টেলিপ্যাথি কি?
টেলিপ্যাথি, অতীন্দ্রিয় উপলব্ধি বা Extrasensory perception
বলতে মনের বিশেষ ক্ষমতার মধ্যে দিয়ে তথ্য
সংগ্রহকে বুঝানো হয়। এখানে শারীরিক কার্য্যকলাপের
তেমন কোনো ভুমিকা নেই। অতীন্দ্রিয় উপলব্ধির
আরেক নাম ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বা sixth sense ।
টেলিপ্যাথি শব্দটা এসেছে গ্রীক শব্দ টেলি এবং প্যাথিয়া
থেকে । টেলি শব্দের অর্থ দূরবর্তী এবং প্যাথিয়া
শব্দের অর্থ অনুভূতি । তারমানে টেলিপ্যাথি হলো
দূরবর্তী অনুভূতি । এই দূরবর্তী অনুভূতি বা টেলিপ্যাথিক
যোগাযোগ প্যারা সাইকোলজীর একটা অংশবিশেষ। এটা
সাইকোলজির একটা শাখা যা মানুষের অদ্ভুতুড়ে কান্ড কারখানা বা
ক্ষমতা নিয়ে রচিত।
প্যারা সাইকোলজিতে যদিও অলৌকিক ঘটনা বা ক্ষমতা নিয়ে কাজ
করা হয় তবে সেটা হয় পুরোপুরি বিজ্ঞানসম্মতভাবেই।
টেলিপ্যাথি বা প্রি-রিকোগনিশান অর্থাৎ আগে থেকেই
কোন কিছু ধারণা করে নেওয়া বা ভবিষ্যত দেখতে পাওয়া।
টেলিকিনসিস বা সাইকোকিনসিস বা কোন ধরণের শারীরিক
সংশ্লিষ্ঠতা ছাড়াই কোন জিনিস নাড়াতে পারা, সাইকোমেট্রি বা
কোন বস্তুকে স্পর্শ করে সেটা সম্পর্কে সব বলতে
পারা, মৃত্যু স্পর্শ বা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার
অভিজ্ঞতা, বাইলোকেশান অর্থাৎ একই সময় দুই জায়গাই
অবস্থান করা। ও মাই গড!! এসব শুনলে মাথা ঘুরে যায় আমার!!! আসুন টেলিপ্যাথি সম্পর্কে কিছু অলৌকিক তথ্য জানি
.
১)টেলিপ্যাথির সহজ উত্তর হল ব্রেইন টু ব্রেইন ডাটা
ট্রান্সফার।.
.
যেমনটা আমরা শেয়ার ইট এর মাধ্যমে করে থাকি।আপনারা
যদি হলিউড এক্স ম্যান সিরিজের মুভিগুলা দেখে থাকেন
তাহলে সেখানে প্রফেসর এক্স নামে একজনকে
দেখবেন অন্য মানুষের মনের নিয়ন্ত্রন নিতে।মনের
নিয়ন্ত্রণ নেয়াই টেলিপ্যাথি নয়।এটা টেলিপ্যাথির সামান্য একটা
অংশ।
.
.
ইচ্ছাকৃত টেলিপ্যাথির প্রমান আজ পর্যন্ত মেলেনি।ওটা
প্রফেসর এক্স আর এক্স ম্যান সিরিজেই সীমাবদ্ধ।
এই পর্যন্ত প্রায় কয়েক হাজারের উপর মানুষ
আরেকজনের মনের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে বলে দাবি
করেছেন।যদিও সরাসরি পরীক্ষায় কেউই পারেননি।
কিন্তু দুই একটা উদাহরণ তবুও চমক লাগিয়ে দেয়।
সেপ্টেম্বর ৯,১৯৪৮ সালে মূলতান দখলের সময়
সেখানকার ইনচার্জ সেনাপতি মারাত্মকভাবে আহত হন।তিনি মারা
যাবেন জেনে তার হাতের রিংটা তিনি পাশের সেনাদের তার
বউয়ের হাতে পৌছে দিতে বলেন।ঠিক তার ১৫০ কিলোমিটার
দূরে ফিরোজপুরে তার বউ ঠিক ওইসময় একদম একই বিষয়
স্বপ্নে দেখেন!তিনি স্বপ্নে দেখেন তার স্বামী
বলছেন –
‘এই রিংটা নিয়ে যাও আর আমার বউকে দিয়ে দিও।’
পরবর্তীতে এই কেস এসপি আর ভেরিফাই করে সত্যতা
প্রমান পায়।
.
৩)টুইন টেলিপ্যাথি প্রমান :
.
বলা হয়ে থাকে দুটো যমজ বাচ্চাকে জন্মের পর
থেকে যদি আলাদা করে দুইটা ভিন্ন দেশেও রাখা হয়
তাহলে তাদের আচরণে অদ্ভুত কিছু মিল পাওয়া যায়।আপনি
আবার ভরুন ধাওয়ানের জুডুয়া টু ফিল্মে যাইয়েননা।
আমেরিকার জেমস আর্থার স্প্রিঙ্গার আর জেমস এডওয়ার্ড
লুইস যমজ ছিলেন।জন্মের পরেই লুইসকে তার খালা ভিন্ন
দেশে নিয়ে যান।ওদের কারো সাথে কারো বিন্দুমাত্র
যোগাযোগ ছিলোনা।কিন্তু মারাত্মক কিছু অদ্ভুত আচরণ
তাদের মধ্য প্রকাশ পায়।
দুই পরিবারই তাদের নাম সংক্ষেপে জিম রাখে।
দুইজনের সাথে কোন যোগাযোগ না থাকলেও তারা
উভয়ই ল ইনফোর্সমেন্ট ট্রেইনিং করে,দুজনেই
চিত্রাঙ্কনে খুব ভাল ছিল,দুজনেই লিন্ডা নামের দুই
মেয়েকে বিয়ে করেন,দুজনেই তাদের সন্তানের নাম
রাখেন এলান,তারা দুইজনই তাদের বউদের ডিভোর্স দেন
এবং পরবর্তীতে বেটি নামে অন্য দুজনকে বিয়ে
করেন,দুজনেরই কুকুরের নাম টয় রাখেন।তারপর ৩৯ বছর
কথা জানতে পারেন এবং দেখা করেন!
হোয়াদ্দ পাক ওয়াজ দ্যাট!
.
৪)কোয়ান্টাম সাইন্সে টেলিপ্যাথি পসিবল।
.
বিজ্ঞান অলরেডি ব্রেইন টু ব্রেইন মেসেজ পাঠাইছে
তাও ইন্ডিয়া থেকে ফ্রান্সে সেপ্টেম্বর ২০১৪ তে।
হার্ভার্ড ইউনির গবেষকরা বিশ্বাস করেন কয়েক হাজার
কিলোমিটার দূরেও ব্রেইন মেসেজ পাঠানো সম্ভব!
কিন্তু ইন্ডিয়া টু ফ্রান্সে মাত্র দুইটা শব্দ পাঠানো হইছিলো
তাও ৯০ সেকেন্ড লাগছে।
কোয়ান্টাম মেকানিক্সের হিসেব অনেক জটিল তাই বাকিটা
আর লিখলাম না।যাইহোক অদূর ভবিষ্যৎ এ টেলিপ্যাথি পূর্ন রুপ
পেলে আমরা উপকারী আর অপকারী দুটা দিকই পাবো।
.
.
মোবাইল দিয়ে লিখছি।ভুল হলে দুইটা জিনিষ কইরেন।
১)আমারে কিছু কইয়েন না।
২)আমারে কিছু কইয়েন না।
.
ও আরো দুইটা আছে-
১)না বুঝলে প্রশ্ন কইরেন।
২)বুঝার ইচ্ছা না থাকলে কেকান্টির নূডুলস হালুয়া আর মাহফুজুর স্যারের গান শুনেন।
.
এইটার সাথেও বিজ্ঞান রিলেটেড কিন্তু।
ভারী মন হাল্কা করতে সাহায্য করবে।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
10 thoughts on "টেলিপ্যাথি কি? টেলিপ্যাথি কি সম্ভব? সায়েন্টিফিক প্রুফ আছে? থাকলে কখন?"