কথায় আছে—পড়ার সময় পড়া আর খেলার সময়
খেলা। এ নিয়ম মানলে শিক্ষার্থীর পরীক্ষার ফল
ভালো হয়। কিন্তু অনলাইন গেমের ক্ষেত্রেও কি
তা-ই? সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার গবেষকেরা বলছেন,
পরিমিত মাত্রায় অনলাইনে গেম খেললে তরুণদের
স্কুলের ফল ভালো হতে পারে। কিন্তু গেম না খেলে
কেউ যদি ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগের
ওয়েবসাইট ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, এর ফল
কিন্তু উল্টোটিও হয়।
অস্ট্রেলিয়ার গবেষকেরা ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী
শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রোগ্রাম ফর ইন্টারন্যাশনাল
স্টুডেন্ট অ্যাসেসমেন্ট (পিসা) পরীক্ষা চালান।
ইন্টারনেটের ব্যবহার ও তার ফলে পরীক্ষার
ফলাফলের প্রভাব বুঝতে এ গবেষণা চালানো হয়।
গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশ করেছে
আন্তর্জাতিক সাময়িকী ‘কমিউনিকেশন’।
গবেষণাসংক্রান্ত ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে, যেসব
শিক্ষার্থী ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগের
নেটওয়ার্ক নিয়মিত ব্যবহার করে তারা, যারা এসব
সাইট ব্যবহার করে না, তাদের তুলনায় গণিত,
করে। কিন্তু যাঁরা ফেসবুক চালানো বাদ দিয়ে
অনলাইনে শুধু ভিডিও গেম খেলে তারা পিসা টেস্টে
বেশি ভালো করেছে।
গবেষণা নিবন্ধের লেখক আলবার্তো পোসো
মঙ্গলবার তাঁর গবেষণা সম্পর্কে বলেন, যারা
অনলাইনে প্রতিদিন গেম খেলে, তারা গণিতে ১৫ ও
বিজ্ঞানে ১৭ পয়েন্ট বেশি পেয়েছে। কারণ, যখন গেম
খেলা হয়, তখন বেশ কিছু ধাঁধা সমাধান করে পরবর্তী
স্তরে যেতে হয় গেমারকে, যা তার গণিত, বিজ্ঞান ও
পাঠ্যের ওপর সাধারণ জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়িতে
তোলে।
২০১২ সাল থেকে ১২ হাজার শিক্ষার্থীর পিসা
র্যাঙ্কিং নিয়ে এ গবেষণা চালানো হয়।
গবেষক পোসো বলেন, যারা সামাজিক
যোগাযোগের সাইটে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, তারা শুধু
পড়াশোনার সময়ই নষ্ট করে না, তারা বিভিন্ন
বিষয় নিয়ে ধুঁকতে থাকে। এসব পড়ার চেয়ে তারা
সামাজিক যোগাযোগের সাইটেই বেশি সময় দিতে
ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
অস্ট্রেলিয়ায় তরুণদের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের
হার ৯৭ শতাংশ। এর মধ্যে ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী
ছেলেমেয়েরা নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
গবেষণায় যাদের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে, তাদের
সাইট ব্যবহার করে।
রয়্যাল মেলবোর্ন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির
গবেষক পোসো বলেন, ইন্টারনেটের ব্যবহার খারাপ
কিছু নয়। সহিংস ভিডিও গেম না হলে, পাঠ্যসূচিতে
জনপ্রিয় ভিডিও গেম যুক্ত করা যায় কি না,
শিক্ষকেরা ভেবে দেখতে পারেন।
গবেষক পোসো বলেন, দৈনিক দীর্ঘ সময় ধরে
ফেসবুক বা অনলাইন চ্যাটিং যেমন পরীক্ষার খারাপ
ফলের জন্য দায়ী, তেমনি রোজ রোজ স্কুল
পালানোও কিন্তু ভালো নয়। এ বিষয়গুলোও নজরে
রাখতে হবে। ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।
আমার সাইট এ ভিসিট করুন
kew ki S
banan..Ami valo post korte parbo..