আধুনিক জীবনে কেনা-কাটা আর বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানের ডেবিট কার্ড/ক্রেডিট কার্ড বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নগদ টাকা বহনে একদিকে যেমন ঝক্কি-ঝামেলা রয়েছে, তেমনি অপরদিকে বড় অঙ্কের টাকাও পকেটে করে নিয়ে বেরানো মুশকিল। তাই মানুষ এখন ক্রমেই নগদ টাকার বিপরীতে নানা ধরনের ডেবিট কার্ড/ক্রেডিট কার্ডের দিকে ঝুকছেন। তবে এই ডেবিট কার্ড/ক্রেডিট কার্ড যেকোনো সময় আপনার কাছ থেকে হারিয়ে যেতে পারে। সেজন্য কার্ড হারানোর আগেই সচেতন থাকা দরকার। কারণ, Prevention is better than cure (প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম)। তারপরেও রাস্তাঘাটে চলার সময় অথবা অন্য কোনো সময় যদি আপনার ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডটি ছিনতাই বা চুরি হয় অথবা যদি বেখেয়ালের বশবর্তী হয়ে হারিয়ে ফেলেন, তাহলে নিুোক্ত বিষয়গুলো অনুসরণ করুন। 

১. প্রথমে আপনি সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে অবহিত করে যত দ্রুত সম্ভব আপনার কার্ডের ব্যবহার বন্ধ করার ব্যবস্থা করুন এবং কাছের থানায় এ বিষয়ে একটি জিডি করুন। 
২. অনেক সময় ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড হ্যাক হয়ে যায়। হ্যাক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপটি হচ্ছে ব্যাংকের জমা-খরচের ওপর নজর রাখা। অনেক সময় আপনার সঞ্চয়ে যথেষ্ট অর্থ আছে কি না, তা নিশ্চিত হতে হ্যাকাররা অল্প টাকার লেনদেন করে। ব্যাংক হিসেবে যদি দেখা যায় আপনার অগোচরে অর্থ লেনদেন হয়েছে, তাহলে বুঝতে হবে বেহাত হয়ে গেছে আপনার কার্ডের গোপন তথ্য।
৩. ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড চুরি হয়ে গেছে বা হ্যাক হয়ে গেছে নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে/প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করুন। সাধারণত প্রতারণামূলক লেনদেন ঠেকাতে ক্রেডিট কার্ড কোম্পানি এবং ব্যাংক উভয়েরই নিজস্ব নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকে। তবে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে কোনো খবর পাওয়ার অপেক্ষা না করে নিজেই উদ্যোগী হয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা ভালো।
৪. কার্ড হ্যাক হয়েছে-এটা বোঝার সঙ্গে সঙ্গেই কর্তৃপক্ষের সাহায্যে পিন নম্বর পরিবর্তন করুন এবং নতুন কার্ড হাতে পাওয়ার পর যেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে লেনদেন করতেন, সেসব প্রতিষ্ঠানে নিজের অ্যাকাউন্টটি আপডেট করিয়ে নিন।

আশাকরি সবাই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন ধন্যবাদ সকলকে মনোযোগ দিয়ে পোস্টটি পড়ার জন্য।

2 thoughts on "আইন জানুন আইন মানুন পর্ব ৩: ডেবিট কার্ড/ক্রেডিট কার্ড হারালে কী করবেন?"

Leave a Reply