এই করোনায় লকডাউনে সবাই ঘরবন্দি, এখন লকডাউন এর কারণে করোনায় মানুষ যতটা না ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গরীব অসহায় মানুষেরা। যাদের দেখা দিচ্ছে খাবার সংকট, যারা দিন আনে দিন খায় তারাই সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী। দেখা দিচ্ছে খাদ্যসঙ্কট, না খেয়ে থাকতে দেখা গেছে অনেককেই। তাই বাংলাদেশ সরকার সে সমস্ত অসহায় মানুষদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে একটি নতুন সুবিধা চালু করেছে।
দীর্ঘদিন ধরে ঘর বন্দী হয়ে থাকা মানুষের জন্যে জাতীয় শর্টকোড নম্বর ৩৩৩ এ কল করে সরকারি খাদ্য সাহায্য এবং ত্রাণ সহায়তা নেওয়ার সুযোগ চালু করেছে সরকার।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এর সিনিয়র পলিসি ফেলো আনির চৌধুরী এই খবর নিশ্চিত করেছেন। আনির বলেন, দুই দিন আগে তারা এই সেবাটি চালু করেছেন।
৩৩৩ এ প্রতিদিন লক্ষাধিক কল আসে এর মধ্যে করোনা বিষয়ে তথ্য চেয়েই বেশি কল হয় বলে জানান আনির। গত সপ্তাহ থেকে খাবার চেয়েও কিছু কল আসছে বলে আমরা খেয়াল করি। পরে কয়েকজন কল সেন্টার স্টাফকে দিয়ে একটি ডেডিকেটেড উইং চালু করা হয়েছে এই বিষয়ে। যেখানে কল আসলে কলটি সংশ্লিষ্ট ইউএনওকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং তারাই নির্দিষ্ট ওইসব পরিবারকে খাবার এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিচ্ছেন।
গত দুই দিনের ৩৩৩ এই সেকশানে পাঁচ হাজারের বেশি কল এসেছে। কোনো রকম প্রচারণা ছাড়াই এমন কল আসছে। আর প্রচারণা হলে তখন পরিস্থিতি কি দাঁড়াবে চিন্তা করা যায় না বলেন আনির।
দুই বছর আগে জনগণকে সরকারি তথ্য দেওয়ার জন্যে ৩৩৩ শর্ট কোডের যাত্রা শুরু হয়। পরে করোনার সমস্যা শুরু হলে ডাক্তাদের একটি উইং খোলা (উবার পুল) খোলা হয় এখানে।
ডাক্তাদের যারা যখন ফ্রি থাকেন তখনই এই উংয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মানুষকে সেবা দিতে পারেন। করোনা সমস্যার শুরু থেকে ৩৩৩ এ কল টোল ফ্রি করে দিয়েছে সবগুলো মোবাইল ফোন অপারেটর। সুতরাং এখানে কল করতে আর কোনো খরচ হয় না।
আমি আপনার পোস্ট দেখে ফোন দিছিলাম বুঝলেন
https://www.facebook.com/watch/?v=292025722531772