal
Edit Kore na hole commente ekto janai diyen, amr phone 8/10 din hobe VO LTED option ta asche, age chilo na
এটা অনেক পুরনো খবর ভাই ২০১৮ সালে যখন ফোরজি আসে তখন থেকেই জানি
এটা অনেক পুরনো খবর ভাই ২০১৮ সালে যখন 4g
আসে তখন থেকেই জানি
অনেক পুরনো খবর এটা
এখন কার পোষ্ট গুলো অনেক ভালো হচ্ছে আপনার।
কিছু কিছু বাক্য পড়ার মনে হচ্ছে এটি কোনো ভাষা থেকে অনুবাদ করা।
কোন বাক্যটা এরকম মনে হয়েছে?
Carry On
নতুন কিছু জানলাম ❤️