প্রযুক্তির এই যুগে আগের টেলিফোনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবার হাতেই উঠে এসেছে মুঠোফোন। নেহাত ব্যক্তিগত যোগাযোগ রক্ষা করা ছাড়াও কর্মক্ষেত্রে প্রয়োজন মেটাতে বিভিন্ন সময়ে আমরা যোগাযোগ করার জন্য ফোনের সাহায্য নিয়ে থাকি। পরিচিত কারো সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় স্বাভাবিকভাবে অনেক বিষয়ে সতর্ক না হয়ে আলাপ চালাতে পারলেও পেশাগত প্রয়োজনে কারো সঙ্গে কথা বলার সময় আমাদের খেয়াল রাখতে হয় আমাদের কথা বলার ধরনের ওপর। ফোনালাপের ভাষা যখন হয়, ইংরেজি তখনই দেখা দেয় নানা সমস্যা। ইংরেজি আমাদের মাতৃভাষা নয়, কাজেই এই ভাষায় সাবলীলতা আনার জন্য প্রয়োজন অনেক চর্চার ও সময়ের। টেলিফোনে ইংরেজিতে গুছিয়ে কথা বলার সময় অনেকেই ঠিকমতো মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেন না বা অন্য পাশের বক্তার প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়ে যান। আজকের আয়োজনে আমরা জেনে নেব এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইংরেজি ফ্রেজ বা শব্দবন্ধ সম্পর্কে, যা আপনাকে সাহায্য করবে ইংরেজিতে টেলিফোনে কথা বলার সময় সাবলীলতা আনতে।

১) I would like to speak to (আই উড লাইক টু স্পিক টু) :
ধরুন, আপনি কোনো পেশাগত কাজে কাউকে টেলিফোন করেছেন। যেহেতু কলটি ফর্মাল, তাই আপনার কাছ থেকে অপর পাশের মানুষটি পেশাদার আচরণ আশা করবেন। হুট করেই কাকে চাচ্ছেন সেই কথা না তুলে হ্যালো বলার পরে নিজের সংক্ষেপে পরিচয় দিন। তারপর যাকে চাচ্ছেন তাকে ডেকে দিতে অনুরোধ করুন অনেকটা এভাবে,

‘I would like to speak to Mr. Rahim.’ (আই উড লাইক টু স্পিক টু মিস্টার রহিম) অর্থাৎ, ‘আমি জনাব রহিমের সঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছি।’

‘I would like to speak to the manager of this company.’ (আই উড লাইক টু স্পিক টু দ্য ম্যানেজার অব দিস কোম্পানি।) অর্থাৎ, ‘আমি কোম্পানির ব্যবস্থাপকের সঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছি।’

২) I’m calling from (আই অ্যাম কলিং ফ্রম) :

আপনি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কথা বলছেন তাও যোগ করুন এভাবে,

‘I am calling from John Enterprise Company.’ (আই অ্যাম কলিং ফ্রম জন এন্টারপ্রাইজ কোম্পানি) অর্থাৎ, ‘আমি জন এন্টারপ্রাইজ কোম্পানির থেকে কথা বলছি।’

ফোন কলটি যদি ব্যক্তিগত কারণে করে থাকেন, তাহলেও নিজের অবস্থান উল্লেখ করুন অনেকটা এভাবে,
‘I am calling from Dhaka.’ (আই অ্যাম কলিং ফ্রম ঢাকা।) অর্থাৎ, ‘আমি ঢাকা থেকে বলছি।’

৩) I’m calling on behalf of (আই এম কলিং অন বিহাফ অব) :

অনেক সময় আপনার বস, সহকর্মী, বন্ধু বা পরিবারের কারো পক্ষ থেকেও আপনার কাউকে ফোন করার প্রয়োজন পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রথমেই জানিয়ে দিন আপনি কার হয়ে কথা বলছেন এভাবে,

‘I am calling on behalf of Mr John.’ (আই অ্যাম কলিং অন বিহাফ অব মিস্টার জন।) অর্থাৎ, ‘আমি জনাব জনের পক্ষ থেকে কথা বলছি।’

উল্লেখ্য, ‘Behalf’ শব্দটির বানানে ‘L’ থাকলেও উচ্চারণের সময় তা উহ্য থেকে শব্দটি ‘বিহাফ’ উচ্চারিত হয়।

৪) How can I help you? (হাউ ক্যান আই হেল্প ইউ?) :

একইভাবে আপনি যখন শ্রোতার ভূমিকায় অর্থাৎ কলটি অন্য কেউ করেছেন, তখন তাঁর কল রিসিভ করে নিজের পরিচয় দেওয়ার পর তিনি কী প্রয়োজনে কল করেছেন তা জানতে তাঁকে প্রশ্ন করুন, ‘How can I help you?’ অর্থাৎ, ‘আমি কীভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?’

৫) May I know where are you calling from? (মে আই নো ’ওয়ার আর ইউ কলিং ফ্রম?)

কলদাতার অবস্থান সম্পর্কে জানতে তাঁকে প্রশ্ন করুন, ‘May I know where are you calling from?’ অর্থাৎ, ‘আমি কি জানতে পারি আপনি কোথা থেকে বলছেন?’

৬) Just a moment please. (জাস্ট আ মোমেন্ট প্লিজ) :

অনেক সময়েই টেলিফোনের অন্যপাশের মানুষটিকে আমরা ‘Hold’ (হোল্ড) করতে বলি যার অর্থ আপনি খানিকটা সময় চাচ্ছেন। এমন অবস্থায় সরাসরি ‘Hold on!’ (হোল্ড অন) বা ‘Hang up!’ (হ্যাং আপ) বলাটা ব্যক্তিগত আলাপে মেনে নেওয়া গেলেও কর্মক্ষেত্রে অশোভন। এসবের বদলে বরং বলুন,

‘Just a moment please.’ (জাস্ট এ মোমেন্ট প্লিজ) অর্থাৎ, ‘কিছুক্ষণের জন্য দয়া করে অপেক্ষা করুন।’

৭) Could you hold on please? (ক্যুড ইউ হোল্ড অন প্লিজ?)

এই ফ্রেজটিও কথা বলায় বিরতি নেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। হয়তো কেউ আপনার কাছে এমন কোনো তথ্য জানতে চাইল, যা খুঁজে বের করতে আপনার কিছুক্ষণ সময় প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে বলুন, ‘Could you hold on please?’ (ক্যুড ইউ হোল্ড অন প্লিজ?) অর্থাৎ, ‘আপনি কি দয়া করে কিছুক্ষণের জন্য অপেক্ষা করবেন?’

৮) May I put you on hold? (মে আই পুট ইউ অন হোল্ড?)

সরাসরি কাউকে অপেক্ষা করার জন্য না বলে তাঁর অনুমতি নিয়ে তাঁকে অপেক্ষায় রাখাটা কর্মক্ষেত্রে বেশ শোভনীয় আচরণ হিসেবে দেখা হয়। এসব ক্ষেত্রে মিষ্টি করে হেসে বলুন,

‘May I put you on hold?’ (মে আই পুট ইউ অন হোল্ড?) অর্থাৎ, ‘আপনি অনুমতি দিলে, আমি কি আপনাকে কিছুক্ষণের জন্য হোল্ডে রাখতে পারি?’

৯) Hold on! (হোল্ড অন) :

ব্যক্তিগত আলাপে এত বেশি ফর্মালিটির প্রয়োজন হয় না। কথা বলার মাঝে বিরতির প্রয়োজন হলে আপনি সরাসরিই তাই বলতে পারেন, ‘Hold on!’ (হোল্ড অন) বা ‘অপেক্ষা করুন’।

১০) Hang on! (হ্যাং অন) :

ব্যক্তিগত ফোনালাপে আপনি ‘Hold on!’-এর পরিবর্তে ‘Hang On!’ বাক্যটিও ব্যবহার করতে পারেন। এটি বেশি ইনফর্মাল। কাছের বন্ধুর সঙ্গে আড্ডার সময়ে বা পরিবারের মানুষদের সঙ্গে ফোনে কোথা বলার সময়ে বিরতির প্রয়োজন হলে বলুন,
‘Hang on! I will be right back.’ (হ্যাং অন! আই উইল বি রাইট ব্যাক) অর্থাৎ, ‘একটু অপেক্ষা কর। আমি এক্ষুনি ফেরত আসছি।’

১১) I’m afraid he is not in office. (আই অ্যাম আফ্রেইড হি ইজ নট ইন অফিস) :

কর্মক্ষেত্রে টেলিফোনে সরাসরি নেতিবাচক কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। কলদাতা যদি এমন কাউকে চেয়ে থাকেন যিনি যেকোনো কারণে ব্যস্ত বা এই মুহূর্তে কলটি ধরতে বা অ্যাপেন্ড (attend) করতে পারছেন না তবে তা সরাসরি না বলে কথাটি ঘুরিয়ে বলুন, ‘I am afraid he is not in the office.’ (আই অ্যাম আফ্রেইড হি ইজ নট ইন অফিস) অর্থাৎ, ‘আমি আশঙ্কা করছি তিনি এই মুহূর্তে অফিসে নেই।’

১২) I’m sorry she is in a meeting right now. (আই অ্যাম স্যরি শি ইজ ইন আ মিটিং রাইট নাউ) :

একইভাবে কলদাতা যদি এমন কাউকে চেয়ে বসেন, যিনি এই মুহূর্তে মিটিংয়ে আছেন তবে বলুন,  ‘I am sorry she is in a meeting right now’ (আই অ্যাম স্যরি শি ইজ ইন আ মিটিং রাইট নাউ) অর্থাৎ, ‘দুঃখিত। তিনি এখন একটি মিটিংয়ে আছেন।’
যার অর্থ, এই মুহূর্তে তিনি কলটি ধরতে পারছেন না।

১৩) I am afraid you have got the wrong number (আই অ্যাম আফ্রেইড ইউ হ্যাভ গট দ্য রং নাম্বার)

একইভাবে কেউ যদি ভুল করে আপনার নম্বরে কল দিয়ে ফেলে তবে তার ওপর চড়াও না হয়ে ভদ্রতার সঙ্গে বলুন, ‘I am afraid you have got the wrong number.’ (আই অ্যাম আফ্রেইড ইউ হ্যাভ গট দ্য রং নাম্বার) অর্থাৎ, ‘আপনি ভুল নম্বরে কল করেছেন।’

১৪) Your voice is cracking/jarring. (ইওর ভয়েস ইজ ক্র্যাকিং/জ্যারিং) :

টেলিফোনে লাইনে নানা কারণে সমস্যা দিতেই পারে যার ফলে আপনি হয়তো অপর পাশের মানুষটির কথা পরিষ্কারভাবে নাও বুঝতে পারেন। এ ক্ষেত্রে বারবার “Hello! Hello! I cannot hear you!” (হ্যালো! হ্যালো! আই ক্যান নট হেয়ার ইউ!) অর্থাৎ, ‘আমি আপনাকে শুনতে পাচ্ছি না। বলে না চেঁচিয়ে বলুন, ‘Your voice is cracking/jarring’ অর্থাৎ ‘আপনার কথা ভেঙে ভেঙে বা অস্পষ্ট আসছে।’

১৫) The line is very bad. Could you please repeat? (দ্য লাইন ইজ ভেরি ব্যাড। ক্যুড ইউ প্লিজ রিপিট?) :

টেলিফোন লাইন ভীষণ খারাপ এবং কলদাতাকে পুনরায় আগের বলা কথাটি বলতে অনুরোধ করুন এভাবে, ‘The line is very bad. Could you please repeat?’ অর্থাৎ, ‘টেলিফোন সংযোগে সমস্যা করছে। আপনি কি দয়া করে কথাটি পুনরায় বলবেন?’

১৬) I’m afraid I cannot hear you. (আই অ্যাম অ্যাফ্রেইড আই ক্যাননট হেয়ার ইউ।) :

যখন টেলিফোন লাইনের অবস্থা এত বেশি খারাপ যে আপনি কোনো কথাই বুঝতে পারছেন না এমন ক্ষেত্রে কলদাতাকে আবার কল দিতে বলুন,

“I’m afraid I cannot hear you. Could you call us back, please?” (আই অ্যাম অ্যাফ্রেইড আই ক্যাননট হে’য়ার ইউ। ক্যুড ইউ প্লিজ কল ব্যাক?) অর্থাৎ, ‘আমি আপনার কথা শুনতে পাচ্ছি না। দয়া করে আপনি আরেকবার কল দেবেন কি?’

১৭) Would you like to leave a message? (উড ইউ লাইক টু লিভ মেসেজ?) :

মনে রাখুন, কলদাতা যদি এমন কাউকে চান যে এই মুহূর্তে কলটি এটেন্ড করতে পারছেন না তবে তাঁর কাছ থেকে জেনে নিন তিনি সে ব্যক্তির জন্য কোনো মেসেজ দিতে চান কি না এভাবে, ‘Would you like to leave a message?’ অর্থাৎ, ‘আপনি কি কোনো মেসেজ বা তথ্য দিতে চান?’

১৮) Can I pen down a message? (ক্যান আই পেন ডাউন এ মেসেজ?) :

এটিও কলদাতা কোন মেসেজ দিতে চান কি না তা জানার জন্য করা একটি প্রশ্ন। কলদাতাকে জিজ্ঞেস করুন, ‘Can I pen down a message for you?’ (ক্যান আই পেন ডাউন এ মেসেজ?) অর্থাৎ, ‘আপনার তরফ থেকে আমি কি কোনো মেসেজ বা তথ্য লিখে নিতে পারি?’

১৯) Can I leave a message? (ক্যান আই লিভ এ মেসেজ?) :
কলদাতা যখন আপনি এবং আপনি যাকে চাইছেন তিনি যদি সেই মুহূর্তে ফোন কলটি এটেন্ড না করতে পারেন তবে যিনি কলটি রিসিভ করেন তিনি যদি আপনি কোনো মেসেজ দিতে চান কি না তা জিজ্ঞেস না করে থাকেন তবে তাঁকে ভদ্রভাবে অনুরোধ করুন এভাবে,  ‘Can I leave a message for him?” অর্থাৎ, ‘আমি কি আপনার কাছে তার জন্য একটি মেসেজ বা তথ্য দিতে পারি?’

২০) I would like to leave a message. (আই উড লাইক টু লিভ এ মেসেজ।) :

কল যিনি ধরেছেন, তিনি যদি আপনাকে প্রশ্ন করে থাকেন যে আপনি কোনো মেসেজ দিতে চান কি না তবে জবাবে বলুন, ‘Yes, I would like to leave a message.’ (ইয়েস। আই উড লাইক টু লিভ এ মেসেজ।) অর্থাৎ, ‘জ্বি। আমি একটি মেসেজ বা তথ্য দিয়ে রাখতে চাই।’

আপনি মেসেজ করবেন কি করবেন না তা একান্তই আপনার নিজস্ব মতামত। মেসেজ দিতে না চাইলে প্রশ্নের জবাবে বলুন, ‘No, thank you. I don’t want to leave a message.’ ‘নো, থ্যাংক ইউ। আই ডোন্ট ওয়ান্ট টু লিভ এ মেসেজ’ অর্থাৎ, ‘না, ধন্যবাদ। আমি কোনো মেসেজ দিতে চাই না।’

টেলিফোনে কথা বলার সময় যেহেতু অপর পাশের মানুষটি আপনাকে দেখতে পান না তাই শুধুমাত্র আপনার কথা বলার ধরন ও আচরণ দেখেই তিনি আপনার সম্পর্কে একটি ধারণা তৈরি করে নেন। কাজেই কথা বলার সময় এই ব্যাপারটি মাথায় রেখে শব্দচয়নে সতর্ক হোন এবং কোনোভাবেই কলদাতা বা কলগ্রহীতা আপনার সম্পর্কে যেন কোনো নেতিবাচক ধারণা না পান সেদিকে লক্ষ রাখুন।

4 thoughts on "পোস্টটি ইংরেজীতে ফোনালাপে সহায়তা করবে আপনাকে কিভাবে জানেন???"

  1. Risfat Contributor says:
    Helpful post.
  2. Hridoy-khan-1 Contributor says:
    Nice post…!!! keep it up!
  3. Mizan khan Contributor says:
    facebook.com/mizan8904

Leave a Reply