দেশের সকল
সরকারি-বেসরকারি কলেজে একাদশ
শ্রেণিতে (উচ্চ মাধ্যমিক) ভর্তিতে
অনলাইন ও এসএমএসে আবেদন শুরু হচ্ছে
বৃহস্পতিবার। আগামী ৯ জুন রাত ১১টা
৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
অনলাইনে www.xiclassadmission.gov.bd
ওয়েবসাইটে গিয়ে ও টেলিটক
মোবাইলের মাধ্যমে এসএসএসের
মাধ্যমে কলেজে ভর্তিতে আবেদন
করা যাবে। আবেদনে একজন ভর্তিচ্ছু
শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ২০টি কলেজের
পছন্দক্রম দিতে পারবেন।
এসএমএসে আবেদনের ক্ষেত্রে
টেলিটক সিমটি অবশ্যই
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত
হতে হবে বলে এক নির্দেশনায়
জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড
সমন্বয় সাব-কমিটি।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক
শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক
মো. আশফাকুস সালেহীন বলেন,
‘অনলাইন ও এসএমএসে একাদশ
শ্রেণিতে ভর্তির আবেদনের সব
প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আমরা
প্রস্তুত। বৃহস্পতিবার থেকে
শিক্ষার্থীরা ভর্তির আবেদন করতে
পারবে। আশা করি এবার কোনো
সমস্যা হবে না, সবকিছু ঠিকমতো
হবে।’
অনলাইনে ভর্তির বিষয়ে কারিগরি
সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট)
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড
ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।
অনলাইনে সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ/
মাদরাসা/কারিগরি
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদনের জন্য
১৫০ টাকা ও এসএমএসের মাধ্যমে
প্রতি আবেদনের জন্য ১২০ টাকা ফি
দিতে হবে। এসএমএসের মাধ্যমেও
সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করা
যাবে। একজন শিক্ষার্থী দু’মাধ্যমে
২০টি কলেজে আবেদন করতে
পারবেন।
গত বছর প্রথমবারের মতো সব কলেজে
অনলাইনে ভর্তির আবেদন পদ্ধতি চালু
করা হয়। বিড়ম্বনার সে প্রক্রিয়ায়
কয়েক দফায় ভর্তির জন্য মনোনীতদের
তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এবার ভর্তির জন্য মনোনীতদের
তালিকা একবারই প্রকাশ করা হবে
১৬ জুন। ভর্তি ১৮ জুন শুরু হয়ে শেষ হবে
৩০ জুন। এর মধ্যে অপেক্ষামাণ
তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি
করা হবে ২৩ থেকে ৩০ জুন।
বিলম্ব ফি দিয়ে ১০ থেকে ২০ জুলাই
পর্যন্ত ভর্তি হওয়া যাবে। একাদশ
শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে ১০ জুলাই।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-
কমিটি একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি
নিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি
করেছে। সেখানে ভর্তির আবেদনের
বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
অনলাইন বা এসএমএসে কোনো অসত্য
তথ্য দিলে সেই আবেদন ও চূড়ান্ত
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে।
গত ১১ মে এসএসসি ও সমমানের
পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এবার গড়
পাসের হার ৮৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। আট
বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে
পাসের হার ৮৮ দশমিক ৭০ শতাংশ।
এবার মাধ্যমিক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী
ছাড়াও ২০১৪ ও ২০১৫ সালের
পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাও একাদশ
শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবেন।
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি
নীতিমালায় বলা হয়েছে,
বিভাগীয় সদরের কলেজে ভর্তির
ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজের ৮৯
শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
অবশিষ্ট ১১ শতাংশ আসনের মধ্যে ৩
শতাংশ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সদরের
বাইরের এলাকার শিক্ষার্থীদের
জন্য, ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা
এবং ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও
এর অধীনস্ত দফতরের কর্মকর্তা-
কর্মচারী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের
শিক্ষক-কর্মচারী এবং স্ব স্ব
প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্দের
সদস্যদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত
থাকবে।
এ ছাড়া এবার থেকে প্রবাসীদের
সন্তান এবং বিকেএসপির
শিক্ষার্থীর জন্য শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ
করে কোটা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
অনলাইনে আবেদনের পদ্ধতি
অনলাইনে আবেদনের আগে শুধু
টেলিটকের প্রি-পেইড মোবাইল
ব্যবহার করে ১৫০ টাকা আবেদন ফি
জমা দিতে হবে।
এজন্য মোবাইলের মেসেজ অপশনে
গিয়ে CAD লিখে স্পেস দিয়ে WEB
লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নাম
লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে
স্পেস দিয়ে পাসের সাল লিখে
স্পেস দিয়ে রেজিস্ট্রেশন নম্বর
লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
ফিরতি এসএমএসে আবেদনকারীর
নাম, শিক্ষা বোর্ড, পাসের সাল ও
রোল নম্বর জানিয়ে ১৫০ টাকা
আবেদন ফি কেটে নেওয়া হবে,
সঙ্গে একটি পিন নম্বর দেওয়া হবে।
ফি দিতে সম্মত থাকলে মেসেজ
অপশনে গিয়ে CAD লিখে স্পেস
দিয়ে YES লিখে স্পেস দিয়ে পিন
নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে
যোগাযোগের জন্য বায়োমেট্রিক
পদ্ধতিতে নিবন্ধিত একটি মোবাইল
নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে
হবে। ফি জমা হলে প্রার্থীর
মোবাইলে নিশ্চিতকরণ ট্রানজেকশন
আইডিসহ এসএমএস আসবে।
মোবাইলে টাকা জমা দেওয়ার পর
www.xiclassadmission.gov.bd ওয়েবসাইটে
গিয়ে আবেদন করতে হবে।
এসএমএসে আবেদনের পদ্ধতি
শুধু প্রি-পেইড টেলিটক মোবাইল
ব্যবহার করে এসএমএসের মাধ্যমে
কলেজে ভর্তির আবেদন করা যাবে।
আবেদন করতে মোবাইলের মেসেজ
অপশনে গিয়ে CAD লিখে স্পেস
দিয়ে ভর্তিচ্ছু কলেজ বা মাদরাসার
EIIN লিখে স্পেস দিয়ে ভর্তিচ্ছু
গ্রুপের কি-ওয়ার্ডের দুই অক্ষর লিখে
স্পেস দিয়ে পাসের বোর্ডের
দিয়ে এসএসসি বা সমমানের
পরীক্ষা পাসের রোল নম্বর লিখে
স্পেস দিয়ে পাসের সন লিখে স্পেস
দিয়ে রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখে
স্পেস দিয়ে ভর্তিচ্ছু শিফটের
নামের প্রথম অক্ষর (শিফট না থাকলে
N দিতে হবে) লিখে স্পেস দিয়ে
ভার্সনের প্রথম অক্ষর লিখে 16222
নম্বরে পাঠাতে হবে।
কোটার জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে
মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে
CAD লিখে স্পেস দিয়ে ভর্তিচ্ছু
কলেজ বা মাদরাসার EIIN লিখে
স্পেস দিয়ে ভর্তিচ্ছু গ্রুপের নামের
দুই অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে পাসের
বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর
লিখে এসএসসি বা সমমানের
পরীক্ষা পাসের রোল নম্বর লিখে
স্পেস দিয়ে পাসের সন লিখে স্পেস
দিয়ে রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখে
স্পেস দিয়ে ভর্তিচ্ছু শিফটের
নামের প্রথম অক্ষর (শিফট না থাকলে
N দিতে হবে) লিখে স্পেস দিয়ে
ভার্সনের প্রথম লিখে স্পেস দিয়ে
কোটার দুই অক্ষর লিখে 16222 নম্বরে
পাঠাতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে FQ,
শিক্ষা কোটার ক্ষেত্রে EQ, বিশেষ
কোটার ক্ষেত্রে SQ ও প্রবাসীদের
সন্তানদের জন্য কোটা হলে PQ
লিখতে হবে।
সফলভাবে এসএমএস পাঠানো সম্পন্ন
হলে ফিরতি এসএমএসে
আবেদনকারীর নাম, কলেজ বা
মাদরাসার EIIN ও নাম, গ্রুপের নাম
এবং শিফটসহ ফি বাবদ ১২০ টাকা
কেটে নেওয়া হবে। এটা জানিয়ে
একটি পিন কোড দেওয়া হবে।
আবেদনে সম্মত থাকলে মেসেজ অপশন
গিয়ে CAD লিখে স্পেস দিয়ে YES
লিখে স্পেস দিয়ে PIN নম্বর লিখে
মোবাইল নম্বর (নিজের ব্যবহৃত
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত
সিম) লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে
হবে।
একজন আবেদনকারী যতগুলো কলেজে
আবেদন করবে সব কলেজেই তার
মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। সমান
জিপিএ প্রাপ্তদের মোট নম্বরের
ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা
হবে।
এসএমএসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের
ভর্তির ফল জানিয়ে দেওয়ার সঙ্গে
একটি গোপন পিন নম্বর দেওয়া হবে।
কলেজে কর্তৃপক্ষ এই পিন এন্ট্রি করে
শিক্ষার্থীর ভর্তি নিশ্চিত করবে।
কলেজ কর্তৃপক্ষ ভর্তি নিশ্চিত করলে
শিক্ষার্থী মোবাইলে একটি এসএমএস
পাবে।
Thank you Kazi Abdul Wakil