আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সাইটের ভিজিটররা সবাই ভালো আছেন।
আজকে আমি ট্রিকবিডিতে আপনাদের জন্য আরেকটি নতুন পোস্ট লিখতে বসলাম। পোস্টের টাইটেলে লেখা আছে,
“জীবনে আর্থিকভাবে স্বাধীন(Financially free) হতে হলে মানি ম্যানেজমেন্ট(Money Management) এর যে বিষয়গুলো আপনাকে জানতে হবে”এখান থেকে দুটো জিনিস আগে সংক্ষেপে ডিফাইন করি তারপর মূল পোস্টে যাবো;
১. আর্থিক স্বাধীনতা (Financial Freedom) কী?
এই টার্মের সাথে আমরা কেউ কেউ পরিচিত, কেউ কেউ হয়তো জানি না। তবে ধনী হওয়ার বিষয়টি আমরা সবাই ভালোভাবে বুঝি। এখন ধনী হওয়া আর আর্থিকভাবে স্বাধীন হওয়া কী একই? উত্তর হচ্ছে একই হতেও পারে নাও হতে পারে। আমরা এভাবে বলতে পারি, সাধারণত সকল ধনী মানুষ আর্থিকভাবে স্বাধীন, কিন্তু সকল আর্থিকভাবে স্বাধীন মানুষ ধনী নন। অর্থাৎ আর্থিকভাবে স্বাধীন হলেও আপনি ধনী নাও হতে পারেন। তাহলে আর্থিকভাবে স্বাধীন হওয়া বলতে আসলে কী বোঝায়? আর্থিকভাবে স্বাধীন হওয়া মানে আপনি আপনার জীবনের যাবতীয় সকল ব্যয়ভার বহনের সক্ষম এবং আপনার যখন যা করতে ইচ্ছা করে আপনি তা করতে পারেন কোনো রকম টাকার চিন্তা না করে আর আপনার সাথে বা আপনার কোনো আপনজনের সাথে কোনো দূর্ঘটনা ঘটলে আপনি সেই দূর্ঘটনা সংশ্লিষ্ট যাবতীয় খরচ বহনের সক্ষমতাও রাখেন। কিন্তু এটা তো আমরা সবাই কমবেশি করি। সবাই নিজের খরচ নিজেই বহন করি। এখানে আর্থিক স্বাধীনতার কী হলো? এখানে মূল বিষয়টা হলো আর্থিকভাবে স্বাধীন মানুষ জীবনের সকল ব্যয় পূরণ করতে পারেন কোনো কাজ না করেই, অর্থাৎ প্যাসিভ ইনকামের মাধ্যমে। দৈনিক খরচ বহনের জন্য তাকে কোনো রকম এক্টিভ কাজ করতে হয়না। আর যেহেতু সবার দৈনন্দিন প্রয়োজন সমান নয় তাই বুঝতেই পাচ্ছেন কেউ যদি অল্পতেই খুশি থাকে আর সেই অল্প প্রয়োজন যদি সে একটিভ ভাবে কাজ না করেই পূরণ করতে পারে তাহলে সেও আর্থিকভাবে স্বাধীন, কিন্তু তাকে হয়তো আপনি ধনী বলবেন না। ধনী আর আর্থিক স্বাধীন মানুষের পার্থক্য টা এখানেই।
২.মানি ম্যানেজমেন্ট কী?
এটা হচ্ছে আপনি আপনার ইনকাম করা টাকা কিভাবে আর কোথায় খরচ করবেন, কোথায়-কিভাবে খরচ করলে আপনার ভবিষ্যতে আর্থিকভাবে স্বাধীন হওয়ার সুযোগ বেড়ে যাবে। আপনি যত কম বা যত বেশি টাকাই ইনকাম করেন না কেনো আপনাকে অবশ্যই সেটা ঠিক জায়গায় ব্যবহার করতে হবে। আর এই ঠিক জায়গা বলতে আমি শুধু ইনভেস্টমেন্ট বোঝাচ্ছিনা, তবে ইনভেস্টমেন্ট টাই মেইন। ইনভেস্টমেন্ট মানি ম্যানেজমেন্ট এর একটি ক্ষেত্র। এছাড়াও আরও অনেক ক্ষেত্র আছে যার মূল গুলো নিয়ে আমরা এই পোস্টে আলোচনা করবো। তবে এর প্রত্যেকটির সাথেই ইনভেস্টমেন্ট জড়িত।
তো চলুন এইবার আমরা শুরু করি। মানি ম্যানেজমেন্ট এর কিছু খুবই গুরুত্বপূর্ণ কন্সেপ্ট:
এক্টিভ ইনকাম কে প্যাসিভে রুপান্তর
প্রথমেই আলোচনা করবো এক্টিভ ইনকাম আর প্যাসিভ ইনকাম নিয়ে। মানি ম্যানেজমেন্ট এর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হলো আপনার এক্টিভ ইনকাম কে প্যাসিভ ইনকামে রুপান্তর করা। এক্টিভ ইনকাম হলো যেটার জন্য আপনাকে প্রতিদিন কাজ করতে হয় আর প্যাসিভ ইনকাম হলো যা আপনি বসে বসে ইনকাম করেন। বেচে থাকার জন্য প্রত্যেক মানুষকেই কাজ করতে হয়। আর এই কাজ করার কোনো বিকল্প ও নেই। বসে থাকে ইনকাম মানে শুধু ব্যাংকের মুনাফার মতো হারাম টাকাকেই বোঝায় না। আরো অনেক ধরণের প্যাসিভ ইনকাম আছে। আমরা সবাই জীবনে কোনো না কোনো দক্ষতায় পারদর্শী হওয়ার চেষ্টা করি মূলত একটি চাকরির জন্য এবং এ নিয়ে কোনো সমস্যা ও নেই। এখন অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন টপিক দেখেন এরকম যে চাকরি করে অন্যের কাজ না করে উদ্যোক্তা হয়ে নিজের জন্য কাজ করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। হ্যা অবশ্যই যদি আপনার পৈতৃক সম্পদ থাকে তাহলে জীবনের প্রথম থেকে উদ্যোক্তা হওয়াটা খারাপ কিছু না। কিন্তু আপনি যদি প্রচুর সম্পত্তির উত্তাধিকারী না হন তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি চাকরি করে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পুঁজি জমাতে হবে। কিন্তু দেখা যায় একবার কোনো চাকরি পেলে বেশির ভাগ মানুষ আর এ চাকরির ইনকাম ব্যবহার করে কোনো রকম ইনভেস্টমেন্ট করতে চান না। আপনি যদি আপনার একটিভ ইনকাম এর টাকা দিয়ে কোনো রকম ইনভেস্টমেন্ট না করেন তাহলে তা কোনোদিনই প্যাসিভ ইনকামে পরিণত হবে না। আমরা সবাই ইনকাম এর পরই বিভিন্ন রকম প্রয়োজনীয় কাজে তা ব্যয় করি আর কিছু টাকা বাচিয়ে তা সঞ্চয় করি। কিন্তু ধনী বা পুঁজিবাদী মানুষ কখনই এই টাকা সঞ্চয় না করে তা দিয়ে ইনভেস্ট করেন এবং তাদের প্যাসিভ ইনকাম এর প্রবাহ ঠিক রাখেন। আপনার ইনভেস্ট করা শিখতে হবে এবং আপনার সঞ্চয়ের টাকা দিয়ে ইনভেস্ট করতে হবে। আপনি বিভিন্ন বই পড়ে ইনভেস্টমেন্ট শিখতে পারেন কিন্তু finacially free হতে চাইলে আপনাকে ইনভেস্টমেন্ট করতেই হবে।
জিনিস কেনার আগে তার গার্ডিয়ান কিনুন
ছোটবেলায় আমাদের ভরণপোষণ সহ যাবতীয় সকল খরচ বহনের জন্য আমাদের একজন গার্ডিয়ান ছিলেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা ছিলেন আমাদের বাবা, অনেকের ক্ষেত্রে আমাদের মাও ছিলেন সেই দায়িত্বে আবার কারো কারো ক্ষেত্রে বাবা মা উভয়েই সেই দায়িত্বে ছিলেন। এরা ছিলেন আমাদের গার্ডিয়ান। আমাদের যখন যেটা প্রয়োজন হতো তারা আমাদের তাই নিয়ে দিতেন। কোনো কারণে তারা সেটা করতে ব্যাহত হলে আমাদের পড়াশুনা, খাওয়া পরা সহ আরো অনেক সমস্যা সৃষ্টি হতো। কিন্তু এরকম বিভিন্ন প্রয়োজন শুধু মানুষেরই হয়না, বিভিন্ন জিনিসের ও অনেক রকম প্রয়োজন থাকে যা আমাদের জিনিসটির মালিক হিসেবে বহন করতে হয়। যেমন আপনি যদি একটি গাড়ির মালিক হন, আপনাকে ট্যাক্স, ডিজেল, গ্যারেজ, মেইনটেনেন্স সহ আরো অনেক জায়গায় খরচ বহন করতে হবে। কিন্তু আমরা বেশিরভাগ মানুষ এই খরচ গুলোর কথা চিন্তা না করেই টাকা জমিয়ে গাড়ি/বাড়ি করতে চাই। মানুষের যেমন গার্ডিয়ান প্রয়োজন তেমনি জিনিসের ও গার্ডিয়ান প্রয়োজন এবং সেই গার্ডিয়ান হলেন আপনি। কিন্তু আপনাকে সেই গার্ডিয়ান এর দায়িত্ব নিজের কাছ থেকে সরিয়ে একটি প্যাসিভ ইনকাম ফিল্ডের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। এটা হবে একরকম ফান্ড যেটি শুধু আপনার গাড়ির জন্য, যাকে আমরা বলছি গাড়ির গার্ডিয়ান। তাই আপনার যদি একটি গাড়ি কেনার টাকা থাকে তাহলে সেটি দিয়ে আপনি গাড়ি না কিনে আগে একটি ছোটখাটো ব্যবসা/উদ্যোগ/side hussle গড়ে তোলার চেষ্টা করুন যাতে সেইখান থেকে আপনার এই পরিমাণ টাকা হয় যা দিয়ে আপনি আপনার গাড়ির যাবতীয় খরচ বহন করতে পারবেন। এরপর সেই টাকা থেকে আবার টাকা জমিয়ে তারপর আপনার গাড়ি কিনুন। সবসময় মনে রাখবেন, পুঁজিবাদীরা কখনই একটিভ ইনকাম দিয়ে শখ পূরণ করেন না।
আপনার টাকা প্রবাহের (cash flow) দিক ঠিক করুন
প্যাসিভ ইনকাম আমরা বুঝলাম, কিন্তু এই প্যাসিভ ইনকাম এর দিকটা আসলে কোন দিকে হয়? আর ইনকাম এর আবার দিক কেমনে হয়? ক্লাস ৯-১০ বা ১১-১২ এ আমরা অনেকেই ভেক্টর পড়ছি। সেখানে আমরা শিখছিলাম যে দুটো ভেক্টর ১৮০° কোণে কাজ করলে অর্থাৎ পরস্পর বিপরীত দিকে কাজ করলে তাদের লদ্ধি হয় তাদের বিয়োগফল। টাকার সমীকরণ টাও এরকমই। এখানে পরস্পর বিপরীতে কাজ করা দুটি ভেক্টর হলো আয় এবং ব্যয়। আয় আর ব্যয়ের বিয়োগফল হবে cash flow, আর এই ক্যাশ ফ্লো এর দিক হবে আয় অথবা ব্যয় এর মধ্যে যে বড় হবে তার দিকে। প্যাসিভ ইনকাম হলো আপনার চাকরির বাইরের ইনকাম। এই ইনকাম শুধু আয়(যদি সেটা কারো গার্ডিয়ান না হয়), এখানে বিপরীতে কোনো ব্যয় নাই। তাই প্যাসিভ ইনকামের দিক সাধারণত আয়ের দিকে। আগে বলছিলাম আপনার গাড়ি বা বাড়ি কেনার পর সেখানে আরো অনেক ধরনের খরচ করতে হয়। যদি আপনি সেই বাড়ি বা গাড়ির মাধ্যমে কোনো ইনকাম না করতে পারেন তাহলে আপনার cash flow ঋণাত্মক হবে অর্থাৎ বিপরীত দিকে ব্যয়ের পাশে চলে যাবে। তাই আপনি কোনো কিছু কেনার আগে আপনাকে বুঝতে হবে এটা আপনার পকেটে টাকা আনতে সক্ষম কিনা। যদি হয়, তাহলে আপনি সেটা কিনতে পারেন। আর যদি না হয়, তাহলে আপনাকে সেই জিনিসের জন্য একটা গার্ডিয়ান বানাতে হবে যেনো আপনি আয় আর ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য আনতে পারেন। কিন্তু কোনোভাবেই আপনার চাকরি থেকে আয় করা টাকা দিয়ে আপনার গাড়ি বাড়ির ব্যয় বহন করা যাবে না। তবে আপনি চাইলে বাড়ি ভাড়া দিতে পারেন, গাড়িও ভাড়া দিতে পারেন, অর্থাৎ, এগুলো নিজেই নিজেদের গার্ডিয়ান হতে পারে।
টাইম ম্যানেজমেন্ট = মানি ম্যানেজমেন্ট?
টাইম ম্যানেজমেন্ট আর মানি ম্যানেজমেন্ট একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। আপনি যদি আপনার টাকা ব্যবহার করে ভালো কিছু করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আগে আপনার সময়কে ঠিকমত ব্যবহার করা শিখতে হবে। আমরা আমাদের দেশে একটা কমন পেশা সবজায়গায় দেখতে পাই, সেটা হলো প্রাইভেট পড়িয়ে টাকা ইনকাম করা। শিক্ষকের পেশা নিঃসন্দেহে সম্মানের পেশা এবং যেকোনো সমাজের জন্য অনেক বেশি গুরত্বপূর্ণ। কিন্তু যারা এই প্রাইভেট পড়ান তাদের বেশির ভাগই দেখা যায় এর পিছনে অনেক বেশি পরিমান সময় ব্যয় করেন। অনেকে সকাল থেকে ব্যাচ পড়ানো শুরু করে রাতে শেষ করেন। একটু সখের কাজ তো দূরেই থাকলো, সময়মত খাওয়াদাওয়া করাও এদের পক্ষে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়ে। ছুটির দিন বলতে খালি পান শুক্রবার। নিজের উপর যেটুকু ইনভেস্ট করতে চান, তার জন্য সময় এই শুক্রবারেই, যা self-improvement এর জন্য যথেষ্ঠ এর কাছাকাছি ও যায় না। এই শিক্ষকদের অনেকে আছেন, মাসে ২-৩ লাখ টাকার মত ইনকাম করেন। এটা অনেক বেশি পরিমাণ ইনকাম যা অবশ্যই ভালো ব্যাপার। কিন্তু এই শিক্ষকদের বা অন্য যেকোনো পেশার মানুষদের যারা এই পরিমাণ ইনকাম করেন, এদের কয়জনকে দেখা যায় এই ইনকাম থেকে বেশির ভাগ তারা ইনভেস্ট করছে একটা ভালো প্যাসিভ ইনকাম এর জন্য? বেশির ভাগ ই করেননা। বেশির ভাগ করতে ভয় পান। কেউ কেউ করে লস করেন, তারপর আর করেন না। এই লস করার আর ভয় পাওয়ার কারণ কি? তারা অবশ্যই এই ইনভেস্টমেন্ট সম্পর্কে বেশি জানেন না। যদি ইনভেস্টমন্ট সম্পর্কে আইডিয়া থাকে তাহলে return on investment কম হলে বা ঋণাত্মক হলে কি করণীয়, কিভাবে এটা রোধ করা যায়, কিভাবে এখান থেকে শেখা যায় তা জানেন না। আসলে আপনি যদি আর্থিকভাবে স্বাধীন হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ইনভেস্ট করে লস খেতেই হবে। কিন্তু এই লস খাওয়ার অভিজ্ঞতাটা অনেক বেশি গুরত্বপূর্ণ। এখান থেকে কিভাবে ঘুরে দাড়াতে পারবেন, তা আপনাকে শিখতে হবে আর বেশির ভাগ জিনিস ই শিখবেন অভিজ্ঞতার মাধ্যমে। আপনাকে অনেক বই পড়তে হবে, মার্কেট নিয়ে রিসার্চ করতে হবে। নিজের ইমপ্রুভমেন্ট এ সময় দিতে হবে। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষ এই সময়টা দেননা। তারা সারাজীবন কষ্ট করে একটা বিষয়ে পারদর্শী হন এবং চাকরি করেন কিন্তু এই মানি ম্যানেজমেন্ট টা তারা কোনোদিন শিখেন না। একসময় চাকরি শুরু করার পর তারা আর এই সময় কোনোদিন পান না। এরপর খালি দায়িত্ত্ব বাড়তে থাকে, সাথে কাজও। মনে রাখবেন, আপনি যদি কাজ করে মাস এ ৩-৪ লাখ টাকাও ইনকাম করেন তাও সেটা আপনার জন্য কোনোদিন ই যথেষ্ঠ হবে না। আপনি যত বেশি ইনকাম করবেন, আপনার কাছে আপনারই আপন জন দের চাওয়া পাওয়া তত বেশি বেড়ে যাবে। আপনার ইনকাম বেশি হবে, কিন্তু সাথে আপনার ব্যয় ও বেশি হবে। আপনার ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক দিকেই দৌড়াবে। তাহলে কি বেশি কাজ করা ভুল? কখনই না। কিন্তু আপনাকে এই পরিমাণ কাজ করতে হবে যেনো আপনি আপনার নিজের ইমপ্রুভমেনট আর মানি ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে শেখার সময় পান। আপনাকে দৈনিক এই দিকে টাইম দিতে হবে। তরুণ বয়সে ভালো চাকরি পাইলে বেশির ভাগ মানুষ এই দিকটায় ভুল করে। তারা যত টাকা পায় তত বেশি কাজ করে, ফলে নিজেদের শেখার পিছনে টাইম দিতে পারেন না। আপনি সারাদিন প্রাইভেট পরাইলে টাকা বেশি পাবেন, কিন্তু যদি সেই টাকার ব্যবহার, সেই টাকার পাওয়ার আপনি না শিখেন, আপনি না বুঝেন, তাহলে আপনি সেই টাকা দিয়ে কি করবেন? সঞ্চয় করে ব্যাংকে রাখবেন? তারপর যদি একদিন কোনো দুর্ঘটনা হয় সব শেষ করবেন? যদি কালকে আপনার প্রাইভেটে স্টুডেন্ট না আসে আর, যদি কালকে আপনার চাকরী চলে যায়, আপনার কি কোনো কৃত্রিম গার্ডিয়ান আছে, যে আপনাকে বলবে, “চিন্তা করো না ভাই, আমি আছি। এই টাকাটা ব্যবহার কর। I got your back” এটাই আপনাকে বানাতে হবে। আপনার ই সহকর্মী আপনার মত ওভারটাইম না করে রিয়াল স্টেট নিয়ে রিসার্চ করেছেন। সেখানে ইনভেস্ট করেছেন। কোম্পানি ডুবে গেলো, আপনার আর ওনার দুইজনেরই চাকরি গেলো। কিন্তু ওনার রিয়াল স্টেট থেকে পাওয়া ভাড়া দিয়ে ওনার মাসে দিব্যি চলে যায় যেখানে আপনি অলরেডি ব্যাংকের টাকা ভাঙিয়ে খাওয়া শুরু করেছেন। ভেবে দেখুন।
তো আজকে এই পর্যন্তই। খুবই বেসিক কিছু জিনিস নিয়ে আলোচনা করছি মাত্র। পোষ্টের মেইন লক্ষ্য আপনাকে এ সম্পর্কে আরও জানতে উৎসাহিত করা। আশা করি সেটা করতে পেরেছি। আমি নিচের এই দুটো বই সাজেস্ট করবো। এখনই শুরু করে দিন আপনার সেলফ ইমপ্রুভমেন্ট জার্নি আর রোড টু ফাইন্যান্সিয়াল ফ্রিডম:
•Rich Dad Poor Dad
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য। পোস্টে ক্লিক কারি সবাই আর্থিকভাবে সফল হোন এই দোয়া করছি। সবাই ভালো থাকুন আর বাবা মাকে শ্রদ্ধা করুন। ধন্যবাদ।
২.মানি ম্যানেজমেন্ট কী?
এটা হচ্ছে আপনি আপনার ইনকাম করা টাকা কিভাবে আর কোথায় খরচ করবেন, কোথায়-কিভাবে খরচ করলে আপনার ভবিষ্যতে আর্থিকভাবে স্বাধীন হওয়ার সুযোগ বেড়ে যাবে।
আপনি যত কম বা যত বেশি টাকাই ইনকাম করেন না কেনো আপনাকে অবশ্যই সেটা ঠিক জায়গায় ব্যবহার করতে হবে। আর এই ঠিক জায়গা বলতে আমি শুধু ইনভেস্টমেন্ট বোঝাচ্ছিনা, তবে ইনভেস্টমেন্ট টাই মেইন।
ইনভেস্টমেন্ট মানি ম্যানেজমেন্ট এর একটি ক্ষেত্র।
এছাড়াও আরও অনেক ক্ষেত্র আছে যার মূল গুলো নিয়ে আমরা এই পোস্টে আলোচনা করবো। তবে এর প্রত্যেকটির সাথেই ইনভেস্টমেন্ট জড়িত।
‘রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড’ বই এ এরকম আলোচনা করা হয়েছে! সবার উচিত বইটা পড়া!
সময়োপযোগী পোস্ট ?
কমেন্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ?