Learn কথাটার অর্থ হচ্ছে শিখা । মানে যেকোন কিছু শেখা । সেটা হতে পারে একাডেমিক অথবা মুক্তভাবে । “হতে পারে কোন শিক্ষকের কাছ থেকে অথবা নিজে নিজে “। এই কথাটায় একটু প্যাঁচ রয়েছে । কোন শিক্ষক কিন্তু আপনাকে গিলিয়ে দিতে পারবে না, আপনার নিজ চেস্টাতেই কিন্তু শিখতে হবে । ব্যাপারটা এরকম আপনি যদি আপনার শিক্ষককে বলেন যে আমি শিখবনা,আপনি আমাকে শিখাতে পারবেন ? শিক্ষকের উত্তর হবে না ।

 

আবার আপনি কিন্তু নিজে নিজেও কোন কিছু শিখতে পারবেন না । আমাকে গালি দেওয়ার আগে একটা কথা চিন্তা করুন । আপনি নিজে নিজে কিভাবে শিখবেন, হয়ত বইয়ের দোকান থেকে বই কিনে নয়ত ইন্টারনেট থেকে । এখন কথা হচ্ছে বইগুলো অথবা ইন্টারনেটে রাখা কন্টেন্টগুলো কি আকাশ থেকে পড়ল? এগুলো কিন্তু মোটেও আকাশ থেকে পড়েনি । বইগুলো লিখেছেন কোন এক লেখক আর ইন্টারনেটের কনটেন্টগুলোও কোন এক ভদ্রলোক লিখেছেন বা তৈরি করেছেন এক্ষেত্রে বইয়ের লেখক আর ইন্টারনেটের ভদ্রলোকগণ হচ্ছে আপনার শিক্ষক । তার মানে আপনি কোন এক শিক্ষকের কাছ থেকে শিখলেন ।

 

আবার মনে করুন আপনি একটা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে নিজে নিজেই শিখে ফেললেন কোনটা কিভাবে কাজ করে । সেক্ষেত্রেও ঐ ডিভাইস যিনি তৈরি করেছেন তার অনেকটা অবদান রয়েছে । কারণ তিনি যদি ডিভাইসটা তৈরিই না করতেন তাহলে আপনি পর্যবেক্ষণ করার সুযোগটাই কিন্তু পেতেন না । চিন্তা করুন আপনি যদি জন্মের পর থেকেই একটা ঘরে আবদ্ধ থাকেন তাহলে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আপনি কোন শিখতে পারবেন কি? পারবেন না । পুরো কথাটার মূলকথা হচ্ছে এটা আপনি কোন এক শিক্ষকের কাছ থেকে নিজে নিজে শিখলেন । উপরের কথাগুলো প্রয়োজনীয় নাও হতে পারে কিন্তু অযৌক্তিক নয় ।

 

কি শিখব ?

আপনার যেটা ভালো লাগে সেটা শিখবেন । এবং অবশ্যই কোন কিছু শেখার ক্ষেত্রে আপনার ভালোলাগাটার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিবেন । মনে করুন আপনার কম্পিউটার সায়েন্স ভালো লাগে, এখন আপনাকে জোর করে সমাজবিজ্ঞানে পড়তে দেওয়া হলো । আপনি পড়তে পারবেন ঠিকই কিন্তু ততটা ইন্টারেস্ট পাবেন না, যতটা কম্পিউটার সায়েন্সে পেতেন । কোন বিষয়টা আপনার ভালো লাগে সেটা যদি পছন্দ না করতে পারেন তাহলে কি করবেন? সবকিছু শেখা শুরু দিন মানে যেগুলো শেখার সুযোগ আপনার আছে, তারপর আস্তে আস্তে দেখবেন কোন একটা বিষয়ের প্রতি আপনার ভালোলাগা জন্মে গেছে । তখন আপনি ঐ বিষয়টার আদিঅন্ত শিখতে শুরু করে দিন । এমনভাবে শিখুন যাতে বিষয়টার শেষ দেখতে পারেন । হোক সে বিষয়টা মেশিন লার্নিং অথবা ডিজাইনিং ভালোভাবে যদি শিখতে পারেন দেখবেন সফলতা এমনি এমনিই আসবে ।

 

কোথা থেকে শিখব ?

বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র । অন্ত্যত রবীন্দ্রনাথের এই কথাটাকে মনের ভিতর গেঁথে ফেলুন । সারা পৃথিবীটাই হলো আপনার শিক্ষাক্ষেত্র । শিখতে কোন লজ্জা নেই । আমার একজন শিক্ষক আমাকে প্রায়ই বলত ক্লাসরুমে যদি একটি কলাগাছও তুমাকে শিখাতে আসে তবুও সে তুমার শিক্ষক এবং তাকে তুমার যথেষ্ট সম্মান করতে হবে । সবার কাছ থেকেই শিখার রয়েছে । আর ইন্তারনেটের এই যুগে আপনি যদি জিজ্ঞাস করেন যে কোত্থেকে শিখব তাহলে কথাটা একমত বোকার মত হয়ে যায় । কারণ এই মুহুর্তে যেকোন শিখার জন্য ইন্টারনেটের চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে না । Google হচ্ছে এমন একজন শিক্ষক যার কাছে আপনি যেকোন প্রশ্নই করুন না কেন সে কিন্তু ঠিকই আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিবে । আইমিন যেকোন কিছুর উত্তর আপনি গুগলের কাছ থেকে পাবেন । ইন্টারনেট ব্যাবহার করে কিভাবে সহজেই নিজের পছন্দের বিষয়গুলো শিখে নিবেন জানতে চাইলে এই পোস্টটি পড়তে পারেন ।

 

কাজ করার জন্য আগে ভালোভাবে শিখতে হবে …

কোন কাজ করার আগে আপনি যদি সেই কাজটা ভালোভাবে শিখে নেন তাহলে আপনি অবশ্যই সফলতা পাবেন । আপনি ফ্রিল্যান্সিং করুন আর ট্রিকবডিতে কোন একটা বিষয়ে পোস্ট করুন না কেন আগে আপনাকে ঐ বিষয়টা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে । আর কোন ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে সবাইকে চুকিয়ে যদি আপনি কাজটা পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই সে কাজটা সম্পর্কে ভালোভাবে জানা থাকতে হবে । । ইভেন যেকোন কাজ আপনার যদি শিখাই না থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই ঐ কাজটা পারবেন না । এটাতো একটা সহজ সমীকরণ, সবারই বোঝার কথা । কিন্তু তারপরও আমরা বাঙালিরা বোকার মতো কাজ করি । ফেসবুকের অনেক গ্রুপেই আমি অনেককেই পোস্ট করতে দেখেছি যে, “আমি এই কাজটা পেয়েছি কিন্তু এখানে এসে আটকে গেছি সবাই একটু হেল্প করুন প্লিজ“ । কাজটা পাওয়ার আগে যদি এসব পোস্টগুলো করে ভালোভাবে কাজটা সম্পর্কে শিখে নিতেন তাহলে এমনটা কখনই হতো না । তাই একমত রিকুয়েস্ট করেই বলছি ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে যাওয়ার আগে কোন একটা কাজ ভালোভাবে শিখে নিন । যাতে কাজটা পাওয়ার পর ফেসবুকে এই ধরণের পোস্ট আপনাকেও না করতে হয় ।

স্রেফ চিন্তা করুন, বাংলাদেশে একটা ভালো জব পেতে হলে এইচএসসি পাশ করা তো অবশ্যই লাগবে, এর উপরে নাই ধরলাম । এইচএসসি পর্যন্ত পরতেই আপনাকে ১২ টা বছর পড়াশুনা করতে হচ্ছে । তারপরেও বর্তমান বাজারে একটা সাধারণ চাকরি পেতে কি পরিমাণ কস্ট করতে হয় তা হয়ত আপনি জেনে থাকবেন । এখন ধরুন, আপনি ওয়েব ডিজাইনের উপর ফ্রীল্যান্সিং করতে চাচ্ছেন, আবার মাসে ৫০ হাজার টাকাও ইনাকাম করতে চাচ্ছেন । তাই তড়িগড়ি করে ১ মাসের মধ্যেই HTML, CSS এবং একটু জাভাস্ক্রিপ্ট শিখে কাজ করার জন্য নেমে পরলেন । দেখুন, যেখানে একটি সাধারণ চাকরির জন্য আপনাকে নূন্যতম ১২ বছর পড়তে হচ্ছে সেখানে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করার জন্য ১ মাস সময়কে কিভাবে যথেস্ট মনে করেন ?? আপনি অন্তত ১ বছর সময় নেন । তাও সম্ভব না হলে একটু বেশি পরিশ্রম করে ৬ মাস সময় দিন শেখার পেছনে । মার্কেটপ্লেসগুলোতে যেধরণের কাজ পাওয়া যায় সেগুলো নিজে নিজে করার চেস্টা করুন । একসময় দেখবেন আপনি ঐ সেক্টরের যেকোন কাজ সহজেই পারছেন । তারপর মার্কেটপ্লেসগুলোতে অ্যাকাউন্ট করুন । যখন সফলভাবে কাজ করে প্রজেক্ট জমা দিয়ে টাকার মুখটা দেখবেন, তখন নিজের কাছেই মনে হবে যে ঐ ১ বছর সময় বেশি কিছু না ।

 

So Take First Attempt in Learning. যখন আপনি “L” টাকে নিজের ভেতরে নিয়ে নিবেন তখন শুধু “earning” টাই বাকি থাকবে…। শুভকামনা রইল । সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন ।

 

-আল্লাহ হাফেজ-

10 thoughts on "আগে শিখুন তারপর কাজ করুন….. ।। (First Attemt in Learning)"

  1. zX Author says:
    ভালো
    1. Ràkíb Expert Contributor Post Creator says:
      Thanks
  2. SmSojib Contributor says:
    Nice Post
    1. Ràkíb Expert Contributor Post Creator says:
      Thanks…
    1. Ràkíb Expert Contributor Post Creator says:
      thanks……..
  3. Forhad Rahman Author says:
    শেষের কথাগুলো ভালো ছিল। অসাধারণ!
    1. Ràkíb Expert Contributor Post Creator says:
      ধন্যবাদ 🙂
    2. Forhad Rahman Author says:
      স্বাগতম
  4. Fahim Author says:
    Vaijan Post ta etoi valo lagse je comment korar jonno pass search kore tarpor login korte hoilo. onekdin dhore trickbd te ashlam.
    jaihouk, shobkichu ager motoi ache. puran amoler kotha mone poira gelo.

Leave a Reply