কোন একটি কনটেন্ট লেখার জন্য আমরা যেন কোন একটি কিওয়ার্ড খুঁজে বের করতে পারিনা, আর যদি পারি তাহলে কয়েক লাইন লেখার পর আমাদের কলম গুটিয়ে যায়।

আপনি হয়তো লাখ খানেক ওয়েবসাইট দেখেছেন এসব ওয়েব সাইটে যে কোন একটি কিইওয়ার্ডের উপর একটি কনটেন্ট লিখলেই তাড়াতাড়ি রেঙ্ক করে।

আর আপনি হয়তো অবাক হয়ে যান তাদের পারফরম্যান্স দেখে, কিভাবে তারা এত তথ্যবহুল এবং লম্বা কনটেন্ট লিখতে পারে?

আর কিভাবেই তারা যেকোনো কনটেন্ট লিখলেই গুগলে তাড়াতাড়ি রেঙ্ক করে ফলে তাদের কনটেন্ট লেখাটা সার্থক হয়। আপনি যদি এরকম তথ্যবহুল বড় কনটেন্ট লিখতে চান তাহলে এই আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত প্রতিটা স্টেপ মনোযোগ সহকারে দেখুন।

কিইওয়ার্ড নির্বাচন– কনটেন্ট লেখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রথম বিষয় হল একটি কিওয়ার্ড নির্বাচন, আমরা প্রতিনিয়ত এই ভুল করে বসি অন্যের কী-ওয়ার্ডটি দেখে ওই কিওয়ার্ড এর উপর আমার লিখতে বসে যায়!

তবে আপনি যখন একটি কিওয়ার্ড সিলেক্ট করেন অর্থাৎ একটি কী-ওয়ার্ড এর সমন্বয়ে একটি আর্টিকেল লিখতে চান তখন আপনাকে কিওয়ার্ড টি সম্পর্কে কিছুটা জানা লাগে।

আপনি যদি আমার মত খুব ছোট একজন ব্লগার হোন এবং কীওয়ার্ডস সিলেকশন এর সময় একটি বেশি কম্পিটিটর কিওয়ার্ড সিলেক্ট করে নেন তাহলে আপনার আর্টিকেল লেখাটা সম্পূর্ণ বৃথা যাবে।

আপনি হয়তো কখনো এরকমটা চাইবেন না যে আপনি কষ্ট করে একটি আর্টিকেল লিখবেন এবং এটি কেউ পড়বে না ।

তাই সর্বপ্রথম কাজ হল এমন একটি কিওয়ার্ড সিলেক্ট করা, যার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসবে ঠিকই কিন্তু এই কিওয়ার্ড নিয়ে কম মানুষ কাজ করছে।

প্রশ্ন হলো আপনি কিভাবে কিওয়ার্ড সিলেক্ট করবেন অর্থাৎ কোথায় আপনি কিওয়ার্ড পাবেন আর্টিকেল লেখার জন্য?

এর জন্য অনেক টুলস আছে যেগুলো ব্যবহার করতে হলে আপনাকে ডলার খরচ করতে হয়, আপনার যদি সামর্থ্য থাকে তাহলে আপনি Ahrefs, Semrush এর মত অসাধারণ টুলস ব্যবহার করতে পারেন!

আর আপনি যদি আমার মত গরীব হয়ে থাকেন তাহলে আমি রিকমেন্ড করব ফ্রী টুলস গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সেরা একটি টুলস,

Unersugest
.

এই টুলসটি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি সবচেয়ে ভালো কিওয়ার্ড খুঁজে পাবেন, এর জন্য আপনাকে কিছুই করতে হবে না শুধুমাত্র আপনাকে আপনার কম্পিটিটর ডোমেইনটি এনালাইজ করতে হবে।

এর মাধ্যমে আপনি পেয়ে যাবেন যে আপনার কম্পিটিটর কোন কোন কিওয়ার্ডের উপর ভালো রেঙ্ক করছে এবং কোন কোন কিওয়ার্ডের এর মাধ্যমে তার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনতে সক্ষম হচ্ছে।

অথবা আপনার কাছে যদি কাস্টম কোন কিইওয়ার্ড থাকে তাহলেও আপনি এই টুলসটি সাহায্যে সার্চ করে আপনার কীওয়ার্ড কতটা ডিফিকাল্ট তা নিশ্চিত হতে পারবেন।

কিওয়ার্ড ডিফিকাল্ট কিনা সেটা বুঝতে পারবেন এই টুলসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচারস এর মাধ্যমে আর সেটা SD- যার মানে হল এসইও ডিফিকাল্টি।

আপনি যখনই কোনো একটি কি ওয়ার্ড সিলেক্ট করবেন তখন এসইও ডিফিকাল্টি যদি 15 এর নিচে হয় তাহলে খুব বেশি চান্স থাকে এই কী-ওয়ার্ড এর উপর আপনি আপনার আর্টিকেলটি রেঙ্ক করতে পারবেন।

কিবোর্ড এর উপর ক্লিক করলে আপনি এই অপশন গুলো দেখতে পারবেন! তাছাড়া এই টুলসটি আপনাকে এটাও জানিয়ে দেবে যে কত পার্সেন্ট চান্স আছে আপনি আপনার কিওয়ার্ড নিয়ে সার্চ রেংকিং এ টপ টুয়েন্টিতে থাকার।

চেষ্টা করবেন ৮০% এর উপরে চান্স থাকলে সেই কিওয়ার্ডটি নিয়ে কাজ করার। কারণ এতে করে আপনার কনটেন্ট লেখার সফলতা অনেকটা বেড়ে যায়।

তাছাড়াও আপনি দেখতে পারবেন, আপনার টার্গেটেড কন্টেন্টটি রেঙ্ক করাতে আপনার competitor’s এভারেজ কতটি ব্যাকলিংক তৈরী করেছে।

কনটেন্ট আইডিয়া– কিওয়ার্ড সিলেক্ট করা হয়ে গেল এবার মূল পর্যায় এসে পড়লাম। কনটেন্ট এখন কিভাবে লিখব? যাতে করে কনটেন্টটি গুগলে রেঙ্ক করে সহজেই।

প্রথমে আপনার কিওয়ার্ড লিখে গুগলে সার্চ করুন! এবং এখানে প্রথম এবং দ্বিতীয় পেইজে যতগুলো কনটেন্ট আছে সবগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

দেখবেন আপনি প্রত্যেকটি কনটেন্টের সমন্বয়ে আপনার কিওয়ার্ডটি সম্পর্কে খুব বেশি ধারণা পেয়ে যাবেন, তার ফলে আপনি কনটেন্টটিকে অনেক বড় করতে পারবেন ।

ছবি যুক্ত করুন:কনটেন্ট এ যুক্ত করুন ইমেজ, এটা যেমন আপনার ব্লগপোস্টকে ইউজারকে সহজ ভাবে বুঝাতে সাহায্য করবে, এছাড়াও কনটেন্টের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলবে।

তাছাড়া আপনি যখন একটি কনটেন্ট লিখবেন তখন আপনার কম্পিটিটরদের এর কনটেন্টটি ফলো করবেন। এবং তাদের চেয়ে বেশি ইমেজ আপনার কনটেন্ট যুক্ত করবেন।

তবে মনে রাখবেন অপ্রয়োজনীয় কোন ইমেজ কনটেন্ট এর মধ্যে যুক্ত করবেন না, এতে এর বিপরীত হতে পারে।

‘কারণ একটি ছবি 1000 শব্দের কথা বলে’

কনটেন্টটিতে ভালোভাবে হেডিং, সাব- হেডিং সবকিছু কাস্টমাইজ করেন। আর যে যে লেখা বোল্ড করতে হয় সেই লেখাগুলোকে বোল্ড করুন।

যাতে করে আপনার কনটেন্ট রিডাররা কন্টেন্টটি অন্য রকম ভাবে উপলব্ধি করতে পারে!

কনটেন্ট টাইটেল এবার একটি আকর্ষণীয় টাইটেল যুক্ত করুন যাতে করে সবাই আপনার কনটেন্টের টাইটেলের উপরে ক্লিক করে।

আপনি চাইলে এরকম টাইটেল লিখতে পারেন- সকালে দৌড়ানোর সাতটি উপকারিতা| 6 নম্বর টি আপনাকে চমকে দেবে।

তখন সবাই এটা ভাববে আমরা তো জানি যে সকালে দৌড়ানোর উপকারিতা আছে। কিন্তু ছয় নাম্বার উপকারিতা আসলে কি? তখন তারা কৌতূহলে আপনার কনটেন্টের উপর ক্লিক করবে।

এছাড়াও আপনি চাইলে আরো কাস্টমাইজ করে একটি আকর্ষণীয় টাইটেল আপনার কনটেন্টের এর জন্য দিতে পারেন।

কন্টেন্টে কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন-কনটেন্ট এর ভিতর এবং ডেসক্রিপশন এ আপনার কাঙ্খিত কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন। তবে খুব বেশি কিভাবে ব্যবহার করলে আপনার কনটেন্ট কখনো সার্চ ইঞ্জিনের রেঙ্ক করবে না।

চেষ্টা করবেন প্রতি 100 টি ওয়ার্ডের আপনার কিওয়ার্ডটির মাত্র তিনবার ব্যবহার করার। এর বেশি হলে আপনার কনটেন্ট কিওয়ার্ড স্টাফিং এর মধ্যে পড়ে যাবে।

যার ফলে কখনোই আপনার কনটেন্ট সার্চ ইঞ্জিনে রেংক করবেনা।

ওয়েবসাইটের স্পিড– উদাহরণস্বরূপ কেউ আপনার ব্লগে ভিজিট করেছে, এবং সে আপনার ব্লগে ভিজিট করার পর দেখতে পেলো ওয়েবসাইটটি খুব বেশি লোড নিচ্ছে।

তখন সে কি করবে? তার কথা বাদ দেন, এই সিচুয়েশনে যদি আপনি থাকেন তাহলে আপনি কি করবেন? নিশ্চয়ই আপনি ব্যাক বাটনে ক্লিক করে ওয়েবসাইট থেকে লিভ নিবেন।

আর এভাবে যদি প্রত্যেককেই আপনার ওয়েবসাইট থেকে লিভ নেয় তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে বাউন্স রেট বৃদ্ধি পাবে।

আর গুগোল মনে করবে প্রত্যেক ইউজাররা এই ওয়েবসাইট থেকে লিভ নিচ্ছে, তাহলে হয়তো তারা এরকম কিছু পাচ্ছে না,যা এই ওয়ার্ডের মধ্যে থাকা দরকার।

তখন গুগল কি করবে? কারন গুগল সবসময় এটা চায় সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারী প্রত্যেক ইউজার ভালো কিছু কনটেন্ট পড়ুক, এবং তারা কোন দূর্ভোগে যেন না পড়ে।

এতে করে গুগল আপনার সাইটকে সার্চ রেঙ্কিং থেকে বাদ দিয়ে দিবে। এবং আপনি দিন দিন আপনার ওয়েবসাইটে রেঙ্কিং হারাতে থাকবেন।

আপনার যদি ওয়ার্ডপ্রেস সাইট হয় তাহলে আপনি আপনার সাইটে Amp লোডিং স্পিড একটিভ করতে পারেন, তবে ব্লগার টেমপ্লেট ডাউনলোড করতে হয় Amp একটিভ করার জন্য।

আপনি চাইলে পোস্টের একদম শেষে ব্লগের জন্য আপনার পছন্দের Amp ব্লগার টেমপ্লেট টি ফ্রিতে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

মোট কথা হল আপনি যে কনটেন্ট লিখেন না কেন কনটেন্টগুলো যথেষ্ট তত্ত্বের সমন্বয়ে অন্যের কনটেন্ট কপি করা ছাড়াই লেখার চেষ্টা করবেন।

আর আমি আগেই বলেছি আপনি যদি আপনার কিওয়ার্ড টি গুগল এ সার্চ করে এর কয়েকটি রিজাল্ট দেখেন তাহলে আপনি আপনার কিওয়ার্ড নিয়ে অনেক বেশি লিখতে পারবেন।

আর কনটেন্ট এর স্ক্রিনশট যুক্ত করলে স্ক্রীনশট গুলো একটু বড় করে দিবেন। আপনি যদি ব্লগার ব্যবহার করেন তাহলে স্ক্রিনশট টি X-large করবে।

এবং কনটেন্ট এর ফন্ট গুলো বড় করে দিবেন যাতে করে ভিজিটররা কোন ধরনের দুর্ভোগে ছাড়াই আপনার কনটেন্টটি পড়তে পারে।

শেষে একটি কথাই বলতে চাই- কন্টেন্টকে সার্চ ইঞ্জিন উপযোগী করার কথা না ভেবে ইউজারের উপযোগী করার কথা ভাবুন।

দেখবেন আপনার কনটেন্টটি সার্চ ইঞ্জিনের উপযোগী হয়ে গেছে।

  • Free Amp Blogger Templates
  • অসংখ্য ধন্যবাদ কনটেন্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য। হ্যাপি ব্লগিং!!

    6 thoughts on "কিভাবে একটি কনটেন্ট লিখবেন যে কনটেন্টটি রেঙ্ক করবে গুগলের প্রথম পেইজে। (Ultimate Guide)"

      1. Ahmed Parbes Author Post Creator says:
        Amp মানে হলোঃ accelerator mobile page ” যা আপনার সাইটের স্পিড দ্রুত করতে সহায়তা করে।
    1. Nazmul Huda Contributor says:
      Eto Boro Post j porlam a na
      1. MD Biplop Hossain Author says:
        কিছু জিনিস শর্টকাট হয় না এটি একটি ভালো আর্টিকেল আর ভালো আর্টিকেল ট্রিকবিডির অন্য পোস্টের মতো শুধু স্ক্রিনশট দিয়েই ভরা থাকবে তা হয় না। পোস্ট টা বড় হলেও অনেক কিছু শিখতে পারবেন।

    Leave a Reply