হ্যালো ভাইরা আসসালামু-আলাইকুম।কেমন আছেন সবাই আসা করি ভালো আছেন।
আমার মতো কিছু লোক আছে যারা আমার থেকেও প্রো কাস্টম এর ব্যাপারে কিন্তু যারা এখনো কিছুই জানে আজকের পোষ্টটি তাদেরই জন্য।আর বাড়তি কথা না বলে চলেন কাস্টম রম দুনিয়ায় যাই।
আপনাকে একবারে সহজ ভাষায় আর সহজ ভাবে বুঝাই, আপনি আপনার হাতের মোবাইলটি একটু সামনে পিছনে ডানে বামে সব দিকে লক্ষ করুন । মোবাইল ছাড়া আর কিছুই দেখলেন না তাই না? আসলে আমি এটা বলি নি।
মূলত,আপনার মোবাইলটি আসলে দুইটি জিনিস এর মাধ্যমে চলে একটি হলো হার্ডওয়ার মানে শরির আরেকটি হলো সফটওয়্যার মানে আত্মা ।আপনার মোবাইলের প্রসেসর, র্যাম,ক্যামেরা,এইসব কিছু হলো হার্ডওয়্যার আর সফটওয়্যার হলো আপনি একটা অপারেটিং সিস্টেম আপনি দেখবেন বিভিন্ন মোবাইলে বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে,যেমনঃ- আইফোনে আইফনের অপারেটিং সিস্টেম আর এন্ড্রয়েড এর মধ্য এন্ড্রয়েড এর অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে।
Stock Rom:
এখন এন্ড্রয়েড এর মধ্যে আলাদা আলাদ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে যেমন শাওমি কোম্পানী MIUI অপারেটিং সিস্টেম ব্যাবহার করে, রিয়েলমি কোম্পানী Colour OS ব্যবহার করে ,ওয়ান প্লাস কোম্পানি Oxygen Os ব্যবহার করে।
এখন আপনার মাথায় আসতে পারে এন্ড্রয়েড তো একটাই তাহলে এত কোম্পানীর এত ভিন্ন ভিন্ন নাম কেনো?
এটার উত্তর পেতে হলে আপনাকে আগে এটা জানতে হবে যে এন্ড্রয়েড একটি ওপেন সোর্স প্রযেক্ট।মানে এক দিস্তা সাদা খালি কাগজ যেখানে আপনি আপনার মন মতো অপারেটিং সিস্টেম বানাতে পারবেন।তাই এখন এই ফ্রি খাতাটিকে মোবাইল কোম্পানীরা নিয়ে একটু হলুদ মরিচ লাগিয়ে নিজের একটা অপারেটিং সিস্টেম বানিয়ে ফেলে এবং এগুলায় বিভিন্ন নাম দেয় আর সেই অপারেটিং সিস্টেমটিকেই আপনার সামনে হাজির করে যেটাকে বলে স্টক রম।
এখন সহজ ভাষায় বলতে গেলে মোবাইল কোম্পানীরা আপনাকে যে অপারেটিং সিস্টেম দেয় সেটিকেই স্টক রম বলে।
স্টক রম এর ব্যাপারে মোটামুটি সবার ধারণা তো হয়ে গেলো এবার আসি কাস্টম এর দুনিয়ায়।
একটা ডেভলপার এর কাছে ধরুন একটা রিয়েলমির মোবাইল আছে এখন সে এখন সে কি করলো, ওই মোবাইলটিতে যে অপারেটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে সেটির কোডং গুলোকে নিজের মাথায় সেট করে সেই ফ্রি ওপেন সোর্স প্রজেক্টটাকে নিজের পকেটে করে বাসায় নিয়ে গিয়ে কোডগুলোকে মোডিফাই করে নিজের দক্ষতার মাধ্যমে কাস্টম রম বানাই ।আর এই কাস্টম রমকে মোবাইল কোম্পানীরা বানাই না এগুলাকে আপনার মতো আমার মতো লোকগুলোই বানাই যাদের আমরা ডেভলপার বলে থাকি আর স্টক রম আর কাস্টম রমের মধ্যে মূল পার্থক্য হলো স্টক রোম কোম্পানীরা প্রোবাইট করে আর কাস্টম রম ডেভ্লপাররা প্রোবাইট করে।তো ডেভলপাররা ওই সোর্স কোডগুলোকে নিজের মতো করে প্রস্তুত করে সেটাকেই আমরা কাস্টম রম বলি।
আশা করি স্টক রম আর কাস্টম রম এর ব্যাপারে কিছুটা হলেও ধারণা দিতে পেরেছি ।
এখন আপনি স্টক রম ছেড়ে কেনো কাস্টম রম ব্যাবহার করবেন ?এটির সুবিধা আর অসুবিধা গুলো আজকে বলবো তবে অসুবিধার চেয়ে সুবিধায় অনেক।
কাস্টম রম ব্যাবহার করলে আপনি আপনার মোবাইলের ওয়ারেন্টি হারিয়ে ফেলবেন শুধু অসুবিধা বলতে এটিই।
এবার আসি সুবিধায়, আপনি একটি মোবাইল কিনলেন ১০-১৫ হাজার টাকায় বা ২০টাকায় কিনলেন এখন কিনার ৫-৬মাস কিংবা ১ বছর পরে দেখলেন আপনার যে মোবাইলটি কিনলেন ১ বছর পরে সেই দামে আরও ভালো আর সুপার ফাস্ট নতুন নতুন ফিচার নিয়ে অন্য কোনো মোবাইল বাজারে আসলো আর আপনি ভাবলেন ইশ যদি মোবাইল এটা যদি নিতে পারতাম, তাহলে আমিও এই এই ফিচার গুলো পেতাম।আবার অনেকর দেখা যায় ওয়ারেন্টি শেষ হয়ে গেলে বা তার আগেই আপডেট আশা বন্ধ হয়ে যায় এখন বর্তমানে এন্ড্রয়েড ১২ সবচেয়ে লেটেস্ট আর ১১ তো আছেই কিন্তু দেখা যায় যে, অনেকে এখনও এন্ড্রয়েড ৯ কিংবা ১০ এর মধ্যেই পরে আছে কারণ তাদের কাছে আর আপডেট আসছে না।কিন্তু আপনি যদি কাস্টম রম ব্যবহার করেন তাহলে এগুলাতে রেগুলার আপডেট আসে আপনি মরে গেলেও আপনার মোবাইল যদি বেচে থাকে তাও আপডেট আসবে।আর যত আপডেট আসবে তত নতুন নতুন ফিচার যুক্ত হবে আপনার মোবাইলে । বিশ্বাস করেন আপনি যদি একবার কাস্টম রম ব্যবহার করেন মানে যে মোবাইলে ব্যবহার করবেন সে মোবাইল আর কখনই বিক্রি করবেন না অথবা অতুন আরেকটা মোবাইল কিনার স্বপ্নও দেখবেন না। কাস্টম রম এর মধ্যে আপনি যদি একবারে সিম্পল চান মানে আপনার ওত হিজিবিজি ভালো লাগে না তাহলে আপনি পিক্সেল রম ব্যবহার করতে পারেন আর ভাবেন না আমার অনেক কাস্টমাইজেশন ওয়ালা রম লাগবে তাহলে আপনি ইবুলেশন এক্স রম ব্যবহার করতে পারেন। আর আপনি কাস্টম রমে গুগলের পরেই লেটেস্ট এন্ড্রয়েড ভারশন পেয়ে যাবেন। আপনি যেই স্টক রম ব্যবহার করেন সেটির মধ্যে দেখা যায় প্রচুর বাগ বিজ্ঞাপন মাঝে মাঝে অনেক ল্যাগ করে এসব সমস্যার সমাধান কাস্টম রম।
দেখা যায় অনেকের মোবাইলের চার্জ বেশিক্ষণ থাকে আবার অনেকের পারফরমেন্স ওতটা ভালো না এই সমস্যা সেই সমস্যা এই সকল সমস্যার একটিই সমধান কাস্টম রম ।
আমি পরিবর্তি পোস্টগুলোতে স্টেপ বাই স্টেপ আপনাদের কাস্টম ইন্সটেল করার নিয়ম বুঝিয়ে দিব।আমি আগে আপনাদের এসব কিছুর কিছুর ব্যাপারে বিস্তারিত ধারণা দিয়ে তারপর ইন্সটেল প্রসেস এর মধ্যে যাবো।আজকের মতো এখানেই বিদায়, নিলাম আর সবার কাছে একটি প্রশ্ন আপনার কাছে কোন রমটি বেশি ভালো লাগে তা কমেন্ট করে অব্যশ জানাবেন।
আল্লাহ হাফেজ।
ইমেইলঃ [email protected]
Facebook: Mohammed Rakib
WhatsApp:01821329737
One UI > Samsung
Oneplus> oxygen os
Aosp somporke bola uchit…
Disadvantage onek ase rom change korar kkhetre ..
আশাকরবো রাকিব ভাই এখানে উত্তর দিবেন।
পোষ্ট টি ভালো ছিল এবং গুরুত্বপূর্ণ ও বটে
যত চালু পারেন নতুন পোস্ট নিয়ে আসেন!?
প্রোবাইট না, প্রোভাইড
ইবুলেশন না, রেভ্যুলেশন।
আমিও কাস্টম রম লাভার, কাজেই একটা লাইক রইলো।
Custom rom er beper e