হেই আমি অনামিকা আছি আপনাদের সঙ্গে, এবং গ্লোবাল প্যানডেমিক এর কারণে আমাদের মধ্যে এখনও অনেকেরই কিন্তু ঘরে বসে কাজ করতে হচ্ছে।?

আর এই সমস্যায় বেশি পড়ছেন স্পেশালি স্টুডেন্ট কারণ আমাদের দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কিন্তু এখনো বন্ধ,অনলাইন ক্লাস বা মিটিং এর জন্য এখন আমাদেরকে ডিফেন্ড করতে হচ্ছে বিভিন্ন অনলাইন মিটিং অ্যাপ এর উপর।

ইনফ্যাক্ট এই প্যানডেমিক এর মধ্যে আপনারা কিন্তু একটি অ্যাপ হাজারবার শুনেছেন সেটি হল জুম, তবে শুধু এটি নয় আজকের এই পোস্টে সর্বমোট পাঁচটি আপনি এ কথা বলব যেগুলো প্রত্যেকটা ব্যবহার করে মিটিং অনলাইন ক্লাস গুলো সেরে নেয়া যাবে।

আর এই অ্যাপ গুলোর মধ্যে সবগুলোই হয়তোবা আপনার ফোন অথবা কম্পিউটার এর মধ্যে pre-installed রয়েছে কিন্তু আপনি জানেনই না।
আর হ্যাঁ অ্যাপগুলোর ফিচার ও এক্সপিরিয়েন্স শেয়ার করার আগে আর একটা ব্যাপার মেনশন করে রাখি সেটি হলো ইন্টারনেট কানেকশন।

আমি আমার বাসার ফর্টি মেগা বিট পার সেকেন্ড এর যে ব্লাড ব্যাংক কানেকশন সেটা ইউজ করেছি এই অ্যাপ গুলো ব্যবহার করার জন্য।
এবং আমি যখন On The Go তে ছিলাম তখন ব্যবহার করেছি রবি ৪.৫ জি ইন্টারনেট।

তো আজকের এই পোস্টে আমি যে ভাবে বলবো বা এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করব তা পুরোটাই নির্ভর করবে আপনার ইন্টারনেট কানেকশন এর উপর অনেকটাই।
এনিওয়ে আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করব আজকের পোস্ট এর প্রথম অ্যাপ এ।


১। হোয়াটসঅ্যাপ

আমরা অনেকেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করি মেসেঞ্জিং বা গ্রুপ ম্যাসেজিং এর জন্য বাট এটিতে কিন্তু বেশ চমৎকার ভিডিও কলিং ফিচার ও রয়েছে।
এবং এখানে আপনি খুব সহজেই গ্রুপ ক্রিয়েট করে কনফারেন্স মিটিং ও সেরে নিতে পারবেন।

স্পেশালি হ্যান্ডি এটা তাদের জন্য যারা ঢাকার বাইরে থাকে এবং ইন্টারনেট কানেকশন কিছুটা কম স্পিডে এর এই অ্যাপে সবথেকে বড় সুবিধা হলো আপনি খুব কম ডাটা ব্যবহার করে ভালো মানের ভিডিও কলিং অডিও কল করতে পারবেন।

যদিও হোয়াটসঅ্যাপের সবথেকে বড় লিমিটেশন হলো সর্বোচ্চ চার জনের বেশি সেই ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেয়া যাবে না। তারপরও আমার মতে যারা ফ্রেন্ড এন্ড ফ্যামিলি কনফারেন্স করতে চান ভিডিও কলের মাধ্যমে তাহলে এটাই আপনার জন্য ভালো চয়েজ হতে পারে।


২। গুগল ডুয়ো

এটার নাম হয়তো আপনারা ইতিমধ্যে শুনেছেন বা ব্যবহার করছেন,
আমার ফেভারিট লিস্টে থাকার অন্যতম কারণ হলো এটা খুব সহজেই ব্যবহার করা যায়, তাছাড়া এটিতে কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপের মত সর্বোচ্চ চারজনের লিমিটেশন না।

এখানে আপনারা সর্বোচ্চ ৮ জন ভিডিও কনফারেন্সে এড হতে পারবেন, তার থেকে একটি ভালো লাগার ব্যাপার হচ্ছে এটার যে ভিডিও কোয়ালিটি সেটা হোয়াটসঅ্যাপ থেকে অনেকটাই ভালো।

যদিও হোয়াটস আপ একটা সুবিধা রয়েছে তা হলো আপনি যখন লিমিটেড ডেটাতে রয়েছেন তখন তেটা কনজংশন রেট খুব কম থাকবে।
অন্যদিকে গুগল ডুয়ো এ তে এটা একটু প্রবলেম কারণ এটাতেই বেশ হাই কোয়ালিটি ভিডিও কনফারেন্স এক্সপেরিয়েন্স দিবে আপনাকে, সেই জন্য অবশ্যই আপনার ফোনে ভালো একটি ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে।


৩। জুম
হ জুম আপনারা যেটা সব চাইতে বেশি শুনেছেন এই প্যান্ডেমিকে, জুম কিন্তু বেশ ফিচার প্যাক একটি অনলাইন মিটিং অ্যাপ, যদিও এখানে কিছু ফিচার রয়েছে যেগুলো প্রিমিয়াম বা পেইড
অর্থাৎ সেই সুবিধা গুলো ব্যবহার করতে হলে প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ নিতে হবে।

কিন্তু আপনি এতে যা একদম ফ্রি ফিচারগুলো পাচ্ছেন আই থিং সেটাও অনেকের জন্য গুড এনাফ, লাইক পেতে আপনারা একসঙ্গে অনেক বেশি মানুষ জয়েন করতে পারবেন একটি মিটিংয়ে। তাছাড়া এটিতে কিন্তু স্ক্রীন শারিং থেকে শুরু করে আরো অসংখ্য ফিচার রয়েছে।

তাই আপনি চাইলেই পাওয়ার পয়েন্টের কোন স্লাইড খুব সহজেই শেয়ার করতে পারবেন আপনার মিটিংয়ে যারা রয়েছে তাদের সঙ্গে, যদিও একটি যেটা ফ্রী ভার্শন তার লিমিটেশন হলো সর্বোচ্চ ৪০ মিনিট
অর্থাৎ আপনি সর্বোচ্চ ৪০ মিনিট কোন একটি মিটিং কন্টিনিউ করতে পারবেন, অর্থাৎ ৪০ মিনিট পর কলটি অটোমেটিকলি কেটে যাবে এবং আপনাকে আবারও নতুন করে একটি মিটিং তৈরি করতে হবে।
But if your ok with 40 minutes time limit then zoom can be a very good option for you


৪। Fourth meeting app
এই মিটিং অ্যাপটি আমার পার্সোনালি খুবই ফেভারিট আর এটা ব্যবহার করাও খুবই সোজা খুবই ইজি, প্রিভিয়াসলি এটা কিন্তু প্রাইভেট সার্ভিস প্রোভাইড করত।

অর্থাৎ আপনি খুব সহজেই আপনার গুগোল অ্যাকাউন্ট থেকে জয়েন করতে পারলেও, যদি কোন মিটিং তৈরি কেউ করতে চাই সে ক্ষেত্রে অবশ্যই তার গুগল সুইট অ্যাকাউন্ট থাকতে হতো।

কিন্তু এখন আর আপনাকে সেটি করতে হচ্ছে না এখন আপনি খুব সহজেই ব্রাউজার এ গিয়ে meet dot google.com এ গিয়ে আপনি ইজিলি একটা মিটিং তৈরি করে নিতে পারবেন,
এবং যাদের গুগল অ্যাকাউন্ট রয়েছে তারা সহজেই জয়েন করতে পারবে তাছাড়া কিন্তু এতেও কিন্তু জুমের মত স্ক্রীন শারিং ফিচার রয়েছে।


৫। মাইক্রোসফ্ট টিম

এটার নাম হয়তো বা আপনারা অনেকেই শুনেছেন, এবং বলতে পারেন এখনো পর্যন্ত সবচাইতে ফিচার প্যাক ভিডিও কনভারসেশন অ্যাপ্লিকেশন হল এটি।‌ এতে বেশকিছু ইউনিক ফিচার রয়েছে সেগুলি অন্যান্য কোন অ্যাপে আপনাকে অফার করছে না।

লাইভ দুই একটা এক্সামপল দিতে গেলে এতে রয়েছে স্পটলাইট অর্থাৎ আপনারা যখন কনফারেন্স কলে রয়েছেন তখন কোন একজন যদি কথা বলতে চাই।
সেক্ষেত্রে তাকে স্পটলাইটে নিয়ে আসলে শুধুমাত্র তার ক্যামেরাটি ফোনের স্ক্রিনে থাকবে অর্থাৎ সে যখন কথা বলবে সরাসরি আপনারা তাকে দেখতে পাবেন।

এতে আমার মনে হয় ইন্টারেকশন টা আরো ইজি হয়, তাছাড়া এতে রয়েছে অ্যাটেনডেন্স লিস্ট ডাউনলোড করার সুবিধা যার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই আইডেন্টিফাই করতে পারবেন যে কারা আজকের মিটিং এ ছিল এবং কতক্ষণ ছিল।

এছাড়াও এতে থাকছে হোয়াইট বোর্ড এর মত সুবিধা যেখানে আপনারা সহজেই কোন কিছু লিখে অথবা একে দেখাতে পারবেন মিটিং এর সময়।
তো এই ধরণের ইউনিক ফিচারগুলো নিয়ে মনে হয় মাইক্রোসফ্ট টিম সব চাইতে এগিয়ে থাকবে ফিচার এর দিক থেকে।

বাট আই ডোন্ট থিংক প্রত্যেকেরই আসলে এত বেশি ফিচার প্যাক কনফারেন্সিং অ্যাপ এর প্রয়োজন রয়েছে, আবার অনেকেই সাদামাটা অ্যাপ খুঁজে থাকেন।

আর এই পাঁচটি অ্যাপের মধ্যে কোন অ্যাপটি আমার ফেভারিট সেটি যদি বলি তাহলে অবশ্যই গুগল মিট থাকবে কারণ এটা ব্যবহার করা যায় অনেক ইজি আর ইন্টারফেসটা ও অনেকটাই সাদামাটা।

তবে আপনার কোনটি সেটি অবশ্যই কমেন্ট সেকশনে জানাবেন, তো এই ছিল আজকের পোস্টটি পোস্টটি কেমন লাগল তা জানাতে পারেন কমেন্ট সেকশনে ভালো লাগলে লাইক এন্ড শেয়ার করবেন।

5 thoughts on "৫ টি জনপ্রিয় ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ রিভিউ | Top 5 Video Conferencing App"

  1. shamim jamaddar Contributor says:
    realme c2s kothai pabo???
  2. shamim jamaddar Contributor says:
    realme c2s kothai pabo???
    1. Anamika Chowdhury Subscriber Post Creator says:
      Thanks ?

Leave a Reply