পৃথিবীর বুকের যেসব জিনিসগুলি মানুষকে প্রচন্ডরকম ভাবায়, তাঁর মধ্যেসম্ভবত সর্বাগ্রে রয়েছে মিশরের ইয়া উঁচু উঁচু পিরামিডগুলি। এই সুপ্রাচীন শ’ দেড়েক স্তম্ভগুলির সবচেয়ে নতুনটিও খ্রিষ্টের জন্মের অন্তত সাতশ বছর আগেতৈরি, সবচে প্রাচীনগুলি আজ থেকে মোটামুটি চার হাজার ছয়শ বছরের প্রাচীন।সহসাই প্রশ্ন জাগে, এই বিশাল মাপের স্ট্রাকচারগুলি সেই সময়ের বিদ্যায়কিভাবে তৈরি করা সম্ভব হয়েছিল? কারণ আড়াই টনের এক একটা ব্লক সারি সারি জোড়ালাগিয়ে তৈরি এক একটা পিরামিড।পৃথিবীর বুকের যেসব জিনিসগুলি মানুষকে প্রচন্ডরকম ভাবায়, তাঁর মধ্যে সম্ভবত সর্বাগ্রে রয়েছে মিশরের ইয়া উঁচু উঁচু পিরামিডগুলি। এই সুপ্রাচীন শ’ দেড়েক স্তম্ভগুলির সবচেয়ে নতুনটিও খ্রিষ্টের জন্মের অন্তত সাতশ বছর আগে তৈরি, সবচে প্রাচীনগুলি আজ থেকে মোটামুটি চার হাজার ছয়শ বছরের প্রাচীন। সহসাই প্রশ্ন জাগে, এই বিশাল মাপের স্ট্রাকচারগুলি সেই সময়ের বিদ্যায় কিভাবে তৈরি করা সম্ভব হয়েছিল? কারণ আড়াই টনের এক একটা ব্লক সারি সারি জোড়া লাগিয়ে তৈরি এক একটা পিরামিড।
পিরামিড নিয়ে আমাদের সবচেয়ে রহস্য ঘেরে প্রশ্নগুলির একটি হল কিভাবে এত ভারি ব্লকগুলি কনস্ট্রাকশন সাইটে আনা হয়েছিল। বহু যুগ ধরে মানুষ এ নিয়ে ভেবে আসছে, আর গুজববাদীরা এর সাথে এলিয়েনের যোগসাজসের গন্ধ মিশিয়ে মুখরোচক গল্প ছড়িয়েছেন দুনিয়া জুড়ে, অথচ খুব সিম্পল একটা ফিজিক্সকে কাজে লাগিয়ে এই অসাধারণ কীর্তি গড়ে তোলা হয়েছে, সেটা আজ বিজ্ঞানীরা উন্মোচন করে ফেলেছেন …এ সপ্তাহে পদার্থবিজ্ঞানের বিখ্যাত জার্নাল Physical Review Letters এ ইউনিভার্সিটি অফ আমস্টারডাম এর গবেষকদের প্রকাশিতএক গবেষণায় তারা দাবি করেছেন, প্রাচীন মিশরীয়দের এ সাফল্যের মূলে ছিল বালির ঘর্ষণ হ্রাস করার এক অভিনব পদ্ধতি। ঘর্ষণ হল এক প্রকার বল যা যে কোন বস্তুর গতির বিপক্ষে কাজ করে। অর্থাৎ বস্তুর গতিকে বাঁধা দিয়ে এর চলাচলকে কঠিনকরে দেয়াই ঘর্ষণের কাজ। (যদিও এই অপকর্মকারী ঘর্ষণ জিনিসটা না থাকলে দৈনন্দিন জীবনে আমাদের অসুবিধার লিস্টি অনেক বেশি বাড় বৈকমত না :P)। যাহোক মিশরীয়রা সেই সাড়ে চার হাজার বছর আগে থেকেই ঘর্ষণ কমানোর আশ্চর্য এক পন্থা আবিষ্কার করে ফেলেছিল।বিজ্ঞানীদের এটা অনেক আগে থেকেই মোটামুটি নিশ্চিতভাবে জানা ছিল যে, সেই সময় কাঠের তৈরি স্লেজ গাড়িতে করে এই ব্লকগুলি আনা হত, কিন্তু এত বড় ব্লকগুলি কিভাবে বালির রাস্তায় টেনে আনা হত সেই রহস্য ছিল অমিমাংসিত। কারণ বালির রাস্তায় এত ভারি জিনিস বহন করা স্লেজের সাথে যে পরিমাণ ঘর্ষণ হয় তা অতিক্রম করে টেনে নেয়া মানুষেরসাধ্যের অতীত প্রায়। কিন্তু যদি এই ঘর্ষণের পরিমাণ কমানো যায়?? ঘর্ষণ আসলে পরস্পর স্পর্শে থাকা তলদুটির আণবিক গঠনের সাথে সম্পর্কযুক্ত। মিশরীয়রা সেইখানেই হাত দিয়েছিল। তারা বালির সাথে উপযুক্ত পরিমাণ পানি মিশিয়ে এক মিশ্রণের ফর্মুলা আবিষ্কার করেছিল। এই ফর্মুলায় আসলে বালির রন্ধ্রে রন্ধ্রে পানি ঢুকে কৈশিক ব্রিজ স্থাপন করে বালিকে আঠালো করে, সাথে ঘর্ষণ কমে যায়। University Of Amsterdam এর বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, এই ফর্মুলা আশ্চর্যরকম কার্যকারি!! সত্যি বলতে, এই ফর্মুলায় বালির রাস্তার ঘর্ষণ পঞ্চাশ ভাগে নেমে আসে! অর্থাৎ খাটনিও হয়ে যায় অর্ধেক !!
ফেসবুকে আমিঃ মিঃ ফাহিম ভাইয়া
2 thoughts on "নতুন গবেষণায় উন্মোচিত হলপিরামিড তৈরির এক রহস্য!!"