ব্লগিং এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
কেউ লেখালেখির প্রথম দিক থেকে ভালো লিখবেন না। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমেই ভালো লেখা ও জনপ্রিয় ব্লগ তৈরি হয়। যারা আজকে অনেক জনপিয় ব্লগার হয়েছেন তারাও একদম প্রথমে খুব ভাল লেখেননি। ব্লগিং করার ক্ষেত্রে এমন টপিক সিলেক্ট করুন যা আপনার ভালো লাগে।
ব্লগিং –এ সফলতা পেতে দীর্ঘ সময় লাগে। তাই ভালো লাগে এমন টপিক ছাড়া ব্লগিং করা কঠিন হয়ে পরে। যেই বিষয় গুলো জানেন এবং যেই বিষয় নিয়ে আপনি লিখতে পছন্দ করেন, সবার সাথে শেয়ার এবং যেই বিষয় গুলো মানুষ গ্রহন করে তেমন বিষয়গুলো নিয়ে ব্লগিং করেন।
প্রথমের দিকে আপনার লেখা অনেক খারাপ মনে হতে পারে। সাড়াও মিলবে কম, এটাকে স্বাভাবিক। নিজের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে হবে। ব্লগিং থেকে আমি ভালো কিছু করতে পারি- এমন বিশ্বাস আপনাকে সফলতা দেবে।
কি লিখবেন- লেখার বিষয় খুঁজে পাচ্ছেন না তাহলে গুগুল এলার্ট সেট করে নিতে পারেন। এটি আপনাকে সমসাময়িক বিষয় ও ঘটনাগুলো জানতে সাহায্য করবে। এতে করে আপনি জানতে পারবেন বর্তমানে কোন বিষয়গুলো ট্রেন্ডিং আছে এবং কোনগুলো লেখার টপিক হতে পারে।
মানুষ কোন বিষয় জানতে আগ্রহী তা বুঝতে সহায়তা করবে এটি। এভাবে পেতে পারেন লেখার জন্য কাঙ্খিত বিষয়। এর মাধ্যমে আপনি একই বিষয়ে সমসাময়িক কি ঘটছে সেটি জানতে পারবেন।
অন্যদের সর্বশেষ ব্লগিংয়ের বিষয়ে খোঁজখবর রাখতে তা সহায়তা করবে।এতে করেও আপনি ধারণা পাবেন, আপনার কি লেখা উচিত। একটা বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হবে, আপনার প্রতিযোগী ব্লগার যা লিখছেন তা নিয়ে হবহু লিখতে যাবেন না।
আপনার লেখা যেসব পাঠক পড়বেন তারা সবসময় চান মতামত দিতে। তাই সে ব্যবস্থা রাখা ভালো। আপনি যদি ফিডব্যাক রাখার ব্যবস্থা রাখেন তাহলে সেটা পাঠক ও লেখক উভয়ের জন্য ভালো হবে। উভয়ের মধ্যে একটি যোগসূত্র তৈরি হবে।কারণ ভালো ফিডব্যাক আপনাকে আরও ভালো লিখতে উৎসাহী করবে। অন্যদিকে পাঠক ব্লগের কার্যক্রমে অংশ নিতে পেরে আনন্দিত হবেন।
আপনি সপ্তাহে একটি করে প্রশ্ন করতে পারেন- পাঠকরা কি ধরণের লেখা চায়। এতে আপনার টপিক বাছাই করা সহজ হবে।গেস্ট লেখককে আমন্ত্রণ জানানো আপনার ব্লগের জন্য পোস্ট লিখতে গেস্ট ব্লগারকে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। এর ফলে পাঠক নতুন লেখককে পেয়ে আনন্দ পাবে।
এই ফুরসতে আপনি লেখার জন্য নতুন আইডিয়া তৈরি করতে পারবেন। এখন অনেকেই ব্লগ লিখতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। তাই গেস্ট লেখক পাওয়া কঠিন কিছু হবে না। আপনি শুধু নিজে চিন্তাভাবনা করে কিংবা নেট সার্চ করে ভালো টপিক সংগ্রহ করে নিতে পারেন, তা নয়।
মাঝে মাঝে বন্ধু-বান্ধব, আত্নীয় স্বজনকে জিজ্ঞাসা করেও তারা কি পড়তে ভালোবাসেন তা জেনে নিতে পারেন। তাদের কাছ থেকেও পেতে পারেন দারুণ সব টপিক।নিজের ভুল নিয়ে লেখা মানুষ সাধারণত ভুল নিয়ে লেখা পড়তে বেশি পছন্দ করে। কারণ তারা সেটা থেকে শিখতে পারে। একটা কথা তো আছেই ব্যর্থতাই সফলতার চাবিকাঠি। তাই আপনার করা শেষ ভুলটাই হয়ে যেতে পারে লেখার টপিক।হ্যাঁ, তবে অবশ্যই পাঠকদের জানাতে ভুলবেন না যে সে ভুল থেকে আপনি কিভাবে শিখেছেন।
3 thoughts on "ব্লগিং এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস"