আজকের ব্লগে সেরা ১০টি উইন্ডোজ সফটওয়্যার এর রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করি।
1. Twinkle Tray
লিস্টের প্রথম সফটওয়্যারটার নাম হচ্ছে টুইংকেল ট্রে। এটা ডেস্কটপ ইউজারদের জন্য। মনিটরের ব্রাইটনেস কন্ট্রোল করার জন্য, কিন্তু আমাদের অনেক প্যারা নিতে হয়।
2. ShutUp 10++
দুই নাম্বার সফটওয়্যারটার নাম হচ্ছে ShutUP 10++।
এটা উইন্ডোজ ১০ এর জন্য তৈরি করা হলেও উইন্ডোজ ১১ এও ভালোভাবে কাজ
করে। এই সফটওয়্যারটা দিয়ে আপনি মাইক্রোসফট এর যে Annoying সেটিং গুলো আছে,
সেগুলোকে অফ করতে পারবেন। একটা সেটিং এর লিস্ট পাবেন,
যেগুলো ধরে ধরে আপনি চেক করে অন-অফ করতে পারবেন।
For Example, আপনি যদি Microsoft Edge ইউজ না করেন, চাইলে Edge অফ করে রাখতে পারবেন।Cortana ইউজ না করলে অফ করে রাখতে পারবেন। লক স্ক্রিনে যে
স্প্ল্যাশ ইমেজ আসে, সেটাকে চাইলে অফ করে রাখতে পারবেন।
একই সাথে মাইক্রোসফট এর Copilot যদি আপনার পছন্দ না হয়, সেটাও অফ করতে পারবেন। এটা যদিও আপনি সরাসরি সেটিং এ গিয়ে অফ করতে পারবেন,
বাট শাটআপ ১০ প্লাস প্লাস হচ্ছে এই সবগুলোকে একসাথে কম্পাইল করে
একটা জায়গাতে নিয়ে আসে।
এবং এই সফটওয়্যারটা কোন সেটিং অফ করবেন,
কোনটা করবেন না, সেটার Reccomendation ও আপনাকে দেবে—যে কোনটা অফ করা উচিত, কোনটা অনুচিত, সেটা ডান পাশে আপনারা দেখতে পারবেন। সো এখান থেকে একসাথে সবগুলো সেটিং
পেয়ে যাবেন এবং আপনার পছন্দমত সিস্টেম সেটিং কিংবা বিভিন্ন সফটওয়্যারের
প্রাইভেসি সেটিং এখান থেকে অন-অফ করতে পারবেন।
3. EarTrumpet
তিন নাম্বার সফটওয়্যারটা হচ্ছে EarTrumpet।
এটা মূলত একটা Volume Controlling Application। এটা দিয়ে আপনি আলাদা আলাদা সফটওয়্যারের ভলিউম কন্ট্রোল করতে পারবেন—যেটা উইন্ডোজ ১১ এ Built-in আছে। শুধু কয়েকটা Step ফলো করে ভলিউম মিক্সারের মাধ্যমে কম-বেশি করতে
হয়। কিন্তু EarTrumpet এর মাধ্যমে আপনি আউটপুট ডিভাইস আলাদা করতে পারবেন।
উদাহরণস্বরুপ, ধরুন আপনি
ইয়ারফোন দিয়ে এডিট করবেন এবং স্পিকারে YouTube এ কোন একটা
ভিডিও প্লে করবেন—আপনি সেটা করতে পারবেন EarTrumpet মাধ্যমে। আমি
ব্যক্তিগতভাবে এটা প্রচুর ব্যবহার করি। আপনারা চাইলে ইউজ করতে পারেন
4. FX Sound
উইন্ডোজ এ Sound Customize করার অপশন কিন্তু খুবই কম। সুতরাং আপনি যদি আপনার সাউন্ডের উপর পুরা নিয়ন্ত্রণ নিতে চান এবং
সাউন্ডকে আরো বেশি Enhance করতে চান, তাহলে Fx-Sound নামের সফটওয়্যারটা আপনার জন্য খুবই ইউজফুল হবে।
এটাতে Multi-Band Equalizer আছে, Nine-Band ইকুয়ালাইজার আছে এবং বেশ কিছু Presets আছে। তার মধ্যে Volume Boost নামে একটা
প্রিসেট আছে, যেটা ইউজ করলে আপনার ল্যাপটপের
স্পিকার কোয়ালিটি যদি খারাপ হয়, তাহলে কিছুুটা Boost হবে সাউন্ড। সেই সাথে সাউন্ডের Clarity আপনি কম-বেশি করতে পারবেন, বেস বুস্ট করতে পারবেন এবং অনেকগুলো প্রিসেট আছে যেগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন যে কোনটা কেমন লাগে।
সেই সাথে আপনি চাইলে কাস্টম প্রিসেট তৈরি
করতে পারবেন এবং ইন্টারনেট থেকে প্রিসেট ডাউনলোড করে এটাতে Import ও করতে পারবেন।
5. Quick Look
পাঁচ নাম্বার সফটওয়্যারটার নাম হচ্ছে QuickLook।
Apple এর Mac এ একটা ফিচার আছে—যখনই
আপনি কোন একটা ফাইল সিলেক্ট করে স্পেস চাপেন, তখন সেটার
একটা কুইকলি প্রিভিউ আসে।
উইন্ডোজে এ যেমন কোন ফাইল ডাবল ক্লিক করে
ওপেন করলে কোন একটা স্পেসিফিক সফটওয়্যার দিয়ে ওপেন হয়,
এবং এই ওপেন হওয়ার মাঝখানে কিন্তু একটা সময় নেয়—লোড
হয়। এই টাইমটা কিন্তু Mac নাই, যখন কেউ Quickly Preview করে। এই Quick-Look সফটওয়্যারটা একইভাবে কাজ করে।
আপনি উইন্ডোজ এর যেকোনো ফাইল—ভিডিও হোক,
অডিও হোক, সেটা কোন ডক ফাইল হোক— সিলেক্ট করে শুধু স্পেস চাপবেন, দ্রুত একটা প্রিভিউ চলে
আসবে। এবং এটা এতটাই দ্রুত হয় যে ওই সফটওয়্যারের Loading হবে না। এবং এটা Close করার জন্য আবার স্পেস চাপলে Close হয়ে যাবে।
Quickly file Preview করার জন্য এটা খুবই
ইউজফুল। ম্যাক ইউজাররা তো এটার ইউজ জানেই। আপনারা যারা উইন্ডোজ ইউজার আছেন,
একবার ব্যবহার করে দেখুন—অনেক মজা পাবেন।
6. Local Send
ছয় নাম্বার সফটওয়্যারটা নাম হচ্ছে Local Send ।
Local Send হচ্ছে
একটা Cross-Platform File Sharing Software, যেটা
একই সাথে এন্ড্রয়েড, উইন্ডোজ, আইওএস,
ম্যাক, লিনাক্স—সবগুলোতে কাজ করে। এবং
এখানে কোন থার্ড পার্টি সার্ভার বা ইন্টারনেট কানেকশনের দরকার নাই।লোকালি ডিভাইস
গুলোকে কানেক্ট করে বড় ফাইল, একাধিক ফাইল একসাথে
ট্রান্সফার করতে পারে।
আপনারা অনেকেই আছেন যারা উইন্ডোজ ল্যাপটপ ইউজ করেন, কিন্তু ফোন হচ্ছে iPhone—তখন কিন্তু এই দুইটার
মধ্যে ফাইল ট্রান্সফার করতে যেয়ে প্রচুর ঝামেলা হয়। এবং এই ট্রান্সফারের অনেক সমাধান আছে, তবে সবগুলো সমাধানের মধ্যে সহজ সমাধান হচ্ছে Local Send.
7. Microsoft PC Manager
সাত নাম্বার সফটওয়্যারটার নাম হচ্ছে Microsoft PC Manager ।
আমি এই সফটওয়্যারটা Reccomend করছি
স্পেশালি নতুনদের জন্য—যারা উইন্ডোজ এর যে Temporary file, Junk File আছে, এগুলো ক্লিন করে একটু স্পেস ক্লিন আপ করতে চান। আমরা মোবাইলে যেরকম র্যাম বুস্ট করি, এরকমই
পিসিতেও র্যাম বুস্ট করতে পারবেন। অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ক্লোজ করতে পারবেন, Startup অ্যাপ কন্ট্রোল করতে পারবেন।
আসলে এটাতে অন্যান্য জায়গা থেকে সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ সেটিংসকে একসাথে করে একটা জায়গাতে নিয়ে
এসেছে। এবং এটার একটা Toolbar আছে, যেটা আপনি Desktop এ রাখতে পারবেন। চাইলে Desktop এ বুস্টে ক্লিক করে আপনার কম্পিউটারকে
বুস্ট করে ফেলতে পারবেন।
এবং আরো কিছু ফিচার আছে যেগুলো এক্সেস
করতে পারবেন—যেমন ক্যালকুলেটর, স্ক্রিনশট কিংবা
ভয়েস রেকর্ডার। এই ধরনের বেশ কিছু অপশন আছে। এই সফটওয়্যারটা যারা নতুন আছেন,
তাদের জন্য ইউজফুল। ।
8. United Sets Beta
আট
নাম্বার সফটওয়্যারটা United Sets Preview beta ।
এটার মাধ্যমে আপনি Multiple Software কে ট্যাবের মধ্যে নিয়ে আসতে
পারবেন। আমরা যেমন ব্রাউজারে বিভিন্ন ওয়েবসাইট Multiple Tab আকারে ওপেন করি,
ঠিক সেরকম ভাবে আপনি একটা Window ভেতরে Multiple Software ট্যাব আকারে ওপেন করে ফেলতে পারবেন।
উদাহরণস্বরুপ, ধরুন একটা ট্যাবে থাকলো Google Chrome, আরেকটা
ট্যাবে থাকলো Spotify, আরেকটা ট্যাবে থাকলো অন্য
কোন সফটওয়্যার—Ms Word অথবা Powerpoint, এভাবে ট্যাব আকারে থাকবে।
এখন
এটার সুবিধা হচ্ছে, আপনাকে বারবার টাস্কবারে Minimize করে
ওপেন করে কিংবা অন্য কোন Window তে মুভ না করে, আপনি একটা
উইন্ডোতে থেকেই জাস্ট ট্যাব সুইচ করে করে সফটওয়্যার সুইচ করতে পারবেন।
9. Bulk Crap Uninstaller
নয় নাম্বার সফটওয়্যারটার নাম হচ্ছে Bulk Crap Uninstaller ।
এই
সফটওয়্যারের মাধ্যমে আপনি উইন্ডোজ এর সফটওয়্যার বাল্ক আকারে আনইন্স্টল করতে
পারবেন। Multiple Software সিলেক্ট করে আনইন্স্টল করতে পারবেন।
নরমাল আনইন্স্টলের পাশাপাশি একটা **Silent Mode** আছে, যেটার মাধ্যমে আনইন্স্টল করলে আপনাকে Next-Next-Accept এই ধরনের যে ক্লিক করতে হয়, এগুলো Skip করে আপনি Direct আনস্টল করে ফেলতে পারবেন।
পাশাপাশি আনইন্স্টল করার পরে Unnecessary File থেকে যায়,
ওই ফাইলগুলো আস্তে আস্তে জমতে জমতে C drive Space বাড়িয়ে ফেলে।
পাশাপাশি উইন্ডোজ এর পারফরমেন্স অনেক সময় কমে যায়। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে সেই Junk file গুলোকে ক্লিন আপ করতে পারবেন।
10. AltSnap
১০ নাম্বার
সফটওয়্যারটার নাম হচ্ছে AltSnap.
এই সফটওয়্যারটা দিয়ে আপনি Keyboard এর Alt button প্রেস
করে ধরে মাউস কিংবা কিবোর্ড দিয়ে এমন অনেক কিছু করতে পারবেন,
যেগুলো খুবই ইউজফুল।
Example—Alt প্রেস করে ধরে
আপনি যদি মাউজে ক্লিক করে কোন উইন্ডোর যেকোনো জায়গায় ধরে টানেন,
তাহলে আপনি উইন্ডোকে মুভ করতে পারবেন। নরমালি কি হয়—কোন
একটা উইন্ডোর উপরে যে অংশটা থাকে (যেখানে বার থাকে), পুরো
বারটাতে ক্লিক করে ধরে তারপরে সরাতে হয়।
কিন্তু যারা পাওয়ার ইউজার আছে,
তারা হয়তোবা মাউস এতদূর পর্যন্ত নিয়ে সরাবে—এই সময়টাও
থাকে না। তো তারা চাইলে উইন্ডো যেকোনো জায়গায় Alt চেপে ধরে মুভ করতে
পারবে।
সম্পূর্ণ ব্লগটি পড়ার জন্যে ধন্যবাদ
যে কোনো মতামত জানান কমেন্টের মাধ্যমে
Blog Credit
এই ব্লগটি লেখার ক্ষেত্রে Sohag360 ইউটিউব চ্যানেলের একটি ভিডিও কে অনুসরন করা হয়েছে, তাই তাকে ক্রেডিট না দিলে বিষয়টি অনৈতিক হয়। নিচে উনার ভিডিওটির লিংক সংযুক্ত করা হলো, চাইলে ভিডিওটি দেখে আসতে পারেন।
Connect With ME
Youtune Channel – Sohag 360
ভিডিওর লিংক দিয়ে দিলাম।