বঙ্গবন্ধুর সাফল্য গাঁথা
———————————
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। হাজার বছরের
শ্রেষ্ঠ বাঙালি। বাংলাদেশ নামে এই
মানচিত্রের স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বপ্নের রূপকার। এই
একটি সাফল্যই যথেষ্ট বঙ্গবন্ধুর অমরত্বের
জন্য। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কেবল জাতির জনক
ছিলেন না। এই রাষ্ট্র বির্নিমানে ধাপে
ধাপে রয়েছে তার বিচক্ষনতা, প্রজ্ঞা ও
মেধা। বঙ্গবন্ধুর সাফল্য গাঁথা লিখে শেষ
করবার মতো নয়। তারপরও তার উল্লেখযোগ্য
কিছু সাফল্যের শিরোনাম এখানে উল্লেখ
করা হলো-
● অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির পুরোধা পুরুষ
ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৫৫ সালের ২১ অক্টোবর
আওয়ামলী মুসলীম লীগ থেকে তিনি মুসলিম
শব্দ বাদ দিয়ে অসাম্প্রদায়িক ‘আওয়ামী
লীগ’ নামকরণ করেন।
● বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফার প্রণেতা
এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবজ্ঞা
পুরুষ।
● মুক্তিযুদ্ধের সফল রূপকার। তাঁর ৭ই মার্চের
ভাষনই ছিলো গেরিলা যুদ্ধের কৌশল।
● একটি দেশ স্বাধীন হবার মাত্র ৫০ দিনের
মাথায় সে দেশ থেকে বিদেশী সৈন্য
প্রত্যাহার ছিলো একটি বিস্ময়কর ঘটনা।
বঙ্গবন্ধুর প্রজ্ঞায় এবং দৃঢ় নেতৃত্বের
কারণেই ১৯৭২ এর ১২ মার্চ ভারতীয় সৈন্য
প্রত্যাহার শুরু হয়।
● বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার মাত্র এক বছরের
মধ্যে জাতিকে একটি আধুনিক, গণতান্ত্রিক
সংবিধান উপহার দেন। ১৯৭২ এর ১৬ ডিসেম্বর
সংবিধান কার্যকর হয়।
● ক্ষমতায় আসার মাত্র এক বছরের মধ্যে
বঙ্গবন্ধু প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন
করেন।
● বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে একটি গণমুখী
শিক্ষানীতি প্রণয়নের উদ্যেগ নেন। এলক্ষ্যে
১৯৭২ সালের ২৬ জুলাই ড: মুহাম্মদ কুদরত-এ-
খুদাকে সভাপতি করে একটি শিক্ষা কমিশন
গঠন করেন। কমিশন ১৯৭৪ সালের মে মাসে
পূর্ণাঙ্গ রির্পোট পেশ করে।
● জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
নির্দেশে যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে কৃষি
ক্ষেত্রে নেয়া হয়েছিল ব্যাপক কর্মসূচী। এর
মধ্যে ছিলো ৪০ হাজার শক্তি চালিত লো
লিফট পাম্প ২৯০০টি গভীর নলকূপ ও ৩০০০
অগভীর নলকূপ। ১৯৭২ সালের মধ্যেই জরুরী
ভিত্তিতে বিনামূল্যে ১৬,১২৫ টন ধান বীজ,
৪৫৪ টন পাট বীজ এবং ১০৩৭ টন গম বীজ
সরবরাহ করা হয়। ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির
খাজনা চিরতরে রহিত করা হয়।
● যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে শিল্প কারখানা
রক্ষায় বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ২৬শে মার্চ
জাতীয়করণ কর্মসূচী ঘোষণা করেন। এর ফলে

যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেমে শিল্প-কলকারখানা আবার
চালু হয়। ব্যাংক, বীমা জাতীয়করনের ফলে
গতি সঞ্চারিত হয়।
● প্রথম বাজেটে জনগনের উপর কোন কর
আরোপ করা হয়নি।
● বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে পূণ:গঠন
করেন। সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষনের জন্য
বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমী প্রতিষ্ঠা
করেন।
● বঙ্গবন্ধু সিভিল প্রশাসন পূণ: গঠন করেন।
● বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে প্রথম এক বছরেই যুদ্ধ
বিধ্বস্ত ২৮৭টি সেতুর মধ্যে ২৬২টি ২৭৪টি
সড়ক সেতুর মধ্যে ১৭০টির মেরামত শেষ হয়। দশ
কোটি টাকা ব্যয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান পূণ: নির্মাণ করা।
● বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগে বাংলাদেশ
স্বাধীনতার পর ১৪২টি দেশের স্বীকৃতি
আদায় করেন। জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন,
জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ এবং ওআইসির সদস্য
লাভ করে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু প্রথম
বাঙালি যিনি একটি দেশের সরকার প্রধান
হিসেবে জাতিসংঘে বাংলা ভাষায় ভাষণ
দেন।
./
ছয় দফা সম্পর্কিতঃ
৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬- লাহোরে বিরোধী
দলসমুহের জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ছয়
দফা পেশ।
২৩ মার্চ- ছয় দফার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।
৭ জুন- ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস। কারণ 7 জুন
ছয় দফা দাবিতে মনু নিয়া সহ ১১ জন শহীদ হন।
তাই ৭ জুন ছয় দফা দাবি দিবস।
5 February দাবি পেশ, 8 May মুজিবকে
গ্রেফতার করে, 7 Jun কিশোর মনু মিয়া সহ ১১
জন শহীদ হন।।।।।
. ছয় দফা দাবি- >
বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ । ব্রিটিশ
শাসনতন্ত্রের বাইবেলের সাথে তুলনা করা হয়

————————
১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে পূর্ব
পাকিস্তান ছিল সম্পূর্ণ অরক্ষিত।
নিরাপত্তাহীনতাবোধ এ অঞ্চলের জনগণের
কাছে স্বায়ত্তশাসনের দাবিকে আরো
প্রাসঙ্গিক করে তোলে। এ প্রেক্ষাপটে ১৯৬৬
সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ-পরবর্তী
রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য
লাহোরে পাকিস্তানের রাজনৈতিক
দলগুলোর কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধু লাহোরের সম্মেলনে তাঁর ছয় দফা
দাবি উত্থাপন করেন। সংক্ষেপে দাবিগুলো
হলো-
১. ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবের
ভিত্তিতে পাকিস্তানে ফেডারেল রাষ্ট্র
কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
২. কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে শুধু প্রতিরক্ষা
ও বৈদেশিক বিষয় থাকবে, অবশিষ্ট
বিষয়গুলো থাকবে ফেডারেশনের
ইউনিটগুলোর হাতে।
৩. দুটি পরস্পর বিনিময়যোগ্য মুদ্রা বা পূর্ব
পাকিস্তানের জন্য পৃথক ব্যাংকিং
ব্যবস্থাসহ একটি মুদ্রাব্যবস্থা থাকবে।
৪. ফেডারেশনের ইউনিটগুলোর হাতে থাকবে
কর ধার্যের ক্ষমতা, তবে কেন্দ্রীয়
সরকারের ব্যয় নির্বাহের জন্য করের একটা
নির্ধারিত অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় তহবিল
গঠিত হবে।
৫. বৈদেশিক মুদ্রা আয় ও বৈদেশিক
বাণিজ্যের বিষয়ে ফেডারেশনের
ইউনিটগুলোর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
৬. প্রদেশগুলোর জন্য আধাসামরিক বাহিনী
বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী থাকতে হবে।
স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র অনুযায়ী কত তারিখ
পর্যন্ত দেশ পরিচালিত হয়?
২৬ মার্চ ১৯৭১ থেকে ১০ মার্চ, ১৯৭২ পর্যন্ত
বলবৎ ছিল। ১৯৭২ এর ১১ মার্চ Provisional
Constitution of Bangladesh Order 1972 জারী
করা হয়।
স্বধীনতার ঘোষনাপত্র কবে জারি হয় ?
স্বাধীনতার ঘোষনা পত্র= কার্যকর ঃ ২৬
মার্চ ৭১, জারিঃ ১০ এপ্রিল ৭১, গৃহীত ঃ ১৭
এপ্রিল ১৯৭১
.
স্বাধনীতার ঘোষণা
.
This may be my last massage,from today
Bangladesh is independent.I call upon the
people of Bangladesh wherever you might be
and with whatever you have,to resist the army
of occupation to the last.Your fight must go on
until the last soldier of Pakistan occupation
army is expelled from the soil of Bangladesh
and final victory is achieved.
===================
তোফায়েল আহমেদের কী অথরিটি ছিল শেখ
মুজিবুর রহমানকে “বঙ্গবন্ধু” উপাধি দেওয়ার?
যখন তিনি শেখ মুজিবুর রহমানকে “বঙ্গবন্ধু”
উপাধি দেন তখন তিনি ডাকসুর ভিপি
হিসেবে সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের
আহ্বায়ক পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন ।
. তোফায়েল তখন প্রধান কয়েকজন
ছাত্রনেতার একজন ছিলেন। তখন বঙ্গবন্ধুর
নির্দেশে রাজনৈতিক কর্মসূচি বেশিরভাগই
পালন করে থাকত ছাত্রসমাজ। সুতরাং,
আমার মনে হয় একজন প্রথম সারীর ছাত্র
নেতা হিসেবে তোফায়েলের সে অধিকার/
অথরিটি ছিল।

One thought on "বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে আমার একটা নোট পর্ব 5"

  1. হায়রে ট্রিকবিডি ⬇⬇⬇⬇⬇⬇⬇⬇⬇ট্রিকবিডিতে কি হচ্ছে এখন,

    ট্রিকবিডি সাইট টাকে মুভি রিভিউ সাইট বানাইয়া ফালাইছে।

    এখন আবার এই লোকে ইতিহাস লেখা শুরু করছে????এইটার নাম ইতিহাসBD/মুভি BD রাখা উচিত।

    সাইট টাকে পচাইয়া ফালছে

Leave a Reply