ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (Virtual Reality)
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো সেই প্রযুক্তি যা সৃষ্টি করে ত্রি-মাত্রিক বিশ্ব এবং জীবন্ত দৃশ্য। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে বাস্তব দৃষ্টিগ্রাহ্য জগৎ তৈরি করা হয় যা উচ্চমাত্রায় তথ্য বিনিময় মাধ্যমের কাজ করে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির পরিবেশ তৈরির জন্যে কী কী পরিধান করতে হবে?
প্রাত্যহিক জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি- ট-এর প্রভাব (Impact of Virtual reality in life)
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ:
উন্নত বিশ্বে ডাক্তারদের আধুনিক মানের প্রশিক্ষণ প্রদানে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে সার্জিক্যাল প্রশিক্ষণে ‘এমআইএসটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ল্যাপরোস্কোপিক’ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এ পদ্ধতিতে কম্পিউটার সিমুলেশন ব্যবহার করে ল্যাপরোস্কোপির পরিচালনার বিভিন্ন কৌশল শেখানো হয়। শিক্ষানবীশ ডাক্তারগণ এর ফলে অত্যন্ত সহজে ও সুবিধাজনক উপায়ে বাস্তবে অপারেশন থিয়েটারে কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
রিয়েলিটির মাধ্যমে ড্রাইভিং নির্দেশনা:
কম্পিউটার সিমুলেশনের মাধ্যমে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের জন্য চালককে একটি নির্দিষ্ট আসনে বসতে হয়। চালকের মাথায় পরিহিত হেড় মাউন্টেড ডিসপ্লোর সাহায্যে কম্পিউটার দ্বারা সৃষ্ট যানবাহনের অভ্যন্তরীণ অংশ এবং আশেপাশের রাস্তার পরিবেশের একটি মডেল প্রদর্শন করা হয়। এর সাথে আবার যুক্ত থাকে একটি ‘সিক্স ডিগ্রি অব-ফ্রিডম’ হেড ট্র্যাকিং সিস্টেম।
এ পদ্ধতিতে জরুরি মুহূর্তে যানবাহন পরিচালনা ও এর নিয়কানুন শেখানো হয়। এছাড়া কর নির্ধারণ, লাইসেন্সিং, চালকের শিক্ষা প্রভৃতি বিষয়গুলোকেও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা:
কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত কাল্পনিক পরিবেশে সংকটাপূর্ণ অবস্থায়ও কীভাবে যান পরিচালনা করতে হয় তা এ পদ্ধতিতে শেখা যায় খুব সহজেই। সড়কপথের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা তীব্র যানজটে কীভাবে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে তা শিখতে পারেন থ্রিডি উপস্থাপনার মাধ্যমে। ফ্লাইট সিমুলেশনের মাধ্যমে বিমান চালকগণ তাদের বিমান চালনার যাবতীয় কৌশলও রপ্ত করে ফেলতে পারেন। আকাশপথে বিমান চালনার ঝুঁকি সম্পর্কে তারা অবগত হতে পারেন এর মাধ্যমে। প্রতিটি বিমান বন্দরে শত শত বিমানের ওঠানামা তদারকির জন্য বিমান কর্তৃপক্ষকেও সাহায্য করছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। কাল্পনিক বাস্তবতায় বিমান ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তাদের নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
এর মাধ্যমে। কখন কোন বিমানটি আকাশে উড়বে কিংবা কোন বিমানটি রানওয়ে স্পর্শ করবে তার দেখাশুনা করার জটিল দায়িত্ব অত্যন্ত সহজ করে দিয়েছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সংবলিত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে ফ্লাইট সিমুলেশন:
জানালাসমূহের বাইরের দিকে স্পর্শকাতর কম্পিউটারের মাধ্যমে ডিসপ্লে তৈরি হয় যাকে কম্পিউটার জেনেরেটেড ইমেজ বা সিজিআই নামে অভিহিত করা হয়। প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী যখন সিমুলেটরের ভেতরে টেনঅফ করেন তিনি তখন একটি বাস্তব বিমান বন্দর ও তার আশপাশের এলাকা প্রত্যক্ষ করেন। বোয়িং ফিল্ডের সিমুলেশনটি মুহূর্তের মধ্যে রানওয়েতে ফুয়েল ট্রাক এবং অদূরেই মাউন্ট রেইনিয়ারকে দেখতে পান। চালক অন্যান্য বিমান গমনাগমনের শব্দ, ডানার শব্দ শুনতে পান যা আসলে তখন সেখানে অনুপস্থিত থাকে। এছাড়াও চিত্র: ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে বিমান চালনা প্রশিক্ষণ সিমুলেটরটি ছয়টি হাইড্রোলিক পদ্ধতির মাধ্যমে নিচের দিকে ঝুঁকে থাকে। এসমস্ত বিষয়গুলো এমন ধরনের পরিবেশ যা আবহ তৈরি করে যা ফলে প্রশিক্ষণার্থী মনে করেন তিনি সত্যিকারের বিমানই নিয়ন্ত্রণ করছেন মহাশূন্য অভিযানে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি: যেদিন থেকে মানুষ পৃথিবীর বাইরে পা রাখতে শুরু করল সেদিন থেকেই মহাবিশ্ব জয়ের তীব্র আকাঙ্ক্ষা মানুষের মনে স্থান করে নিল। আর পর থেকেই শুরু হলো মহাবিশ্ব জয়ের অভিযান। এই অভিযানের প্রতিটি পর্বেই রয়েছে নানা ধরনের ঝুঁকি। প্রস্তুতিপর্বের নানা গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা নিরীক্ষা, নভোচারীদের কার্যক্রম, নভোযান পরিচালনা সম্পর্কিত যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয়গুলো সম্পর্কে প্রশিক্ষণে তাই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বিশেষ স্থান করে নিয়েছে।
কাল্পনিক পরিবেশে মহাকাশে গবেষণা পরিচালনার বিষয়গুলো, মহাশূন্যে খাপ খাওয়ানোর মতো বিষয়গুলো পূর্বেই প্রশিক্ষণ নিতে পারছেন নভোচারীগণ।
মহাশূন্যে নভোথেয়াযান বিকল হয়ে গেলে কীভাবে তা সারাতে হবে, কোন যন্ত্র অকেজো হলে তাকে কীভাবে কার্যক্ষম করা যাবে তার প্রশিক্ষণও এর মাধ্যমে দেয়া হয়। এর ফলে মহাকাশে তাদের ভ্রমণ অনেক নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়।
ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষা :
বিভিন্ন ইমেজ সংরক্ষণ ও দৃশ্যধারণ:
গেমস তৈরি:
সেনাবাহিনীতে:
নগর পরিকল্পনায়:
সমাজে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির নেতিবাচক প্রভাব চিহ্নিত করা হলোঃ
- ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদির দাম ও জটিলতা বেশী এবং এই প্রযুক্তিতে প্রোগ্রামও খুবই মূল্যবান ও ব্যয়বহুল।
- ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ফলে বর্তমান সমাজের মনুষ্যত্বহীনতা বা পাচ্ছে।
- ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ফলে মানুষ ইচ্ছেমতো কল্পনার রাজ্যে বিচরণ করতে পারবে। ফলে দেখা যাবে মানুষ বেশিরভাগ সময় কাটাবে কল্পনার জগতে এবং খুব কম সময় থাকবে বাস্তব জগতে। কিন্তু এভাবে যদি মানুষ কল্পনা ও বাস্তবের মধ্যে পার্থক্য করতে না পারে তাহলে পৃথিবীতে চরম অনিশ্চয়তা বিরাজ করবে।
- ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারের ফলে মানুষের চোখের ও শ্রবনশক্তির ক্ষতি হতে পারে
তো আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি। আশা করছি এই পোস্টের খুব শীঘ্রই তৃতীয় অর্থাৎ শেষ পর্ব নিয়ে আসবো।
উপরের আমার এই পোস্টটি লিখতে অনেক নথির এবং ওয়েসাইটের সাহায্য নিতে হয়েছে। যাদের কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করলেই নয়।
সহায়ক,
মোঃ কামরুল হাসান।
1. HSC ict book
2. Wikipedia.com
3. hpe.com
4. history-computer.com
5. civilian
তো আজ এই পর্যন্তই। আপনাদের জন্যই আমরা নিয়মিত নিত্যনতুন পোস্ট নিয়ে হাঁজির হই।
তাই উক্ত পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক দিতে ভুলবেন না। এবং যেকোনো মন্তব্য বা পরামর্শের জন্য কমেন্ট করতে পারেন। পরবর্তীতে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হবো ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ্য থাকবেন।
2 thoughts on "ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সম্পর্কে বিস্তারিত এক পোস্টেই সব কিছু। What is Virtual Reality? [Details]"