বিশ্বব্যাপী মোবাইলে বাজার গত কয়েক বছরে


♻ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১১ সাল
থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে এর গ্রাহক সংখ্যা
শতকরা ৭ দশমিক ৩ শতাংশ হারে চক্রবৃদ্ধি
হারে বেড়েছে। ২০১৬ সালের শেষ দিকে এই
সংখ্যা সাড়ে আট বিলিয়নে উন্নীত হবে। এই বৃহত্ বাজারের নেতৃত্ব প্রদান করছে এশিয়া প্যাসিফিক ও আফ্রিকা অঞ্চল। 😀

♻ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী একই সময়ে বাংলাদেশের মোবাইল বাজারও একইভাবে দ্রুততার সাথে বৃদ্ধি
পেয়েছে। এই বিপুল সংখ্যাক গ্রাহকের
চাহিদা মেটাতে সারা পৃথিবীতে মোবাইল
ভিত্তিক অনেক সফটওয়্যার ও খুচরা
যন্ত্রাংশ বিক্রির কোম্পনি তৈরি হয়েছে।
♻ সফটওয়্যার ডেভেলপাররা দেখেছেন
যে, গ্রাহকদের কাছে মোবাইল
এপ্লিকেশনের এখনো যথেষ্ট চাহিদা
রয়েছে যা মোটানোর সম্ভব হচ্ছে
না। বাংলাদেশও চাইছে দেশে গড়ে উঠুক
আন্তর্জাতিক মানের মোবাইল এ্যাপ,
সেই সাথে গড়ে উঠুক এ খাতে দক্ষ
জনবল। এ লক্ষ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক
পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)
সভায় একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া
হয়েছে। প্রকল্পের শিরোনাম দেয়া হয়েছে মোবাইল গেইম ও এপ্লিকেশন এর দক্ষতা উন্নয়ন।
♻ ২৮১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে
প্রকল্পটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ তিন
বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে। তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মোবাইল এপ্লিকেশন
উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ এখানে ১১ কোটি ৬০ লাখ মোবাইল ব্যবহারকারীর পাশাপাশি রয়েছে বৃহত্ তরুণ জনগোষ্ঠী।

♻ ফলে এই জনগোষ্ঠীকে দক্ষ
হিসেবে গড়ে তোলার জন্য দেশব্যাপী
মোবাইল গেইম ও এপ্লিকেশন উন্নয়নের
জন্য প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাদের আন্তর্জাতিক
বাজারের সাথে যুক্ত করা প্রয়োজন। এ
বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা
প্রদান ও নীতি প্রণয়ন করা সম্ভব হলে
মোবাইল গেইম ও এপ্লিকেশন
উন্নয়নই হয়ে উঠবে বৈদেশিক মুদ্রা
অর্জনে এদেশের একটি শিল্প। ৭ম
♻ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় দ্রুত অর্থনৈতিক
প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে
বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের
দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে তথ্য ও
যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের উপর
গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ৭ম
পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় তথ্য ও
যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের উপর
বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এ
বিবেচনায় এ প্রকল্পটি হাতে নেয়া
হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা উল্লেখ
করেন।
♻ প্রকল্পের আওতায় ৮টি বিভাগীয়
পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে
মোবাইল গেইম ও এ্যাপ

ডেভেলপমেন্ট একাডেমি স্থাপন করা
হবে। ৩০টি জেলায় স্থানীয় শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে মোবাইল গেইম ও এ্যাপ
ল্যাব, এ্যাপ টেস্টিং ল্যাব ও ট্রেনিং
পয়েন্ট স্থাপন করা হবে। এর পাশাপাশি
প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন, মোবইল
গেইম ও অ্যাপস বিষয়ে সচেতনতা ও
প্রচারণামূলক কার্যক্রমও হাতে নেওয়া
হযেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর
মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা
অর্জন করা সম্ভব হবে। মোবাইল
গেইম এ্যান্ড এপ্লিকেশন
ডেভেলপমেন্টে আন্তর্জাতিক
অঙ্গনের জন্য বাংলাদেশকে প্রস্তুত
করা সম্ভব হবে।
♻ বিশ্ববাজারে নতুন যোগাযোগ সৃৃষ্টি ও নতুন কাজেরও সৃষ্টি হবে। সেই সাথে সারা বাংলাদেশে
মোবাইল গেইম ও এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিগুলোর সুষম উন্নয়ন ঘটবে এবং এই শিল্পের মাধ্যমে জিডিপিতে অবদান রাখা। 😀

নতুন কিছু পেতে TipsWapBD.Com 😀

2 thoughts on "মোবাইল Application তৈরিতে গড়ে তোলা হবে দক্ষ জন বল"

  1. Momen Contributor Post Creator says:
    tnx viya ☺

Leave a Reply