আপনারা সবাই জানেন, ব্লগিং হচ্ছে লেখালেখি করা। অর্থাৎ ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইটে লেখালেখি করে ইনকাম করার প্রচেষ্টায়কে ব্লগিং বলা হয়ে থাকে। আমি এই আর্টিকেলে ব্যাখ্যা করবো কেন আপনার 2023 সালে পেশা হিসেবে ব্লগিং বেছে নেওয়া উচিত।
কাজে স্বাধীনতা
যেহেতু আপনি নিজের কাজ করবে সুতরাং আপনার কাজের স্বাধীনতা আছে আপনি যদি কোথাও চাকুরী করেন তাহলে আপনাকে প্রতিদিন চাকরির যেতে হবে এবং প্রতিদিন নির্দিষ্ট অর্থ পরিমাণে কাজ করতে হবে।
আপনি আপনার পছন্দমতো সময়ে কাজ করতে পারবেন। যা অন্য যে কোন চাকরিতে পাবেন না। সুতরাং ব্লগিং পেশার ক্ষেত্রে আপনার কাজের স্বাধীনতা থাকবে। যা অন্য কোন পেশায় পাবেন না
ইনকাম বেশি
অন্যান্য অনেক চাকরির তুলনায় ব্লগিং-এর ইনকাম বেশি। কারণ এখানে ডলার হিসেবে পেমেন্ট করার কারণে টাকার পরিমাণ বেশি হয়ে যায়। আপনি যদি একটি ওয়েবসাইটে প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে সময় দেন তাহলে আপনি সেই ওয়েবসাইটে অনায়াসে 300 থেকে 500 ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
যা বাংলায় টাকায় কনভার্ট করলে দেখা যায় 30 হাজার থেকে 50 হাজার টাকা। এমন অনেক চাকরি আছে যেখানে আপনি 10 ঘন্টা কাজ করে 30 হাজার টাকা বেতন পাবেন না। তাই আপনার পেশা হিসেবে ব্লগিং বেছে নেওয়া উচিত।
ব্লগিং ইনকাম সম্পর্কে জানাতে ট্রিকবিডি এর এই পোস্টটি পড়ুন:
ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় ? -মোবাইল দিয়ে ব্লগিং
ফ্রিল্যান্সিং কাজের সুযোগ
যদি আপনি পেশা হিসেবে ব্লগিং বেছে নেন, তাহলে অবশ্যই লেখা আর্টিকেল রাইটিং এর পাশাপাশি আপনার কিছু দক্ষতা তৈরি হবে যেমন:কিওয়ার্ড রিসার্চ করা, এসইও অপটিমাইজ করা, এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখা, এবং ওয়েবসাইট এসইও ফ্রেন্ডলি করা, ও ওয়েব সাইট লিঙ্ক করার বিভিন্ন হিডেন টিপস।
সুতরাং আপনার যদি এরকম স্কিল তৈরি হয়, তাহলে এই স্কুলগুলোর ওপর ভিত্তি করে আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ পাবেন, যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান।
বর্তমানে এই ডিজিটাল যুগে আর্টিকেল রাইটার দের চাহিদা সবার উপরে রয়েছে। আপনি যদি নিজে ব্লগিং শুরু করেন তাহলে অবশ্যই আপনার আর্টিকেল রাইটিং দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।
ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো আপনি fiverr.com, upwork.com, freelancer.com মার্কেটপ্লেসগুলোতে পাবেন। এছাড়া আপনি মার্কেটপ্লেস ছাড়াও আপনি অনেক কাজে বাহিরে পাবেন, যদি আপনার উপরে দক্ষতাগুলো থাকে।
ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ট্রিকবিডি এর নিচের আর্টিকেলটি দেখুন:
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শুরু করার জন্য কি কি প্রয়োজন জেনে নিন
প্যাসিভ ইনকাম এর সুযোগ
প্যাসিভ ইনকাম হচ্ছে আপনি একটি কাজ করবেন এর বিনিময়ে লংটাইম বেনিফিট পাবেন।
আপনি যদি কোনো চাকুরি করেন, তাহলে অবশ্যই প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন না।
যদি আপনার একটি ব্লগ সাইট থাকে, তাহলে আপনি সেই সাইটটিকে ভালো একটি অবস্থান নিয়েছে যদি কাজ না করেন, তাহলেও আপনার ইনকাম আসতে থাকবে। সুতরাং আপনি যদি প্যাসিভ ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ব্লগিং পেশাকে বেছে নিতে বেছে নেওয়া উচিত।
শেষ কথা:
পেশা হিসেবে ব্লগিং বেছে নিলে আপনি যে সুবিধাগুলো পাবেন তা আমি ওপরে ও অন্যটি ব্যাখ্যা করেছি। উপরে উল্লেখ করা কারণগুলো ছাড়াও আরো অনেক সুবিধা আছে। যদি আপনি পেশা হিসেবে ব্লগিং বেছে নিন, তাহলে সুবিধাগুলো ভোগ করতে পারে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে অন্যান্য সকল পেশার থেকে ব্লগিং পছন্দ করি কারণ এখানে কাদের স্বাধীনতা আছে এবং প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করা যায়।
আর্টিকেলটির যদি আপনার ভাল লাগে অবশ্যই একটি লাইক করবেন এবং একটি কমেন্ট করবেন প্লিজ। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি কোন নিশ আর কোন ল্যাঙ্গুয়েজে ব্লগিং করেন? আপনার সাইটের লিঙ্ক দেওয়া যাবে?
এইখানে বলতে সমস্যা থাকলে আপনি মেইলের মাধ্যমেও বলতে পারেন। আমার মেইল এড্রেসঃ [email protected]
ধন্যবাদ 🙂
kintu shurutei chakri bebsha chere diyei blogging shuru kora buddhimaner kaaz hobe na.