ময়নাতদন্ত (post mortem) রিপোর্ট কী?ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৪(৩) উপধারা মোতাবেক, মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের জন্য সিভিল সার্জন বা ক্ষমতাবান ডাক্তারের নিকট প্রেরিত লাশের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞ মতামত সম্বলিত রিপোর্টকে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট বলে।

জিআর মামলা এবং সিআর মামলা কী?আমলযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে যে সমস্ত মামলা এজাহার বহিতে লিপিবদ্ধ হয়ে জিআর রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়, তাকে জিআর মামলা বলে। জিআর মামলা আমলযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। অপরাধের নিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে শান্তি রক্ষার জন্য বা সদাচরণের জন্য জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ কিংবা প্রকাশ্যে নোংরামি বন্ধের জন্য ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১০৭, ১০৮, ১০৯, ১১০, ১৩৩, ১৪৪ ও ১৪৫ ধারায় আদালত মামলা গ্রহণ করে থাকে। আদালতে দায়েরকৃত এ ধরনের মামলাকে নালিশি মামলা বা সিআর মামলা (মিস কেইস) বলে। এ সমস্ত মামলা মিস কেইস রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত হয়।

সমন কী? সমন জারির পদ্ধতিগুলো কী কী?

বাদী বা সাক্ষীকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য প্রদত্ত আদালতের প্রিজাইডিং অফিসার বা হাইকোর্ট প্রণীত স্বাক্ষরিত ও সিলমোহরযুক্ত আদেশ নামাকে সমন বলা হয়। সমন জারির পদ্ধতিসমূহ নিম্নরুপ-
১. সমন যার উপর জারি করা হবে, তাকে সমনের এক কপি দিয়ে অন্য কপিতে প্রাপ্তি স্বীকারে স্বাক্ষর নিতে হবে।
২. যদি একাধিক ব্যক্তির উপর সমন জারি করতে হয়, তাহলে প্রত্যেকের স্বাক্ষর অফিস কপিতে নিতে হবে।
৩. যদি কোনো কোম্পানি বা কোনো প্রতিষ্ঠানে সমন জারি করার প্রয়োজন হয়, তাহলে উক্ত কোম্পানির মালিক ম্যানেজারের নিকট সমনের এক কপি বুঝিয়ে দিয়ে ২য় কপিতে প্রাপ্তি স্বীকার নিতে হবে।

৪. যে ব্যক্তির উপর সমন জারি করা হবে তিনি যদি উপস্থিত না থাকেন, তাহলে উক্ত ব্যক্তির বাড়ির যেকোনো স্বাবলম্বী পুরুষ লোকের নিকট সমনের এক কপি বুঝিয়ে দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারে স্বাক্ষর নিতে হবে।
৫. যদি উপরের বর্ণনা মোতাবেক সমন জারি না করা যায়, তাহলে তার বাড়ির প্রকাশ্য স্থানে বা বসবাসের প্রকাশ্য স্থানে দুই বা তিন জন ব্যক্তি উপস্থিতিতে (যারা প্রতিবেশী) সাক্ষী স্বরূপ লটকিয়ে দিয়ে সমন জারি করতে হবে।
৬. সমন যার উপর জারি করা হবে, সে ব্যক্তি যদি সরকারি কর্মচারী হয় তাহলে তার অফিস প্রধানের নিকট সমনের ২ কপি প্রেরণ করতে হবে। যার উপর সমন জারি করা হবে তাকে এককপি দিয়ে ২য় কপিতে প্রাপ্তি স্বীকার নিয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে পাঠাবেন।
৭. যার উপর সমন জারি হবে, সে ব্যক্তি যদি উক্ত আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে না থাকেন, তাহলে যেই আদালতের সীমারেখায় উক্ত ব্যক্তি রয়েছেন সেই আদালতের নিকট প্রেরণ করে সমন জারির ব্যবস্থা নিতে হবে।

8 thoughts on "আইন জানুন আইন মানুন পর্ব ২৯: ময়নাতদন্ত (post mortem) রিপোর্ট কী?জিআর মামলা এবং সিআর মামলা কী?সমন কী? সমন জারির পদ্ধতিগুলো কী কী?"

  1. Picchi Official Author says:
    মেয়ের বয়স ১৬
    ছেলের বয়ম ১৭

    পালিয়ে বিয়ে করার পর, মেয়েকে একবার কোর্টে তোলা হয়েছিলো,মেয়ে জবান বন্দি দিয়েছিলো, আমি নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছি ছেলের কোনো দোস নাই,, আমি এখন আমার মা বাবার কাছে যেতে চাই,, পরে তার মা বাবার কাছে জিম্মি দেয় কোর্ট বয়স না হাওয়া পযন্ত, কিন্তু মেয়ে টা ২ বা ৩ দিন পরে আবার ছেলের সাথে পালিয়ে চলে যায়, পরে মেয়ের ফ্যামিলি , ছেলের ফ্যামিলির নামে ২ টা মামলা দেয় নির্যাতনের,, মানে মিথ্যা মামলা দেয়,।।
    ছেলের বাড়ির সবাই জাবিন হয়, কিন্তু ছেলে জাবিন হয় নি ১ নাম্বার আসামি বলে এতো দিন পালিয়ে ছিলো,, এখন তাদের বাচ্ছা আছে,, তাই জানতে চাচ্ছি এখন কি ছেলে জাবিন হতে পারবে, ছেলের বর্তামান বয়স ১৭ ,
    মেয়ের ফ্যামিলি থেকে যে ২ টা নির্যাতনের মলা করেছে ,২ টা তেই ছেলে ১ নাম্বার আসামি,

    কমেন্ট টা দুইবার করার জন্য দুঃখিত আসলে এটা আমার জানার খুব প্রয়োজন,, দয়া করে আমাকে বিস্তারিত জানাবেন ?♥♥♥♥

    1. Shakil Contributor Post Creator says:
      Na boyos 22 bocor na hole jamin paben na.tobe personally ekta kotha boli taka te jor den jamin hoye jabe
    2. Shakil Contributor Post Creator says:
      Asa kori bujhte perecen
    3. Picchi Official Author says:
      vai jan. ekta ukil er sathe kotha hoyeche bolche.jodi boyos chele meye dui joneri kom thake ar jodi bacca hoye jay tahole. naki kes ekbare dismis hoye jabe.??
    4. Shakil Contributor Post Creator says:
      Ji
    5. Picchi Official Author says:
      apni bolchen 22 na hole jabin pawya jabe na..?
      ar ukill to bollo kes ekbare dismis hoye jabe ei kes ar calate hobe na. sobai khalas peye jabe

Leave a Reply