BIOTECHNOLOGY


আজকাল অনেক সেলিব্রেটিদের ল্যাকটোজ ফ্রী খাদ্যের বিজ্ঞাপন করতে দেখা যায়, কিন্তূ কি এই ল্যাকটোজ?ল্যাকটোজ হলো প্রাকৃতিক শর্করা,যা অনেকের শরীরের সাথে খাপ খায় না অথবা এলার্জিক।তাছাড়া অতিরিক্ত ল্যাকটোজ আপনাকে মোটা হতেও সাহায্য করে। তাই বিভিন্ন খাদ্যে উপস্থিত এই ল্যাকটোজ কে বাদ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।যদিও কএক
বছর পূর্বে এটি অসম্ভব ছিল। বায়োটেকনোলজির অবদানেই এটি সম্ভব হয়েছে।
বায়োটেকনোলজি:

বায়োটেকনোলজি হলো মানব কল্যাণে ব্যাবহৃত প্রাণী,জিব,উদ্ভিদ ও এদের অংশবিশেষ এবং বিভিন্ন জৈবিক প্রক্রিয়ার সমাহার।

উদাহরণ:

আমরাজানি,পাউরুটি কেমনে বানানো হয়।ময়দার সাথে ইষ্ট মেশানো হয়,যা কিছু কেমিকেল নিঃসৃত করে যেটা পাউরুটি ফুলতে ও নরম হতে সাহায্য করে।এখানে আমরা জিব অর্থাৎ ইষ্ট ব্যাবহার করে পাউরুটি বানিয়েছি।সুতরাং এটিও বায়োটেকনোলজি এর অংশ।এক কথায় বলা যায় যেকোনো গাজন প্রক্রিয়ায় বায়োটেকনোলজি এর অংশ কারণ প্রত্যেক গাজন প্রক্রিয়ায়
জৈবিক প্রক্রিয়া।

গুরুত্ব:

খাদ্য, শস্য ও ওষুধ শিল্পে বায়োটেকনোলজি এর বিশেষ অবদান রয়েছে নিচে এর কিছু উদাহরণ বিশ্লেষণ করা হলো।

ওয়াইন:
ওয়াইন বানানো হয় আঙ্গুরের রস কে গাজন প্রক্রিয়ায় রেখে। তো কিভাবে ফলের রস থেকে এই পানীয় বানানো হয়?এর পিছনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে পাউরুটি উৎপাদনে ব্যাবহৃত জিব ও জৈব প্রক্রিয়া অর্থাৎ ইষ্ট ও গাজন প্রক্রিয়া।

ভেক্সিন:
ভেক্সিন ও জিন থেরাপিতেও বায়োটেকনোলজি এর ভূমিকা অসীম।এখন চলুন হেপাটাইটিস- বি ভেক্সিনের দিকে একটু নজর দেয়া যাক।আজকাল কার ভেক্সিন এর বেশির ভাগই রিকম্বিনেন্ট অর্থাৎ ভাইরাস থেকে তৈরি।যদিও আগে এই ভেক্সিন ইনফ্যাক্ট হওয়া রোগীর রক্ত থেকে বানানো হতো। এতে অনেক রক্তের

প্রয়োজন ছিল সাথে অনেক ঝুকিও। তাই এই ঝুঁকি এড়াতে পেথজেনিক ভাইরাস থেকে তৈরি করা হয় যা রিকম্বিনেনট হেপাটাইটিস ভেক্সিন নামেও পরিচত।এই ভেক্সিন একবার নিলেই হেপাটাইটিস বি দ্বারা আক্রান্ত হওয়া প্রায় অসম্ভব।সাথে এটি লিভার ক্যান্সার প্রতিহত করতেও সাহায্য করে।বর্তমানের কোভিড ভেক্সীন ও এই বায়োটেকনোলজি এর আশ্রয়ে বানানো হয়।

গোল্ডেন রাইস:
আমরা অনেকেই হাইব্রিড চাল সম্পর্কে শুনেছি যেগুলো কম খরচ ও পরিশ্রমে দ্বিগুণ ফল দেয় ও সাথে অনেক উপকারী ও।এরকম একধরনের কৃত্রিম চাল হলো গোল্ডেন রাইস। চালটি নাম অনুযায়ী হালকা সোনালী রঙের দেখতে। কিনতু এটি এতোগুরুত্তপূর্ণ কেন? ও এর রং সোনালী কেন? কারণ এতে বিটা কেরোটিন থাকে,বিটা ক্যারোটিন এক ধরনের কমলা রঙের পিগমেন্ট যা মানব শরীরে ভিটামিন এ তে পরিণত হয়। তাই যেসব অঞ্চলে ভিটামিন এ সম্বৃধ খাদ্যের অভাব সে অঞ্চলের জন্য এটি তৈরি করা হয় এবং সেখানে সরবরাহ করতে হয়।

পরিশেষে বলা যায় যে,আধুনিক জীবন যাত্রায় বায়োটেকনোলজি এর অবদান অসীম।

One thought on "[BIOTECHNOLOGY]বায়োটেকনোলজি কি? কোভিড ভেক্সিন তৈরী ও খাদ্য শিল্পে এর অবদান।"

Leave a Reply