#TrickBDCompetition
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমরা সবাই চাই ইংরেজিতে ফ্লুয়েন্টলি কথা বলতে। কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে তা হয়ে উঠে না। আজকের আলোচনায় আমি একজন IELTS ক্যান্ডিডেট হিসেবে সেইসব প্রতিবন্ধকতা কাঠানোর উপায় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। চলুন শুরু করি।
১। চিন্তাটা ইংরেজিতে করতে হবে:
আমরা ইংরেজিতে যখন কথা বলি, তখন আগে কী বলব তা বাংলায় ভেবে নেই। তারপর সেটা মনে মনেই ইংরেজিতে অনুবাদ করি এবং তারপর ইংরেজিতে বলি। এর ফলে বারবার বাংলা এবং ইংরেজিতে আমাদের আসা-যাওয়া চলতে থাকে। যে কারণে, কথায় ফ্লুয়েন্সি থাকে না। তাই, আমাদের চিন্তাটাও ইংরেজিতেই করতে হবে। শুধুমাত্র কথা বলার সময় না। যেকোন সময়ই। যখনই আমরা নিজের মনে কিছু চিন্তা করবো, চেষ্টা করতে হবে সেই চিন্তাও যাতে ইংরেজিতে হয়।
২। একা একা কথা বলা:
যদি ইংরেজিতে চিন্তা করার অভ্যাসটি রপ্ত করে ফেলতে পারেন তাহলে আশে পাশে যখন কেউ নেই; সেই চিন্তাগুলোই নিজেকে নিজে বলে ফেলুন। নিজের কানে যখন নিজের কথা শুনতে পাবেন, নিজের ভুলগুলোও নিজেই ধরতে পারবেন। এবং প্রতিবার প্র্যাকটিসের সময় বুঝতে পারবেন যে, আগের চেয়ে ফ্লুয়েন্সি কতটা বাড়লো।
৩। গ্রামার নিয়ে বেশি চিন্তা না করা:
ইংরেজিতে কথা বলা নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় গ্রামার নিয়ে। দেখা যায়, গ্রামার নিয়ে এমনিতে কোন সমস্যা নেই। নির্ভুল গ্রামারে লিখে যেতে পারছি। কিন্তু বলতে গেলেই গ্রামারে টুকটাক ভুল হয়েই যাচ্ছে। এবং তখনই আমরা থেমে যাচ্ছি। এ কারণেই, প্র্যাকটিসের সময় গ্রামার নিয়ে বেশি মাথা ঘামানো যাবে না। ভুল হচ্ছে? হোক! কথা বলা থামানো যাবে না। গ্রামারের ভুলগুলো যতদিন যাবে কমে আসবে। কিন্তু, গ্রামারের কথা ভেবে যদি বলা থামিয়ে দেই, তবে ফ্লুয়েন্সি কখনোই আসবে না।
৪। প্রচুর ইংরেজি শোনা:
সিরিজ বা মুভি দেখতে গেলেই বোঝা যায় ইংরেজির কিছু আলাদা শব্দ থাকে। সেগুলোর বাংলা অর্থ করলে দেখা যাবে কিছুই বুঝা যাবে না। সেগুলো যত না শব্দ বা বাক্য, তার চেয়ে বেশি এক্সপ্রেশন। তাই, প্রচুর ইংরেজি সিরিজ আর মুভি দেখতে হবে।
৫। ইংরেজিতে গল্প বলা:
আপনার সবচেয়ে প্রিয় গল্পটি কাউকে ইংরেজিতে শোনান। এটা নিজেকে পরীক্ষা করার খুব ভাল একটা উপায়। যে গল্পটা আমরা খুব ভাল জানি, তা বলতে গেলে আমাদের খুব একটা ভাবতে হয় না। অনর্গল বলে যেতে পারি। সেই গল্পটাই ইংরেজিতে আমরা ঠিক কতটা ভাল বলতে পারছি, সেটা বুঝলেই নিজের অবস্থা সম্পর্কে খুব ভাল একটা ধারণা হয়ে যায়।
৬। যেকোন শব্দের অন্যান্য রূপ সম্পর্কে জানা:
যেকোন শব্দের বেশকিছু রূপ থাকে। এবং একই শব্দের অনেক রকম ব্যবহার হতে পারে। খুব সহজ কোন উদাহরণ যদি দেই, ইংরেজি “sentence” শব্দের মানে বাক্য ও হতে পারে, আবার কারাদণ্ড অর্থেও এটা ব্যবহার করা হয়। এরকম বেশ কিছু শব্দ আছে, যার অনেক রকম মানে দাঁড়ায়। শুধু তাই না, একই শব্দ বাক্যভেদে ভিন্ন অর্থ বহন করে । তাই, শব্দের এই ভিন্ন ভিন্ন রূপ জানতে হবে এবং সেইসাথে ব্যবহারও করতে হবে।
৭। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলা:
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বললে যা হবে, আমরা ইংরেজি বলার সময় আমাদের বাচনভঙ্গিও দেখতে পাবো। অধিকাংশ সময় যেটা হয়, আমরা ইংরেজিতে কথা বলার সময় আমাদের ভুল নিয়ে এতটাই সচেতন থাকি যে আমাদের আচরণে সেটা ফুটে উঠে। যখন আমরা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে প্র্যাকটিস করবো, তখন নিজেদের এই ভুল বুঝতে পারবো এবং নিজেদের আড়ষ্টতা কাটানোর জন্য কাজ করবো।
৮। সংকোচ কাটিয়ে তোলা:
একা একা বেশ কিছুদিন প্র্যাকটিস করার পর আমাদের মনে হতে পারে যে, এখন আমরা অন্যদের সামনেও একইভাবে না আটকে ইংরেজিতে কথা বলে যেতে পারবো। কিন্তু আসলেই যখন সময় আসে অন্যের সামনে বলার তখন পারি না। প্রশ্নটি হচ্ছে, কেন? কারণ আমাদের কাছে মনে হয়, যদি কোন ভুল হয় তাহলে সামনের মানুষটার সামনে আমাকে লজ্জায় পড়তে হবে। আমাদের কোন ভুল কেউ ধরুক, খুব স্বাভাবিকভাবেই আমরা তা চাই না । কিন্তু, এই ভয় বা লজ্জাটাই আমাদের অনেকখানি পিছিয়ে দেয়। তাই, সব ভয় বা লজ্জা কাটিয়ে উঠে আমাদের বলতে হবে। প্রয়োজনে ধীরে বলবো। পরের বাক্যটা বলার আগে একটু চিন্তা করে নিবো। কিন্তু বলবো। যদি ভুল হয়েও যায়, থামা যাবে না। আবার শুরু করতে হবে।
আশা করি আপনারা উপর্যুক্ত ধাপগুলো ফলো করলে সহজেই ইংলিশ স্পিকিং আয়ত্ত করতে পারবেন। আপনাদের প্রতি শুভ কামনা জানিয়ে এখানেই শেষ করছি। আল্লাহ্ হাফেয।
তবে আপনাদের সাথেই আছি।
সময় সুযোগ পেলে পোস্ট করবো।