আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটিকে বানিয়ে ফেলুন জিপিএস ট্র্যাকার!

আপনার যদি একটা জিপিএস ট্র্যাকার প্রয়োজন হয় তাহলে আপনার হাতে থাকা অ্যান্ড্রয়েড ফোনটিকে ব্যবহার করতে পারেন জিপিএস ট্র্যাকার হিসেবে।

১. জিপিএস ট্র্যাকার কি?
২. এবং কিভাবে আপনার ফোনকে একটা অস্থায়ী জিপিএস ট্র্যাকার ডিভাইসে পরিবর্তন করবে?

এ বিষয় নিয়েই আজকের আলোচনা!
বর্তমানে গতীময় বিশ্বে এখানে মানুষ যানবাহন এবং পণ্য সর্বদা চলাচলের মধ্যে থাকে সেখানে ট্রাকিং আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

আধুনিক জীবনে যেসব ক্ষেত্রে জিপিএস এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় তাদের মধ্যে রয়েছে।


১. যানবাহনের জন্য
২. শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে
৩. স্কুল বা সিস্টেমের জন্য
৪. ট্রানজিটে মূল্যবান সম্পদ ট্রাকিং এর জন্য
৫. বিভিন্ন ব্যবসা-বা স্থানের লোকেশন খোঁজার জন্য
৬. প্রফেশন গুলোই রিয়েল টাইম সতর্ক দেয়ার জন্য
৭. আল সেইমারের মত রোগে রোগীদের ট্রাকিং বা নিরক্ষন করতে
৮. গাড়ির গতি সময় এবং দিক নিক্ষন।

এগুলোসহ বেশ অনেক ক্ষেত্রেই জিপিএস ট্র্যাকার ব্যবহার হয়।
এছাড়াও আপনার ফোন হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে সেটি পুনরুদ্ধারের জন্য এবং ড্রাইভিং এর সময় গুগল ম্যাপের সাহায্য নেভিগেট করার জন্য জিপিএস বেশ কাজের।

আর মজার ব্যাপার এই যে কোন কারনে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও জিপিএস কাজ করে শুধু আগে থেকেই ম্যাপ ডাউনলোড করে রাখতে হবে।

আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি কে জিপিএস ট্র্যাকার বানানো সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বিকল্প নাও হতে পারে। এবং এক্ষেত্রে কিছু ত্রুটিও রয়েছে তবে আপনার যদি এটি বেশি প্রয়োজন হয় তাহলে এটি কাজ চালানোর জন্য যথেষ্ট।

অ্যান্ড্রয়েডের বিল্ড ইন ফিচার এর সাহায্যে ট্রাকিং।
২০১৪ বা তারপরে রিলিজ হাওয়া বেশিরভাগ android ফোনে ই “ফাইন্ড মাই ডিভাইস”একটি বিল্ড ইন ফিচার রয়েছে।
এই পরিষেবাটি ক্রমাগত গুগলের সার্ভার এ আপনার ডিভাইসের অবস্থান পিঙ্ক করে যাতে করে গুগল জানতে পারে আপনার ডিভাইসটি কোথায় আছে।

এছাড়া আপনি গুগলের ওএর ইন্টারফেস্ট ব্যবহার করে কোন নির্দিষ্ট সময় আপনার ডিভাইস টি কোথায় আছে তা দেখতে পারবেন। এই ফিচার টি ব্যবহার করার জন্য আপনার একটি google একাউন্ট এর প্রয়োজন হবে।

আর চমৎকার ব্যাপার হলো এই যে ফাইন্ড মাই ডিভাইস ফিচারটি শুধু একটি ট্রাকার নয় ,এর মাধ্যমে আপনি দূর থেকেও আপনার ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
যে এলাকাগুলোই জিপিএস দুর্বল সেই এলাকায় এটি ২০ মিটার তফাতে থাকতে পারবে।

এছাড়া বিল্ডিং এর ভিতরে থাকাকালীন জিপিএস এ ত্রুটি থাকতে পারে।

এছাড়া বর্তমান সময়ে google ম্যাপস প্রায় সকল ডিভাইসে থাকে, এই গুগল ম্যাপস এর লোকেশন শেয়ার ফিচারটি একটি রিয়েল টাইম লোকেশন শেয়ার এর মাধ্যমে ম্যাপে ব্যবহারি দের অবস্থান সঠিকভাবে জানাতে পারে।
এটি এমন কি লোকেশন শেয়ার কারী ব্যক্তির ব্যাটারি লাইফ ও প্রদর্শন করে।

থার্ড পার্টি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস দিয়ে ট্রাকিং


আপনি যদি কোন কারনে ফাইন্ড মাই ডিভাইস পছন্দ না করেন তাহলে বিকল্প হিসাবে গুগল প্লে স্টোরে অনেকগুলো থার্ড পার্টি অ্যাপ রয়েছে।
বেশিরভাগ ট্রাকিং অ্যাপ্লিকেশনগুলো এন্টি থেপট এবং এন্ট্রি লস সিকিউরিটি অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে বিবরণ করা হয়।
তবে আপনি চাইলে সরাসরি ট্রাকিং এর জন্য সেগুলি ব্যবহার করতে পারেন।

এরকম আরো কয়েকটি অ্যাপের মধ্যে রয়েছে *লাইভ থ্রি সিক্সটি*
লাইভ থ্রি সিক্সটি দিয়ে আপনি আপনার পরিবারের সদস্যদের ডিভাইস ব্যবহার করে কে কোথায় আছে তাদের খোঁজ রাখতে পারবেন।
তবে আপনার ফোনটি হারিয়ে গেলে আপনি চাইলে এর জিপিএস ব্যবহার করে সহজেই তা ট্রাক করতে পারবেন।

এটি অভিভাবকদের জন্য খুবই সুবিধা জনক কারণ তারা তাদের সন্তান কোথায় রয়েছে তার ট্রাক করতে পারবেন।
এর একমাত্র নেতিবাচক দিক হলো অ্যাপটিতে ফাইন্ড মাই ডিভাইসের মতো হারিয়ে যাওয়া ডিভাইস লক করা বা ডেটা মুছে ফেলার ফিশার নেই।

প্লে…


ব্যবহারিক ভাবে প্লে অনেকটা ফাইন্ড মাই ডিভাইসের মতোই এর বড় সুবিধা হল এটি windows মেগ লিনাক্স iphone সহ একাধিক প্লাটফর্ম জুড়ে পাওয়া যায়।
তাই আপনি যে কোন জায়গা থেকে আপনার সব ডিভাইস ট্র্যাক করতে পারবেন।

ফ্যামিলি অরবিট

এটি এমন একটি জিপিএস ট্র্যাকার প্রযুক্তি যা আপনি আপনার পরিবারকে রক্ষা করতে ব্যবহার করতে পারেন।
এটি একটি বহুমুখী মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন যা আপনি আপনার পুরনো একটি এন্ড্রয়েড ফোনকে একটি জিপিএস ট্র্যাকার এ পরিণত করতে ব্যবহার করতে পারেন।

প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অ্যাপটি অভিভাবককে তার সন্তানের এবং ফোনের কার্যকলাপ নিরক্ষণ করতে দেয়।

এম ট্রেকার্স জিপিএস ফোন ট্র্যাকার।


এই অ্যাপ্লিকেশনটিতে আপনি যে ডিভাইসটি ট্র্যাক করতে চান তার ফোন নাম্বার প্রয়োজন হয়।
এই অ্যাপে কিছু কার্যকরী তার মধ্যে রয়েছে শুধুমাত্র ফোন নাম্বার ব্যবহার করে লাইভ লোকেশন দেখানো।
অ্যাপটি বর্তমানে শহর রাজ্য এবং দেশ অবস্থানের বিবরণ গুলো সংগ্রহ করে।

ফোন দিয়ে গাড়ি ট্রাক করুন।


সবচেয়ে সহজ এবং সবচেয়ে কার্যকরী বিকল্প হল একটি ম্যাগনেটিক কার মাউন্ট ব্যবহার করা এক্ষেত্রে উইকস কেয়ার ইউনিভার্সেল স্টিক অন ম্যাগনেটিক কার মাউন্ট সহজ এবং সুবিধাজনক এবং সাশ্রয়ী।

এটি একটি স্টিক অন মডেল যা এড হ্যাজ এ ব্যবহার করে এবং সঙ্গে চুম্বকীয় শক্তির জন্য দশটি চৌম্বক ও ব্যবহার করে।
আর আপনি যদি এড হ্যাজ এ বিশ্বাস না করেন তাহলে আপনি উইকস কেয়ার ইউনিভার্সেল সাকশন কেপ ম্যাগনেটিক কারমাউন্ট বিবেচনায় রাখতে পারেন।

ফোন কেসের জন্য আপনি মেটাল প্লেট ব্যবহার করতে পারেন, যেমন পপটিক ইউনিভার্সেল মেটাল মাউন্ট এগুলো আপনার ডিভাইসের সাথে লেগে থাকে এবং আপনাকে এর সঙ্গে ম্যাগনেটিক মাউন্ট ব্যবহার করতে সক্ষম করে।

তবে একটি ডেডিকেটেড জিপিএস ট্র্যাকারের বিকল্প কিছুই হতে পারে না। যদিও আপনার এন্ড্রয়েড ডিভাইসড একটি ট্রাকার হিসেবে কাজ করতে পারে তবে এটি একটি পেশাদার ট্রাকিং ডিভাইস এর বিকল্প হতে পারে না।

ফোন কে ট্রাকার হিসাবে ব্যবহার করতে তিনটি ত্রুটি রয়েছে।
এই ত্রুটিগুলো আপনার জন্য বেশি অসুবিধা সৃষ্টি করে আপনার ফোনের পরিবর্তে একটি ডেডিকেটেড ট্র্যাকার ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করা উচিত।

ত্রুটি গুলোর মধ্যে রয়েছে-


১. ব্যাটারি লাইফ
আপনার স্মার্ট ফোনে সব সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে প্রচুর পরিমাণ সফটওয়্যার রান করছে, যেমন সিস্টেম লেভেল সার্ভিস এবং থার্ড পার্টি অ্যাপ গুলো এগুলো প্রচন্ড ব্যাটারি নষ্ট করে থাকে।

একটি ডেডিকেটেড জিপিএস ট্রাকারে শুধু জিপিএস ট্রাকিং এর কাজ চলে যার ফলে প্রতিবাদ চার্জে অনেক বেশি ব্যাটারি লাইফ পাওয়া যায়।

২. সিগন্যাল কোয়ালিটি।
জিপিএস ট্র্যাকার নিখুঁত নয় তবে এটির সিগন্যাল কোয়ালিটি স্মার্টফোন সিগনাল কোয়ালিটির চেয়ে অনেক বেশি উন্নত।
ডেডিকেটেড জিপিএস ট্র্যাকার গুলো অনেক সময় এমন এমন জায়গা ট্রাক করতে পারে যেখানে স্মার্ট ফোনগুলো সাধারণত পারেনা।

৩. ঝুঁকি এবং খরচ।
আপনি যদি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস হারানোর ভয় থাকেন তাহলে সেটিকে যেকোনো জায়গায় জিপিএস ট্র্যাকার হিসেবে ব্যবহার না করাই ভালো।

ধরুন আপনি আপনার ফোনকে একটি গাড়ির আন্ডার গ্যারেজে মাউন্ট করলেন এবং এটি একটি হাইওয়ের মাঝখানে পড়ে গেল। সেই হিসেবে ডেডিকেটেড জিপিএস ট্রাকার গুলো মাউন্ট করা সহজ এবং আরো মজবুত।
এমনকি যদি এগুলো হারিয়ে যাই বা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে সেগুলো প্রতিস্থাপন করাও তুলনামূলকভাবে সস্তা।

সহজ কথায় আপনার এন্ড্রয়েড ফোনটিকে জিপিএস ট্র্যাকার হিসেবে রূপান্তর করবেন না, যদি না আপনার কাছে অন্য কোন বিকল্প থাকে।

এক্ষেত্রে আরও সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য ট্রাকিং এর জন্য স্পাইটিক পোর্টেবল জিপিএস ট্র্যাকার এর মতো ডিভাইস ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করতে পারেন।

আল্লাহ সর্বশক্তিমান! তাহলে পৃথিবীতে এত খারাপ কর্মকাণ্ড হয় কেন?

পাঁচটি সেরা বাংলা নাটক- দেখতে বসলে উঠার উপায় নেই!

ধন্যবাদ সবাইকে আমাদের পরবর্তী আর্টিকেল পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন।

13 thoughts on "আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি খুব সহজে জিপিএস ট্র্যাকার বানিয়ে ফেলুন!"

  1. MD Rakib Mia says:
    কাজের পোস্ট মাঝে মাঝে আমি এভাবেই ট্র্যাক করি
    1. Anamika Chowdhury Subscriber Post Creator says:
      Thank you!
    1. Anamika Chowdhury Subscriber Post Creator says:
      Oh!
  2. Ashraful Author says:
    গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট। আশা করি অনেকের কাজে লাগবে।
    1. Anamika Chowdhury Subscriber Post Creator says:
      Hmm! Thank you ?
  3. mdronykhan75612 Contributor says:
    শিক্ষনীয় পোস্ট। জানতে পেরে উপকার হলো
    1. Anamika Chowdhury Subscriber Post Creator says:
      ধন্যবাদ!
    2. mdronykhan75612 Contributor says:
      আপনার ফ্রেসবুক আইডি লিংক টা দেন। জরুরি কাজে মেসেজ দিব।
  4. mdmamunrahman Contributor says:
    Good Carry on
    By the way I know before fast
  5. MD Musabbir Kabir Ovi Author says:
    এটা পার্সোনাল ডাটা এর ক্ষতি করবে না?
  6. Tabein Contributor says:
    খুবই শিক্ষা মূলত পোস্ট ধন্যবাদ।

Leave a Reply