সকালে পড়াশুনা করবো নাকি রাতে পড়াশুনা করবো। থাক রাতে পড়তে বসবো রাতে যে পড়বো। রাত্রি বেলায় তো আবার আমার ঘুম আসে। থাক সকালে পরে নেবো।
হয়তো প্রায়ই এই প্রশ্নটি আপনি নিজেকে করে থাকেন। তাই না? তো চলুন আজ আমরা জেনে নিই, যে পড়াশোনা করার সঠিক সময় কোনটি।
যাতে আমরা সেই পড়াশোনাকে ভালোভাবে মনে রাখতে পারি। এবং পরীক্ষায় যেন ভালো নাম্বার করতে পারি। তো চলুন আজকের পোস্টটি শুরু করা যাক।
পড়াশোনা করার ঠিক টাইম কোনটি?
আপনি এই কথাটি বহু লোকেদের মুখেই শুনেছেন। যে আপনাকে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পড়াশোনা করা উচিত। সকাল চারটে ঘুম থেকে উঠে পড়তে বসতে হয়।
কারণ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আপনার মাইন্ড ফ্রি থাকে। সেই সময় কোন আজেবাজে চিন্তা ভাবনা থাকে না। যার ফলে এই সময় পড়াশোনা করলে তা খুব তাড়াতাড়ি এবং ভালোভাবে মনে থাকে।
কিন্তু কিছু কিছু লোক আবার বলে যে সকালে নয় বরং রাতে পড়াশুনা করা উচিত। বিরক্ত করার মতন কেউ থাকে না। সকলেই ঘুমিয়ে পড়ে। যার ফলে পরিবেশ একেবারে শান্ত হয়ে যায়। বিরক্ত করার কেউ থাকে না।
সকালে তো বাবা, মা, ভাই, বোন লোকজন, গাড়ির হর্ন। এই সকল গুলির আওয়াজ আসতে থাকে। সকালে বাড়ির লোকেরা বিভিন্ন ধরনের কাজের ফরমাস করতে থাকে।
কিন্তু রাতে কাজের ফরমাশ করার আর কেউ থাকে না। চারিদিক দিয়েই আমরা ফ্রি হয়ে পড়ি। তাই রাতের সময়টি হল পড়াশোনা করার সঠিক সময়।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই যে রাত্রি বেলায় তো ঘুম চলে আসে আর সকালে তাড়াতাড়ি আমি ঘুম থেকে উঠতে পারি না। তো এক্ষেত্রে আমি কি করবো?
আমার জন্য কোনটি পড়াশোনা করার সঠিক সময় হবে? কোন সময়টিতে পড়লে আমার পড়াশোনা সব থেকে বেশি ইফেক্টিভ হবে। আমি ভালোভাবে পড়া মনে রাখতে পারবো।
এবং পরিক্ষায় এ ভালো নাম্বার করতে পারবো। তো সব থেকে প্রথমে আমরা জেনে নিই যে দিনের বেলায় পড়া এবং রাতের বেলায় পড়ার কি কি বেনিফিট রয়েছে।
যাতে আপনি নিজেই ডিসাইড করতে পারেন যে রাতে পড়াশোনা করা ঠিক হবে নাকি দিনের বেলায় পড়াশোনা করা ঠিক হবে।
দিনের বেলা মানে, সকালে পড়তে বসার সব থেকে বড় লাভ হলো বেশি শক্তি।
সকালে পড়াশোনা করার উপকারীতা
যখন আপনি সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পড়তে বসার কথা ডিসাইড করেন, এই ডিসিশনটি আপনার জন্য সত্যি খুবই ভালো একটি সিদ্ধান্ত। সকাল বেলা আপনার মাইন্ড সবথেকে বেশি ফ্রেশ থাকে।
এর ফলে আপনার মাইন্ড, খুব ভালোভাবে কাজ কে করতে পারে। অর্থাৎ আপনার গ্লাসটিং পাওয়ার এইসময় অর্থাৎ সকালবেলা খুব বেশি থাকে।
রাতে পড়াশোনা করার উপকারীতা
তো চলুন এবার জেনে নিই যে রাতে পড়াশোনা করার কি কি benefit রয়েছে। রাতে পড়াশোনা করার সবথেকে বড় বেনিফিট হলো সাইলেন্ট এবং বিরক্ত করার কেউ থাকে না।
সকালে যতই ধীরে ধীরে বেলা বাড়তে থাকবে, ততই নয়েস বাড়তে থাকবে।
কিন্তু রাতে কোনো ধরনের বিরক্ত করার কেউ থাকে না। যার ফলে আপনি পড়াশোনায় খুব ভালোভাবে মনোযোগ দিতে পারবেন।
কখন পড়াশোনা করার সঠিক সময়?
তো চলুন এবার আমরা জেনে নিই যে জন্য কোনটি সব থেকে ভালো সময় পড়াশোনা করার জন্য।
ফলে এই প্রশ্নটি শুনে সহজ মনে হলেও, উত্তরটি কিন্তু অতটা সহজ নয়। এই উত্তরটি বেশ কয়েকটি ফ্যাক্টরের উপর ডিপেন্ড করে। চিন্তা করার কোন প্রয়োজন নেই. আমি এটি আপনাকে বলেও দেবো।
যাই হোক পড়াশোনা করার সঠিক সময় হলো। যখনই আপনার মন চাইবে তখন পড়াশুনা করুন। এবং আপনার অভ্যাস করান পরিক্ষার এর আগে চাপে পরে বা কারোর কথা শুনে।
যদি আপনি আপনার পড়াশোনা করার রুটিন কে পরিবর্তন করে ফেলেন। তাহলে আপনি যত টুকুই বা পরছিলেন তাও আর পড়তে পারবেন না।
মনে করুন, আপনি রাতে পড়াশুনা করেন। কিন্তু সাডেন কোন টপার আপনাকে বলল যে আমি সকালে পড়তাম এবং আমি পরিক্ষায় টপ করেছিলাম।
আর এই কথাটি শুনে যদি আপনি রাত্রি দুটোর দিকে শোবার পরিবর্তে ভোর চারটায় ওঠার চেষ্টা করেন।
এবং ভোর চারটায় উঠে যদি পড়ার চেষ্টা করেন। তো অবশ্যই আপনি অসুস্থ তো হবেনই, তার সাথে সাথে আপনার পড়াশোনাতেও মন বসবে না।
কারণ পড়াশোনা করার টাইম টেবিল কে পরিবর্তন করতে অনেক সময় লাগে।
কিন্তু আপনি সেটিকে একদিন পরিবর্তন করার চেষ্টা করছিলেন। তো যখনই আপনার পড়াশোনা করার মন চাইবে তখনই পড়তে বসুন। দেখুন হাতের পাঁচটি আঙুল সমান হয় না। সবার টেস্টও সমান হয় না।
তাই না? লাইফে আপনি এমন বহু লোককে পাবেন। যারা আপনাকে বলবে যে রাতে পড়াশুনা করো। বা কেউ হয়তো আপনাকে বলবে যে সকালে পড়াশুনা করো।
আসলে রাতে হোক বা সকালে হোক সেই সময় তাদের পড়তে ভালো লাগে। তাই তারা সেই সময় পরে। কিন্তু আপনার কাছে তাদের বলা টাইম টেবিলটি প্রযোজ্য নাও হতে পারে।
আপনাকে যদি সকালে করতে ভালো লাগে, তাহলে আপনি সকালে পড়ুন। যদি আপনাকে রাতে পড়াশোনা করতে ভালো লাগে, তাহলে আপনি রাতে পড়ুন।
যদি আপনাকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর এক ঘন্টা ঘুমিয়ে তারপর উঠে পড়তে ভালো লাগে, তাহলে আপনি এভাবেই পড়ুন।
পড়তে আপনি তখনই বসুন যখন আপনার মন চায়। যে সময়টিতে পড়াশোনা করতে আপনাকে ভালো লাগে, আপনি সেই সময়টিতেই পড়ুন।
আমাকে যে সময়টিতে পড়াশোনা করতে ভালো লাগে। সেই সময়টিতে যে আপনাকেও ভালো লাগবে। তা নাও হতে পারে।
তাই আপনাকে যে সময়টিতে পড়তে ভালো লাগে। যে সময়টিতে আপনি মনোযোগের সাথে পড়াশোনা করতে পারেন।
যে সময়ে পড়ে আপনার বহুদিন পর্যন্ত পড়াগুলি মনে থাকে। সেই সময়টিতেই আপনি পড়তে বসুন। সেটা ভোর হোক, সকাল হোক, বিকেল হোক বা রাত্রি হোক না কেন।
যে সময়টিতে আপনাকে পড়তে ভালো লাগে, সেই সময়টিতেই আপনি পড়তে বসুন। পড়াশোনা করার নির্দিষ্ট কোনো সময় হয় না। যে কোনো টাইম ই পারফেক্ট টাইম। শুধু মনোযোগী হওয়াটা দরকার।
আশাকরি এবার আপনি বুঝতে পেরেছেন, যে পড়াশোনা করার সঠিক সময় কোনটি। পোস্টটি ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ
তাছাড়াও আপনি যদি জন্ম নিবন্ধন যাচাই সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে চান তাহলে উদ্দীপক.কম ভিজিট করতে পারেন।