একটা পুরো প্রজন্ম যোগাযোগের নতুন কোনো মাধ্যম দেখবে না, তা যেন ব্রোগান ব্যামব্রোগান মানতেই পারছেন না। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু পরিবহনব্যবস্থার উন্নয়ন দেখেছি। নতুন কোনো মাধ্যম আবিষ্কার হতে দেখিনি।’ ব্রোগান হাইপারলুপের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও)। প্রায় বায়ুশূন্য টিউবের মধ্য দিয়ে দ্রুতগতির পরিবহন প্রযুক্তির নাম হাইপারলুপ। অনেকটা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির মতো। মানুষ এই টিউবগুলোর মধ্যে রাখা ক্যাপসুল আকৃতির বাহনে গিয়ে বসবে। মালামালও যাবে এতে। প্রায় শব্দের কাছাকাছি গতিতে ক্যাপসুলগুলো টিউবের হালকা বাতাসের চাপের মধ্য দিয়ে এক শহর থেকে অন্য শহরে ‘ভেসে’ যাবে।হাইপারলুপে প্রায় বায়ুশূন্য টিউব এবং তার ভেতরে এমন চৌম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে, যার মাধ্যমে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৭৫০ মাইল গতিতে ক্যাপসুলগুলো চলবে। এদিকে মানুষ যেন অসুস্থ হয়ে না পড়ে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। বায়ুরোধী হওয়ায় পানিতেও চলবে হাইপারলুপ।পরিবহনের নতুন এই প্রযুক্তির ধারণা প্রথম আসে টেসলা এবং স্পেসএক্সের প্রধান এলোন মাস্কের মাথায়। ২০১৩ সালে তা প্রকাশ করলে রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। সানফ্রানসিসকো থেকে ৪০০ মাইল দূরের লস অ্যাঞ্জেলেস যেতে সময় লাগবে মাত্র ৩৫ মিনিট বলে জানিয়েছিলেন। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা, হাইপারলুপ তৈরিতে দরকার প্রচুর অর্থের। ৪০০ মাইল দীর্ঘ এই পথ তৈরিতে খরচ হবে প্রায় ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার! অনেক দেশের পক্ষেই তা শুধু স্বপ্ন।

বর্তমানে দুটি প্রকৌশলী দল হাইপারলুপ নিয়ে পরীক্ষা করে দেখছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় পাঁচ মাইল দীর্ঘ হাইপারলুপ তৈরি হচ্ছে, যেখানে হয়তো আগামী তিন বছরের মধ্যে পরিবহন সম্ভব হবে। এদিকে নেভাডায় সবে কাজ শুরু হয়েছে। শব্দের গতিতে চলার যে স্বপ্ন, তা বাস্তবে রূপ নেবে কি না, তা জানতে আমাদের দেখতে হবে অন্তত আরও একটি দশক।
A Amraito.com Product.

One thought on "আগামী প্রজন্মের জাতায়াত হবে শব্দের গতিতে দেখুন কিভাবে ?"

Leave a Reply