আসসালামু আলাইকুম !
আজকে আমরা জানবো টোকেনমিক্স কি ?
ডিজিটাল কারেন্সী শিক্ষার ৩য় পর্বে আমরা জানবো একটা টোকেন বানানোর পর সেটার supply/distribution নিয়ে আলোচনা !
টোকেনমিক্স হলো একটা token এর কিভাবে তৈরী হয়,এটার ব্যবহার,এটার বন্টনপ্রক্রিয়া,ভবিষ্যতে এই টোকেনগুলো কিভাবে বন্টন হবে,কিভাবে এর সাপ্লাই কমানো হবে সেটা নিয়ে আলোচনা !
আপনি যদি আগের দুই পর্ব না পড়ে না থাকেন তাহলে দেখে নিন ঃ
ডিজিটাল কারেন্সি শিক্ষা পর্ব ১ ! কিভাবে একটা কয়েন এর তথ্য বের করবেন?
টোকেনমিক্স এর মুলত ৫ টা ভাগ থাকে
- allocation-কাদের জন্য কত অংশ করে এই টোকেন দেয়া হবে !
আজকে এই প্রত্যকটা ধারনার ব্যখা করবো !
আপনি কিভাবে একটা কয়েন/টোকেন এনালাইসিস করার জন্য টোকেনমিক্স এর তথ্য পাবেন এর জন্য ?
এর জন্য আপনাকে প্রত্যক প্রজেক্ট এর website এর whitepaper/litepaper পড়তে হবে !
whitepaper: হোয়াইটপেপার হলো একটা ব্যবসার/প্রজেক্ট এর পুরো বর্ননা !এদের ব্যবসার সামনের পরিকল্পনা লেখা থাকে !
সেখানে Tokenmics এর বর্ননা দেয়া থাকে !
এখন আমরা উপরিউক্ত ধারনাগুলোর বিস্তারিত ব্যখা জানবো!
Minting-minting হলো একটা ব্লকচেইনে কিভাবে নতুন কয়েন/টোকেন তৈরী হয় !
এটা মুলত হয় দুইভাবে
pow(proof of work)এটা হলো mining করে নতুন টোকেন বানানো !
pos(proof of stake) এটা হলো coin stake/lock রেখে সেটাকে দিয়ে নতুন টোকেন তৈরী করা!
Utility– এটা হলো এই টোকেনটা আসলে কি কাজে ব্যবহার হবে !
allocation-প্রজেক্ট বাজারে আসার সময় এটা বিভিন্ন অংশে সবাইকে দেয়া হয় !
-
public sale- টোকেনগুলো সাধারন ইনভেস্টর দের কাছে বিক্রি করা!
-
community allocations-সাধারন পাব্লিকদের জন্য অংশ!
-
insiders (core team, investors & company)- এটা হলো টিমের সদস্য,big investor দের জন্য !
Distribution-প্রত্যকটা কয়েনই এর একটা বন্টনপ্রক্রিয়া বা ভাগাভাগি এর সিস্টেম থাকে !
alllocationকরার পর distribution করা হয়ে থাকে ধাপে ধাপে !
যারা পায়
- Builders- যারা এই প্রজেক্ট এর মুল ডেভেলপার তারা
- Investors- যারা এই প্রজেক্ট এ ইনভেস্ট করে যেমন venture capital
- Advisors-যারা এই প্রজেক্ট এর জন্য বিভিন্ন সহযোগিতা,পরামর্শ দেয়
- Ecosystem- এখানে যাতে আরো বিভিন্ন প্রজেক্ট আসে সে জন্য তাদেরকে দেয়া হয়!
- community- মানে retail বা সাধারন মানুষকে দেয়া হয় ! giveaways,referral এভাবে!
- marketing-এটা দেয়া হয় বিভিন্ন influencer,media এদেরকে ! airdrop campaign ও করা হয় !
আরো অনেকের জন্য এই টোকেন এর সাপ্লাই এর ভাগ করে দেয়া হয় !
staking– এটা যারা ভবিষ্যতে reward পাওয়ার জন্য stake করে রাখে তাদের জন্য!
Vesting and release– কোন প্রজেক্টই চাবে না তার টোকেন সবাই ডাম্প/একেবারে সব সেল করে দিক!
এতে price crash করবে ! এবং এতে কোম্পানীর সুনামে ক্ষতি হবে !তাই তারা ভাগ ভাগ করে দেয় !
এটা হলো উপরিক্ত বিভিন্ন list এ যারা আছে তাদেরকে দেয়ার সময়সীমা !তারা যাতে একেবারে বিক্রি করতে না পারে সেজন্য !সাধারনত ৩-৪ বছর সময় থাকে !
Token burns- এই কাজটা করা হয় সাপ্লাই কমানোর জন্য ! token burn করার জন্য সেই টোকেন একটা burner wallet এ পাঠানো হয় যেটার কোন private key থাকে না অর্থ্যাৎ সেখানে পাঠালে আর কোনদিন ফেরত আসবে না !একবার সেখানে পাঠানো মানে permanently ধ্বংস করা!
যাতে সাপ্লাই কমে গিয়ে দাম/চাহিদা বাড়ে !
আপনাকে ইনভেস্ট করার আগে টোকেনমিক্স পড়ার পর এগুলো জানতে/বুঝতে হবে !
- বর্তমানে কত কয়েন/টোকেন আছে?
- সামনে কত টোকেন আসবে?
- টোকেন এর মালিক কারা?
একটা টোকেন এর ভবিষ্যত দাম কেমন হতে পারে সেটা বোঝার জন্য আপনাকে অবশ্যই সেই টোকেন/কয়েন নিয়ে পড়াশোনা/research করতে হবে!
যদি আপনি এই পোস্টের মাধ্যমে নতুন কিছু শিখতে পেরেছেন !
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ার জন্য!
যদি আমার টেলিগ্রাম চ্যানেলে জয়েন না করে থাকেন তাহলে জয়েন করতে পারেন !
2 thoughts on "পার্ট ৩ টোকেনমিক্স বা টোকেন এর অর্থনীতি এর ধারনা !"