আসসালামু আলাইকুম,
আমাদের ব্লগ সাইট তৈরীর ১ পর্বে সবাইকে স্বাগতম , আজ এই পর্বে আমার ব্লগ সাইট তৈরীর করার আগে কিছু বিষয় গুলো জানা দরকার ব্লগ কি ,ব্লগিং কি , ব্লগার কাকে বলে , ব্লগ বা ব্লগিং এর ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান থাকা আবশ্যক । আমাদের জানা দরকার আমরা কি করছ এটার মানে কি যেহেতু আমরা শুরু থেকে শুরু করছি তাই সব জানা উচিত ।
ব্লগিং ও ব্লগ কিঃ
নিজের দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা অথাব কোন একটি নির্দিষ্ট ঘটনা নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে লিখালিখি বা অন্য কোন বিষয়ের উপর ধারাবাহিক ভাবে লিখালিখি করে অনালাইনে সবার সাথে শেয়ার করার পদ্ধতিকে কে বলা হয় ব্লগিং । আর যেসব ওয়েব সাইটে এই লিখা গুলো ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করা হয় সেই ওয়েব সাইটকে ব্ললা হচ্ছে ব্লগ ।
এছাড়া বলা হয়ে থাকে ব্লগ হলো এমন একটি সাইট যেখানে লেখক তার লেখা প্রকাশ করে এবং ইউজার রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম থাকবে এবং সেখানে তারা রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে তাদের মতামত গুলো শেয়ার করবে । ব্লগ ওয়েবসাইট আর ওয়েবসাইট একটি পার্থক্য রয়েছে যা আপনার বুঝতে পারছেন ।
আর ব্লগিং বিষয় টা আপনি যেকোন বিষয়ের উপর করতে পারেন আপনি যদি প্রযুক্তি নিয়ে ভালো জানেন তাহলে প্রযুক্তি নিয়ে লেখতে পারেন । যদি আপনি খেলাধূলা সম্পর্কে ভালো খোঁজ খবর রাখেন তাহলে খেলাধূলা সম্পর্কে লিখতে পারেন । আপনি নিজেকে যে বিষয়ের উপর উপযুক্ত মনে করেন ঐ বিষয় নিয়ে লিখতে পারেন ।
ব্লগার কাকে বলে ?
যারা ব্লগ লিখেন তাদের ব্লগার বলা হয়ে থাকে । একজন ব্লগার তার জানা বিষয় গুলো তার ব্লগ সাইটে শেয়ার করতে পারে তার নিজস্ব মতামত দিয়ে।
ব্লগ এর ইতিহাস
১৯৯৭ এর ১৭ ডিসেম্বর, “জর্ন বার্গার” নামক এক ব্যক্তি সর্বপ্রথম ‘weblog’ শব্দটির উদ্ভাবন করেন। পরবর্তীতে, ‘পিটার মেরহোলজ’ তার নিজস্ব ব্লগ পিটার্ম ডট কমে কৌতুক করে ‘weblog’ শব্দটিকে ভাগ করে ‘blog’ বলে সম্বোধন করেন ১৯৯৯ এর এপ্রিল বা মার্চের দিকে। তারপর থেকে ‘blog’ শব্দটির ব্যাবহার বাড়তে থাকে। ইভান উইলিয়ামস নামের এক ব্যক্তি blog শব্দটিকে যথাক্রমে ‘বিশেষ্য’ ও ‘ক্রিয়াপদ’- দুভাবেই কাজে লাগান।
তিনিই ‘Blogger’ কথাটির উদ্ভাবন করেন। ‘ব্লগিং’- এর জনপ্রিয়তার পূর্বে ‘ডিজিটাল সম্প্রদায়’ বা ‘অনলাইন যোগাযোগ’ এর অন্যান্য জনপ্রিয় মাধ্যমগুলো ছিলো Usenet, GEnie, BiX, CompuServe, BBS ইত্যাদি। তখনকার জন্য এগুলো জনপ্রিয় হলেও এগুলোর সাহায্যে খুব কষ্ট করেই Running conversation- এর কাজগুলো করা হতো। কিন্তু আধুনিক ব্লগিং এর সুবাদে মানুষ এখন খুব সহজেই সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করতে পারছে। যারা ব্লগিং করে, তাদেরকে বলা হয় ব্লগার। ব্লগাররা সাধারণত নিজেদেরকে ‘Diarists’ বা ‘Journalers’.ও বলতে পারে।
Justin Hall, যিনি ব্যক্তিগত ব্লগিং শুরু করেছিলেন ১৯৯৪ সালে। তখন তিনি ‘Swarthmore College’-এ পড়তেন। তাকে ধরা হয় ব্লগিং-এর ইতিহাসের সবচেয়ে পুরনো ব্লগার। সেসময়ের চলমান কিছু জনপ্রিয় ব্লগের মধ্যে ‘Jerry Pournelle’ এবং ‘Dave Winer’s’- এর পার্সোনাল ব্লগ ছিলো অন্যতম। এগুলো ছিলো সবচেয়ে পুরনো এবং দীর্ঘসময় ধরে চলা জনপ্রিয় ব্লগ। ব্লগিং এর জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে এর চাহিদাও বাড়তে থাকে। এতে যোগ হয় বিভিন্নরকম প্রযুক্তি।
১৯৯৯ থেকে ব্লগিং- এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায় এবং তা এখনও রয়েছে। ব্রুস এবলসন এক ব্যক্তি ১৯৯৮ সালের অক্টোবরে ‘ওপেন ডায়েরি’ নামক একটি ব্লগ খোলেন এবং রাতারাতি তার ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। হাজার হাজার ব্লগার তার ব্লগের সাথে যুক্ত হন এবং এটিই সর্বপ্রথম ব্লগ কমিউনিটি যেখানে, অন্যান্য ব্লগারদের লেখায় মন্তব্য করার সুযোগ দেয়া হয়। এছাড়া Evan Williams এবং Meg Hourihan যারা Pyra Labs-এ কাজ করতেন, ১৯৯৯ সালে তারা চালু করেন তাদের নিজস্ব ব্লগ সাইট “blogger.com”, যা ২০০৩ এর ফেব্রুয়ারিতে গুগল কিনে নেয়।
ব্লগের এই ইতিহাস টি উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে এসব সমস্ত আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন উইকিপিডিয়ার এই পেজে । উইকিপিডিয়া ব্লগ সম্পর্কে পেজ ।
ব্লগিং প্লাটফর্ম
যেখানে ব্লগ সাইট তৈরির করার সুবিধা থাকে অর্থ্যাৎ যে সব ওয়েব সাইটে একটি ব্লগ সাইট তৈরী করা যায় ঐ স্থান বা সাইট কে বলা হচ্ছে ব্লগিং প্লাটফর্ম । বর্তমানে সবচেয়ে জন প্রিয় ব্লগিং প্লাটফর্ম হলো WordPress And Blogger । এছাড়া আরো ব্লগিং প্লাটফর্ম রয়েছে যেগুলো তেমন একটা জনপ্রিয় না আরো সব ব্লগিং প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করুন ।
ব্লগার ডট কম ( Blogger.Com ) সম্পর্কে
ব্লগার ডট কম গুগলের একটি ফ্রী ব্লগিং প্লাটফর্ম যেখানে আপনি কোন রকম টাকা খরচ করা ছাড়া একটি ব্লগ খুলে ব্লগিং শুরু করতে পারেন। আমার ব্লগ এর ইতিহাস সেকশনে জানতে পেরেছি যে ব্লগার ডট কম টি আগে গুগলের ছিল না এটি পায়রা ল্যাব নামে একটি কোম্পানির ছিল যা গুগল ২০০৩ এর ফেব্রুরাতিএ কিনে নেয় । গুগল এটি কিনে নেওয়ার পর নিজেদের সার্ভারে ট্রান্সফার করে এবং এটি আগে ব্লগস্পট নামেও পরিচিত ছিল ( Blogspot ) ।
ব্লগার ডট কম এর সুবিধা
১। এটি একটি ফ্রী ব্লগিং প্লাটফর্ম
২। এখানে আপনি ডোমেইন ব্যতীত সব কিছু ফ্রী পাবেন
ওয়েব হোস্টিং কি ও ডোমেইন কি বিস্তারিত ?
৩ । ব্লগারে রয়েছে কিছু নিজস্ব থীম / টেমপ্লেট বা ডিজাইন এবং কিছু পেইড ও ফ্রী থীম অনালাইনে রয়েছে যা ব্যবহার করে সাইটের সুন্দর লুক দিতে পারেন ।
৪। আপনার ব্লগ টি ততক্ষণ পর্যন্ত সুরিক্ষত যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার জিমেইল আইডি টিক আছে । আপনার জিমেইল আইডি কেউ হ্যাক না করা পর্যন্ত কেউ আপনার ব্লগের কিছু করতে পারবে না ।
৫। ব্লগ তৈরী করা সময় আপনি একটি ফ্রী সাবডোমেইন পাবেন যেটা দিয়ে সাইট টি চালাতে পারবেন পরে নিজের ডোমেইন অ্যাড করতে পারবেন । এছাড়া আপনাকে গুগল অ্যাডসেন্স তাদের ব্লগারে ব্লগ করার জন্য সাবডোমেইন ই আপনি অ্যাডসেন্স থেকে আয় করার সুযোগ পাচ্ছেন ।
ব্লগারে কিছু অসুবিধা
ব্লগার ডট কম এর কিছু অসুবিধা রয়েছে যা আপনারা ব্যবহার করতে পারবেন এটি কে অসুবিধা না বললেও চলে । ব্লগার টেমপ্লেট অর্থ্যাৎ ডিজাইন তেমন ভাল না ও লাগতে পারে আপনাকে , এর পরে আসে ফাংশন এর কথা যা ব্লগারে করা যায় কিন্ত ওয়ার্ডপ্রেস আপনি বিভিন্ন ফাংশন বা সুবিধা পাবেন যেগুলোর মাধ্যমে ব্লগ সাইট আরো আর্কষণীয় করতে পারেন । এছাড়া আরো কিছু জিনিস আছে যা আপনি ব্যবহার করতে করে জেনে যাবেন ।
আপনি ব্লগার ব্যবহার করবেন কি না ?
আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে বলব ব্লগার ডট কম দিয়ে শুরু করার । আপনার ব্লগিং শুরু করার জন্য ব্লগার ডট কম একদম ভালো হবে এবং আপনার শুরু জন্য যথেষ্ট । পরে যদি কখনো আপনার মনে হয় যে আমার অন্য প্লাটফর্ম অর্থ্যাৎ ওয়ার্ডপ্রেস যাওয়া লাগবে তখন আপনি সহজে আপনার লিখা কনটেন্ট ব্যাক আপ করে ওয়ার্ডপ্রেস এ যুক্ত করতে পারেন ।
আজ এই পর্যন্তু আগামী পর্বে দেখা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন । পরবর্তী পোস্ট আবারো প্রকাশ হবে ট্রিকবিডি ও আমার সাইট www.nanoblog.net
আমার ব্লগার থেকে সাইড তৈরি আর ফ্রি ডোমেইন নেয়া।
ওয়েবসাইটের নাম http://www.smsourov.ml
কিন্তু আমি যদি www বাদ দিয়ে খালি smsourov.ml দিয়ে ইন্টার করি তাহলে আমার ওয়েবসাইটে ডোকেনা। এর কারনটাকি একটু বলতে পারবেন আর সমাধান দিতে পারবেন?